বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ১১:২৬:৩১

ফুঁ'পিয়ে কাঁ'দতে কাঁ'দতে তাহির বললেন, ‘ওরা বাড়িতে আ'গুন লাগিয়ে দিল

ফুঁ'পিয়ে কাঁ'দতে কাঁ'দতে তাহির বললেন, ‘ওরা বাড়িতে আ'গুন লাগিয়ে দিল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: খাজুরি খাসের চার নম্বর গলির মুখটায় দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন ৬৫ বছর বয়সী মহম্মদ তাহির। কাঁ'দছিলেন পাশে দাঁড়ানো তাঁর দুই পুত্রবধূও। গলির মুখ থেকে তাঁদের বাড়িটা ছিল খান চার-পাঁচেক বাড়ির পরেই। হ্যাঁ, ছিল। এখন গোটা বাড়িটাই ছা'ই হয়ে গিয়েছে।

গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্ব'নি দিতে দিতে হাজারখানেক যুবক ঢুকেছিল তাহিরদের গলিতে। তাদের হাতে ছিল বন্দুক, ধা'রালো অ'স্ত্রশ'স্ত্র। গলিতে ঢুকেই তারা মা'রধ'র শুরু করল সেখানকার বাসিন্দাদের। ঘরে ঘরে ঢুকে শুরু করল লুটপাট। তারপর একটা একটা করে বাড়িতে আ'গুন লাগাতে থাকল। লোকজন যে বাড়িগুলির ভিতরে রয়েছেন, তার পরোয়াই করল না।

বাড়ি দা'উদা'উ করে জ্ব'লছে দেখে প্রাণে বাঁচতে আর কয়েক জন পড়শির মতো তাহিরও তাঁর পরিবারের লোকজনকে নিয়ে উঠে যান ছাদে। তার পর এক এক করে সেই ছাদ থেকে পাশের বাড়ির ছাদে ঝাঁ'প দেন। সেই বাড়ির ছাদ থেকে তার পরের বাড়ির ছাদে। এই ভাবে ছাদ টপকে টপকে তাহির পৌঁছে যান গলির শেষ প্রান্তে। যেখানে তখনও পৌঁছয়নি হা'নাদাররা।

পা'লিয়ে প্রাণে বাঁচতে পেরেছিলেন তাহিররা। কিন্তু বাড়ির মোহ আর ছাড়তে পারেন কী ভাবে? অনেক কষ্টে যে বানিয়েছিলেন বাড়িটা। তাই বুধবার বিকেলে দুই পুত্রবধূকে নিয়ে বাড়িটা দেখতে এসেছিলেন তাহির। গিয়ে দেখেন, গোটা বাড়িটাই ছাই হয়ে রয়েছে। পাশের বাড়িটারও একই দশা। তার পরেরটাও…। সেটা দেখার পর আর চোখের জল চেপে রাখতে পারেননি তাঁরা। গলির মুখে এসে কাঁ'দতে কাঁ'দতে বার বার পিছনে ফিরে ছা'ই হয়ে যাওয়া বাড়িটার দিকে তাকাচ্ছিলেন। আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারেননি। দুই পুত্রবধূকে নিয়ে চার নম্বর গলির মুখেই বসে পড়েছিলেন তাহির।

ফুঁ'পিয়ে কাঁ'দতে কাঁ'দ'তে তাহির বললেন, ‘ওরা বাড়িতে আ'গুন লাগিয়ে দিল। আমরা প'ড়িম'ড়ি করে বাড়ি ছেড়ে পালাতে শুরু করলাম। কোমর থেকে প'ঙ্গু আমার বউ। ও পারল না। আমার দুই ছেলেও গু'রুত'র জ'খম হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কিছুই আমরা দাঁ'তে কাটিনি। আমার সদ্যোজাত নাতিনাতনিরা জল খেয়ে রয়েছে।’ সূত্র: আনন্দবাজার

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে