আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এরদোয়ান হুঁ'শিয়ারি দিয়েছেন যে শীঘ্রই লাখ লাখ শর'ণার্থী ইউরোপের দিকে যাত্রা শুরু করবে। অভিবাসী ও শর'ণার্থীরা যেন তুরস্ক হয়ে ইউরোপের দিকে যেতে না পারে সেজন্যে ২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের করা চুক্তি তুরস্ক আর বাস্তবায়ন করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। তারপরই তুর্কি প্রেসিডেন্ট এই হুঁ'শিয়া'রি দিলেন।
টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে এরদোয়ান বলেছে, ''সিরিয়ার শর'ণার্থীদের যেন সিরিয়ার নিরা'পদ অঞ্চলে পুনর্বাসন করা যায়, সেজন্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তুরস্ককে কোনরকম সাহায্য করেনি।'' গত সপ্তাহে তুরস্ক যখন এই অভিবাসী এবং শরণা'র্থীদের ইউরোপে ঢোকার জন্য সীমান্ত খুলে দেয় তখন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছিলেন, "হাজার হাজার মানুষ এর মধ্যে সীমান্ত পার হয়েছে, শীঘ্রই এই সংখ্যা লাখ লাখে পৌঁছাবে।"
তবে এই সংখ্যা তিনি কোথায় পেয়েছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তার কোন প্রমাণ দেননি। তবে গ্রিস বলেছে, তুরস্ক থেকে প্রায় হাজার খানেক অভিবাসী রোববার তাদের পূর্ব এজিয়ান সাগরের দ্বীপগুলোতে পৌঁছেছে। এর পাশাপাশি গত ২৪ ঘন্টায় আরও প্রায় দশ হাজার মানুষকে তারা স্থল সীমান্ত অতি'ক্রমের সময় আ'টকে দিয়েছে। বা'ধার মুখে পড়া অভিবাসীরা পাথর ছুঁড়ে মারে। গ্রিসের সীমান্ত র'ক্ষীরা তখন টিয়ার গ্যাস নি'ক্ষে'প করে।
এই অভিবাসীদের মধ্যে সিরিয়ানরা ছাড়াও আফগান এবং পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা আছেন। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট এবং গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল মঙ্গলবার সীমান্তে যাচ্ছেন পরি'স্থিতি দেখতে। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, "হয় আমরা এই মানুষগুলোকে তাদের নিজেদের দেশে মর্যাদার সঙ্গে থাকতে দেব, নতুবা সবাইকে তাদের ভার বহন করতে হবে। একতরফা আ'ত্মত্যা'গের দিন শেষ হয়ে গেছে।"
গ্রিক সরকার তুরস্কের তী'ব্র স'মালো'চনা করে বলেছে, "শরণার্থী আর অভিবাসীদের পা'চারের চ্যানেল ব'ন্ধ করার পরিবর্তে তুরস্ক নিজেই এখন পা'চারকা'রীতে পরি'ণত হয়েছে।" ইউরোপীয় সীমান্ত র'ক্ষা সংস্থা 'ফ্রন্টেক্স' বলছে, দ্রুত ইউরোপীয় সীমান্ত র'ক্ষী মোতায়েনের মাধ্যমে গ্রিসকে কিভাবে সাহায্য করা যায় সেটি তারা পরীক্ষা করে দেখছে। সূত্র : বিবিসি