জাপানের জলসীমায় চীনের যুদ্ধজাহাজ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাপানের জলসীমায় প্রবেশ করলো চীনের যুদ্ধজাহাজ। শনিবার এখবর নিশ্চিত করেছে জাপানের উপকূলরক্ষী বাহিনী। পূর্ব চীন সাগরের সেনকাকু দ্বীপ নিয়ে চীন-জাপানের বিবাদ দীর্ঘদিনের। সেই বিতর্কিত জলসীমায় চীনের তিনটি যুদ্ধজাহাজ এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আবস্থান করে বলে দাবি জাপানের। প্রসঙ্গত এর আগেও সেনকাকু দ্বীপের কাছে চীনা যুদ্ধজাহাজ হানা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল জাপান৷
জাপানের উপকূলরক্ষী বাহিনীর দাবি, গত মঙ্গলবার বিতর্কিত সীমান্তে প্রথম দেখা গিয়েছিল চীনের তিনটি জাহাজ। বাইরে থেকে সাধারণ বাণিজ্যতরী মনে হলেও তাদের একটির ভিতর থেকে কামানের নল উঁকি মারছিল। ওইদিন দুপুরের দিকে ঘণ্টায় ২৯ কিমি বেগে চলছিল জাহাজগুলি। পরদিন সকালে ফের দেখা চীনের জাহাজগুলিকে। সেদিন প্রায় ৭০ মিনিট যাবৎ সেনকাকু দ্বীপের বিতর্কিত অঞ্চলে ঘোরাফেরা করে জাহাজগুলি।
যদিও, জাপানের দাবি খারিজ করে দিয়েছে চীন। জাপানের জলসীমা অতিক্রম করা কিংবা সেনকাকু দ্বীপের কাছে চীনা যুদ্ধজাহাজের আনাগোনার বিষয়ে বেজিংয়ের বক্তব্য, ওইগুলি সাধারণ চীনা লাইনার, স্বাভাবিক নিয়মেই চলছিল। মালবাহী জাহাজে যা যা জিনিস থাকার সেসবই ছিল ওই জাহাজগুলিতে। বিতর্কিত জলসীমায় ঢোকার কোনও ঘটনা ঘটেনি।
২০১২ সালে পূর্ব চিন সাগরের সেনকাকু দ্বীপটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী আন্তর্জাতিক চুক্তিমতোই জাপানের অধিকারে আসে। কিন্তু তার পর থেকে হামেশাই চীনা জাহাজ ও বিমানকে ওই অঞ্চলে টহল দিতে দেখা গিয়েছে বলে বারংবার অভিযোগ করেছে টোকিও। কমিউনিস্ট চীনের উপকূল থেকে ৩০০ কিমি দূরে অবস্থিত ওই সেনকাকু দ্বীপের মালিকানার দাবি দীর্ঘদিন ধরেই করছে চীন।
যদিও ওই দ্বীপের বিষয়ে আপসের প্রশ্ন ওঠে না বলে বরাবরই বলে এসেছে জাপান। ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে ওই বিতর্কিত দ্বীপপুঞ্জকে ঘিরে আকাশপথে একটা প্রতিরক্ষা বলয় পর্যন্ত গঠন করে চীন।
যদিও জাতিসংঘ স্বীকৃত আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুসারে এই দ্বীপপুঞ্জ ২০১২ সাল থেকে জাপানেরই প্রাপ্য ছিল৷ কিন্তু ১৯৪৯ সালে মাও সে তুং চীনের দখল নেওয়ার পর থেকেই তাইওয়ান সহ দক্ষিণ এবং পূর্ব চীন সাগরের সমস্ত দ্বীপমালার মতো সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জও তাদেরই অংশ বলে দাবি করে চলেছেন বেজিংয়ের কমিউনিস্ট কর্তারা৷
২৮ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস
�