আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রা'ণঘা'তী করোনা ভাই'রাসের উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর। সেখান থেকে বিশ্বের ১৩০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে করোনা। করোনার সবচেয়ে বড় 'বলির পাঁঠা' চীন। এখন পর্যন্ত বিশ্বে যত মানুষ এই মা'রা'ত্মক ছোঁয়াচে ভাই'রাসে আ'ক্রা'ন্ত হয়েছে তাদের অধিকাংশই চীনের। দেশটি মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজারেরও অধিক মানুষের।
আ'ক্রা'ন্তের সংখ্যা প্রায় এক লাখ। তবে চীনে মহামা'রিতে যত মানুষ আক্রা'ন্ত হয়েছে তাদের অধিকাংশই সেরে উঠেছে। মৃ'ত্যুর হার খুবই কম। হুবেই প্রদেশ থেকে করোনা ছড়ানোর পর প্রথমদিকেই চীন করোনা ভাইরাস, কোভিড -১৯ দ্বারা সৃষ্ট রোগের তী'ব্রতা হ্রা'স করার চেষ্টা করেছিল। যার ফলে তার নিজের নাগরিক এবং বাকি বিশ্বকে মহামা'রির ভ'য়াব'হতা থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা করতে পেরেছে।
দেশটিতে বর্তমানে করোনার ভ'য়াব'হতা কমে এসেছে। টানা দ্বিতীয় দিন চীনের মূল ভূ-খণ্ডে করোনা আক্রা'ন্ত নতুন রোগীর চেয়ে বিদেশফেরত রোগীর সংখ্যা বেশি হয়েছে। শনিবার দেশটিতে নতুন ২০ জন কোভিড-১৯ রোগী শনা'ক্ত হয়েছেন, এদের মধ্যে ১৬ জনই বিদেশফেরত। বাকি চারজন করোনা ভাইরাসের উৎস উহান শহরের। রোববার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (এনএইচসি) এ তথ্য জানিয়েছে।
তবে বেইজিং কিভাবে এই মা'রণ ভাইরাসকে নিয়'ন্ত্রণে এনেছে সেটা থেকে বাকি বিশ্বের অনেক কিছু শেখার আছে। এমটাই জানিয়েছেন উহানে করোনভাইরাস নিয়ে কাজ করা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষস্থানীয় মহামা'রী বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এই শিক্ষা নেওয়াটা বেশি জ'রুরি। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে করোনার প্রকো'প বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে ভাইরাসটি পুরোপুরি আ'ক্রমণ করলে যুক্তরাষ্ট্রে ৫ লাখ থেকে এক কোটি মানুষ মা'রা পড়তে পারে।
চীনে করোনা ভাইরাস বি'স্ফো'রিত হওয়ার সময় ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার দলের নেতৃত্বদানকারী কানাডিয়ান মহামা'রিবিদ এমডি ব্রুস এলওয়ার্ড বলেছেন, 'আমি যদি কোভিড-১৯ আ'ক্রা'ন্ত হই তবে আমি চীনে যাবো, তারা কীভাবে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে হয় সেটা জানে।'
চীন থেকে ফিরে আসার পরে তিনি এবং তার সহকর্মীরা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন, যেখানে সম্ভবত ইতিহাসের সবচেয়ে মা'রা'ত্মক, চতুর এবং আ'ক্রম'ণাত্ম'ক ভাইরাসের সং'ক্র'মণ থেকে ১৪০ কোটি মানুষের নিরা'পদ রাখতে পারার জন্য চীনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। করোনা ভাইরাস বড় ধরনের বৈশ্বিক সং'ক'ট হয়ে ওঠা ঠে'কাতে চীনের অভি'জ্ঞতা ব্যা'পক কাজে আসবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- হু (ডব্লিউএইচও)।