আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইতালিতে মৃত্যুর মহামিছিল। আরও বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সং'ক্র'মণ। ঘরে ঘরে মিলছে ভাইরাস আ'ক্রা'ন্তের খোঁ'জ। মৃত্যু হচ্ছে শতশত মানুষের। গত সোমবারেই করোনা আ'ক্রা'ন্ত ৩৪৯ জনের মৃত্যু খবর নি'শ্চিত করা হয়েছিল ইতালিতে। তবে বুধবার সব রেকর্ড ভে'ঙে গেল। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হল সং'ক্রা'মিত ৪৭৫ জনের।
ভাইরাস পজিটিভ ৩৫,৭১৩। বন্ধ দোকানপাট, বাজার–রেস্তোরাঁ। খাঁ খাঁ করছে রাস্তাঘাট। ঘরব'ন্দি আত'ঙ্কি'ত মানুষ। ব'ন্ধ বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে শেষকৃত্য। মর্গে জমছে মৃ'তদেহের স্তূপ। করোনার হা'নায় ছন্দ হা'রিয়েছে ভ্যাটিকান সিটিও। চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া মা'রণ ভাই'রাসের জীবাণু কা’বু করছে গোটা বিশ্বকেই। ইতালিতে সং'ক্রমণ মহামা'রীর চেহারা নিয়েছে। দু'সপ্তাহের বেশি লকডাউন চলছে ইতালিতে।
দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে অন্তত ১ কোটি ৬০ লক্ষ জনকে। সং'ক্রা'মিত নয় হাজারেরও বেশি। বার্গামো শহরের মেয়র জর্জিও গোরি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ঘোষণা করেছেন সমস্ত গোরস্থান বন্ধ করে দেওয়ার কথা। দ্বিতীয় বিশ্বযু'দ্ধের পরে এমনটা ঘটেছে এই প্রথমবার। তবে কফিনগুলি নিয়ে নিরা'পদে রাখা হবে চার্চের বিশেষ ব্যবস্থায়।
স'ত্কার করতে গেলে দেহ থেকে সং'ক্র'মণ ছড়াতে পারে, এর ফলে যে মানুষের ভিড় হবে, তারাও প্রভাবিত হতে পারেন। এমন বি'প'দ এড়ানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে, ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রনায়ল জানিয়েছে, যে কোনও ধরনের বড় জমায়েত নি'ষি'দ্ধ করা হয়েছে। এমনকি চার্চে যাওয়াও নি'ষি'দ্ধ হয়েছে। মিলান ও ভেনিসে ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল হাব প্রায় তালাব'ন্ধ। সেখানে তৈরি হয়েছে কোয়ারেন্টাইন জোন।
সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকছে বার এবং রেস্তোরাঁ। তবে সরকারি নির্দে'শিকায় বলা হয়েছে, সেখানে খেতে আসা প্রতি দু'জনের মধ্যে যেন অন্তত ৩ ফুটের ব্যবধান রাখা হয়। ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ভেনিস–মিলান লাগোয়া প্রদেশে বিয়ে, যে কোনও উত্সব, শেষকৃ'ত্যের কাজকর্ম ব'ন্ধ থাকবে। রোমের বেশিরভাগ সুপারমার্কেট ব'ন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সরকারি নির্দে'শিকায় বলা হয়েছে, দৈনন্দিন জিনিসপত্র প্যাকেটবন্দি করে পাঠানো হবে লোকজনের বাড়িতে। বাজার বা দোকানে ভিড় জমানো নি'ষি'দ্ধ। দেশের ২৩টি জেলে বিশেষ স'ত'র্কতা জারি হয়েছে। কয়েকজন ব'ন্দির শরীরে ভাইরাসের সং'ক্র'মণ ধ'রা পড়েছে। জ'রুরি অবস্থা জা'রি করে আ'ক্রা'ন্ত ব'ন্দিদেরও সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার।