আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দিন গু'নছি'ল পরিবার। অপে'ক্ষা'য় ছিল প্রায় গো'টা দেশ। অবশে'ষে, অ'পরা'ধের সাত বছর পর, দিল্লির তিহাড় জে'লে আজ সকাল হতেই ফাঁ'সিকা'ঠে ঝু'লি'য়ে দেওয়া হল দিল্লির নির্ভয়া কা'ণ্ডের চার প্রা'প্তবয়'স্ক অ'পরা'ধীকে। মৃ'ত্যুদ'ণ্ড কা'র্যকর হল মুকেশ সিংহ, বিনয় শর্মা, পবন গু'প্ত এবং অক্ষয় কুমার সিং'হের।
এই মাম'লায় মোট অ'পরা'ধী ৬ জন। বিচা'র চ'লাকা'লীন তিহাড় জে'লেই আ'ত্মহ'ত্যা করে এক অ'পরা'ধী রাম সিং'হ। নাবা'লক হওয়ায়, তিন বছর হো'মে থেকেই সা'জা'র মে'য়া'দ শেষ করে, ২০১৫ সালে মু'ক্তি মে'লে আর এক অ'ভিযু'ক্তের। যদিও পুলিশি ত'দ'ন্তে উ'ঠে এসে'ছিল, নি'র্ভ'য়ায় উপর সেই রাতে সবচেয়ে নি'র্ম'ম ভাবে অ'ত্যাচা'র চা'লিয়ে'ছিল এই নাবালকই।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে, দিল্লির রাস্তায় চ'ল'ন্ত বাসের মধ্যে গ'ণধ'র্ষ'ণ এবং ভ'য়াব'হ নি'র্যা'ত'নের শি'কা'র হন প্যা'রামে'ডি'ক্যা'লের ছাত্রী, বছর ২৩-এর তরুণী। বা'ধা দিতে গিয়ে প্র'চ'ণ্ড মা'র'ধ'র খে'তে হয় তাঁর পুরুষ স'ঙ্গীকেও। ঘ'ট'নার পৈ'শা'চিক'তায় শি'উ'রে উ'ঠেছিল গো'টা দেশ। তরুণীর আসল নাম পরে প্র'কা'শ্যে এলেও, নি'র্ভ'য়া নামেই তিনি পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন তত দিনে। শেষ পর্যন্ত বাঁ'চা'নো যায়নি নি'র্ভ'য়াকে। নি'র্ম'ম অ'ত্যা'চা'রের ১৩ দিন পর, ২৯ ডিসেম্বর তাঁর মৃ'ত্যু হয়।
ঘ'ট'নার কয়েক দিনের মধ্যেই, দিল্লি পুলিশের হাতে একে একে ধ'রা পড়ে বাস চালক রাম সিংহ, মুকেশ সিংহ (রাম সিংহের ভাই), বিনয় শর্মা, পবন গুপ্ত, অক্ষয় সিংহ এবং এক নাবালক। শুরু হয় জি'জ্ঞা'সাবাদ। পুলিশ দা'বি করেছিল, হে'ফাজ'তে থাকার সময় অপ'রা'ধের কথা ক'বু'ল করেছিল ৬ জনই।
নি'র্ভ'য়ার ধ'র্ষ'ণ ও খু'ন দেশকে এ'ত'টাই আ'লো'ড়ি'ত করেছিল যে, দ্রু'ত বি'চা'রের জন্য প্র'ব'ল চা'প তৈরি হয় সরকারের উপর। ২০১৩ সালের ২ জানুয়ারি দিল্লির সাকেত আ'দাল'তে, ধ'র্ষ'ণ মা'ম'লার জন্য দেশের প্রথম ফা'স্ট ট্র্যা'ক কো'র্ট চা'লু হয়। উ'দ্বোধ'ন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের তৎ'কা'লীন প্রধান বিচারপতি আলতামাস কবির। পরদিনই সেখানে নি'র্ভয়া মা'ম'লার চা'র্জশি'ট পে'শ করে দিল্লি পুলিশ। নি'র্ভ'য়াকে ধ'র্ষ'ণ, খু'ন, অ'পহ'র'ণ, প্র'মাণ লো'পা'ট-সহ বিভিন্ন ধা'রায় এবং নি'র্ভ'য়ার বন্ধুকে খু'নের চে'ষ্টা'র অ'ভিযো'গে চা'র্জ গঠন করে আদা'লত।-আনন্দবাজার