আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনার মধ্যেই আরব উপসাগরের ঊষর মরুভূমিতে পঙ্গপালের বংশবিস্তার ঘটছে ব্যা'পকহারে। এতে ন'জিরবি'হী'ন পরি'স্থিতিতে পড়ে গেছে ১০টি দেশ। পঙ্গপাল ১০ দেশের কয়েক লাখ মানুষকে মা'রা'ত্মক ঝুঁ'কিতে ফেলে দিতে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা এমন দাবিই করেছেন বলে গার্ডিয়ানে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার পতঙ্গ বিশেষজ্ঞ কেইথ ক্রিসম্যানের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, ২০১৮ সালে ঘূর্ণিঝড় মেকুনু আ'ঘা'ত হা'নলে সৌদি আরবের মরুভূমিতে আদ্র বালু ও গজিয়ে ওঠা উদ্ভিদের মধ্যে পঙ্গপালের কয়েকটি প্রজন্মের বিস্তার ঘটে। এতে করে আরব উপদ্বীপের দেশটিতে পতঙ্গটি ব্যাপকহারে বংশ বিস্তার স'ক্ষ'ম হয়েছে। ইয়েমেন ও ওমানে 'রুবয়া খালি' নামে পরিচিত বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ বালুময় মরুভূমিতে শস্যগ্রা'সী পত'ঙ্গের ঝাঁকে ঝাঁকে জন্ম হয়।
কেইথ ক্রিসম্যান বলেন, ইয়েমেন ও ওমান দুটি দেশের পরিবেশ শুষ্ক হয়ে যাচ্ছিল, তখন অঞ্চলটিতে একটি ঘূর্ণিঝড় আঘা'ত হা'নে। এতে করে নতুন পঙ্গপালের নতুন প্রজন্মের বিস্তার শুরু হয়। ওই সময়েই পতঙ্গটির বিস্তার সেখানে আট হাজার গুণ বেড়ে যায়। একটি ঘূর্ণিঝড় পঙ্গপালের বিস্তারকে অন্তত ছয় মাসের জন্য অনুকূলে এনে দেয়।
এদিকে, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার হুঁ'শিয়ারি দিয়ে জানানো হয়েছে, পঙ্গপালের কারণে অন্তত আড়াই কোটি মানুষের খাদ্য নিরা'পত্তা হু'মকির মুখে পড়বে। পঙ্গপালের একঝাক পতঙ্গ প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষের খাবার খেতে পারে। একটি পঙ্গপালের ঝাঁকে প্রায় ১০ লাখ পতঙ্গ থাকে। পঙ্গপাল পর্যবেক্ষণ বিভাগ লোকাস্ট ওয়াচের মতে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অন্তত ১০ দেশে এই পতঙ্গটি দেখা গেছে।
কেনিয়ার একটি এলাকায় এমন একটি ঝাঁক শ'না'ক্ত হয়েছে। এছাড়াও পাকিস্তানসহ ভারতের কিছু প্রদেশে এটি আ'ঘা'ত হা'নতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত কয়েক দশকের চেয়ে পরি'স্থিতি আরও অবন'তির দিকে যেতে পারে। আগের যে কোনো পঙ্গপাল মহামা'রীর তুলনায় তা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান