মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ, ২০২০, ১০:১২:২১

যে কারণে করোনাভাইরাসে অনেকে দুইবার সং'ক্র'মিত হচ্ছেন

যে কারণে করোনাভাইরাসে অনেকে দুইবার সং'ক্র'মিত হচ্ছেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এমন ঘ'টনা পৃথিবীর বেশ কিছু দেশেই ঘ'টেছে যে কোভিড নাইনটিন আক্রা'ন্ত রোগী সে'রে উঠেছেন- তার দেহ করোনাভাইরাস মু'ক্ত বলে পরীক্ষায় দেখা গেছে কিন্তু কিছুদিন পরই তার দেহে আবার এ ভাইরাসের উপস্থি'তি ধ'রা পড়েছে।সাধারণ ঠা'ন্ডার ক্ষে'ত্রে একবার আক্রা'ন্ত হলে রোগীর দেহে সাধারণত প্রতিরো'ধ ক্ষ'মতা তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু কোভিড নাইনটিনের বেলায় তা হচ্ছে না কেন? ঘ'টনা'টা খে'য়াল করেছিলেন টোকিওর ডাক্তার ও গবেষকরা।খবর: বিবিসি বাংলা।

ফেব্রুয়ারি মাসে টোকিওর একটি হাসপাতালে করোনাভাইরাস আক্রা'ন্ত এক ব্যক্তি ভ'র্তি হয়েছিলেন। তাকে যথারীতি অন্য রো'গীদের থেকে আ'লাদা করে চিকিৎসা দেয়া হয়।জাপানের এনএইচকে টিভির সংবাদ অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি কিছুদিন পর সে'রে ওঠেন এবং হাসপাতাল ছে'ড়ে যান। আগের মতই স্বা'ভাবিক জীবন-যাপন শুরু করেন তিনি। কিন্তু কয়েকদিন পর লোকটির আবার জ্ব'র দেখা দেয়।

তিনি আবার সেই হাসপাতালে ফরে আসেন এবং বিস্মিত ডাক্তারকে বলেন, তিনি আবার অসস্থ বধ করছেন।ডাক্তার পরীক্ষা করে দেখতে পেলেন, লোকটি আবার করোনাভাইরাসে সং'ক্র'মিত হয়েছেন।

জাপানে কিন্তু এটাই একমাত্র ঘ'টনা নয়। একজন রো'গীর দেহে করোনাভাইরাস সং'ক্র'মণ নতুন করে ফি'রে আসার ঘ'টনা কমই ঘ'টে, কিন্তু সংখ্যাটা যে একেবারেই কম তাও নয়।

এমনটা ঘ'টে কেন?
স্পেনের জাতীয় বা'য়োটেকনো'লজি কেন্দ্রের একজন ভা'ইরো'লজি'স্ট লুইস এনজুয়ানেস বলছেন, কোভিড নাইনটিন ভাই'রাসে একবার আক্রা'ন্ত হয়েছেন এমন লোকদের ১৪ শতাংশের ক্ষেত্রে পু'নরায় সং'ক্রমি'ত হবার ঘ'টনা ঘ'টেছে।তার মতে, এটা ঠিক দ্বিতীয় সং'ক্র'মণ নয় বরং আসলে যা হচ্ছে তা হলো - ভাইরাসটা শরীরের কোথাও লু'কিয়ে ছিল এবং তা আবার ফি'রে আসছে।এনজুয়ানেসের কথায়, একবার সং'ক্র'মণ হলে মানুষের দেহে ভাই'রাস প্রতিরো'ধক্ষ'মতা তৈরি হয়ে যায়, কিন্তু কিছু লোকের ক্ষেত্রে তা ঘ'টে না।ভাই'রাস শরীরের ভেতরে ‘লু'কিয়ে থাকতে’ পারে।এমন কিছু ভাই'রাস আছে যা মানবদেহের ভেতরে ঘা'পটি মে'রে থাকতে পারে।

এনজুয়ানেসের কথায়, দেহের কিছু প্র'ত্য'ঙ্গের এমন কিছু টি'স্যু যা রো'গ প্রতিরো'ধ ক্ষ'মতার বা'ইরে রয়ে যায় - সেখানে ভাই'রাস বসে থাকতে পারে।

তবে করোনাভাইরাস যে এত তা'ড়াতা'ড়ি তার লু'কানো অবস্থান থেকে বে'রিয়ে এসে আবার আ'ঘা'ত হা'নতে পারে - এটাই বিজ্ঞানীদের বি'স্মি'ত করছে।

আমরা জানি যে শরীরের রো'গ প্রতিরো'ধ ব্যব'স্থা একেক রো'গের ক্ষে'ত্রে একেকভাবে কাজ করে। যেমন, হাম প্রতিষে'ধ'ক যে টি'কা শিশুদের দেয়া হয়, তা প্রায় সারা জীবন তাকে হাম থেকে নি'রাপ'দ রাখে, যদিও কিছু ক্ষেত্রে বেশি বয়সে আরেকটি টিকা নেয়া দরকার হতে পারে।এমন কিছু ভাই'রাস আছে যাদের বিরু'দ্ধে টিকা খুব ভালো কাজ করে না, তাই নিয়মিত বিরতিতে নতুন করে টি'কা দিতে হয়।

ই'নফ্ল'য়ে'ঞ্জা বা সাধারণ ফ্লু'র ক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিবছরই টি'কা নিতে হতে পারে, কারণ এই ভাই'রাস মি'উটে'শন প্রক্রি'য়ায় নিজে নিজেই পরিবর্তি'ত রূ'প নিয়ে থাকে।

ইসিদোরো মার্টিনেজ হচ্ছেন মাদ্রিদের কার্লোস থ্রি হেলথ ইন্সটিটিউটের গবেষক। তিনি বলছেন, কোভিড নাইনটিন একটা নতুন ভাইরাস তাই বিজ্ঞানীরা এখনও বো'ঝার চেষ্টা করছেন - কীভাবে এটা এত দ্রু'ত একই দেহে দ্বিতীয়বার সং'ক্র'মণ ঘ'টাতে পারে। একটা ভাই'রাসের বিরু'দ্ধে শরীরে স্থায়ী প্রতিরো'ধ ক্ষ'মতা তৈরি না হলে লোকে বার বার ম'হামা'রিতে আক্রা'ন্ত হবে - এটাই স্বাভাবিক, বলছেন মার্টিনেজ।

তার কথায়, কোভিড নাইনটিন নিজেকে খুব বেশি পরিবর্তন করে না বলে আমরা ধারণা করি, কিন্তু একে ভালোভাবে বোঝার জন্য আরও গবে'ষণা প্রয়োজন। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে