বুধবার, ২৫ মার্চ, ২০২০, ১২:৩৯:০৮

যেভাবে মৃ'ত্যুনগরী হল ইতালি, ভ'য়ঙ্ক'র অভিজ্ঞতা জানালেন বাঙালি শিক্ষিকা

যেভাবে মৃ'ত্যুনগরী হল ইতালি, ভ'য়ঙ্ক'র অভিজ্ঞতা জানালেন বাঙালি শিক্ষিকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কেউ কেউ চুড়া'ন্ত স'তর্ক'তা মা'নছেন। বেশির ভাগই এখনও চরম উ'দাসী'ন। লকডাউনের গুরু'ত্ব না বুঝে চায়ের ঠেকেসকাল-বিকেল আড্ডা দিতে বেরোচ্ছেন অনেকেই। লকডাউনের রাতেই নিয়ম ভে'ঙে গরাদের পেছনে ২৫৫ জন। খবর এনডিটিভি’র।

জ'রিমা'না, জেলের র'ক্তচ'ক্ষুও ঘরব'ন্দি মানুষের জন্য যথেষ্ট নয়। সবাই বলছেন, ভারতের পরিসংখ্যান আর এমন কী! একটু আধটু বেরোলে কী হবে। কিংবা নিছক অ্যা'ডভে'ঞ্চারের নে'শাতেও অল্পবয়সীরা পায়ে পায়ে বেরিয়ে পড়ছেন। ঠিক এই দশা নাকি হয়েছিল ইতালির। জানুয়ারি মাসে কিছু টুকরো খবর। তখন করোনা ভাইরাসকে পা'ত্তা দেয়নি কেউ। সবারই মনে হয়েছিল, চিন সে দেশ থেকে অনেক দূরে!

ফেব্রুয়ারি মাসে তারই বেশ ব'ড়স'ড় আ'কার। আপাতত মৃত্যুনগরী সেই দেশ। কী হয়েছিল, কী না হলে নাও হতে পারত এমন—সোশ্যালে সেই ভ'য়ঙ্ক'র অভি'জ্ঞতার খুঁ'টিনা'টি শেয়ার করলেন ইতালির বাঙালিনী শিক্ষিকা পিঙ্কি সরকার। একই সঙ্গে মাতৃভূমি ও সেখানকার বাসিন্দাদের প্রতি কাতর মিনতি, ইতালিকে দেখে শিখুন। এই ভুল আপনারা করবেন না। আরেকটা ইতালি বানাবেন না নিজেদের দেশকে—

ঠিক কী ঘ'টেছে ইতালির সঙ্গে? দক্ষিণ ইতালি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকার কথায়, জানুয়ারিতেকেউ সেভাবে পা'ত্তা দেননি করোনাকে। বুঝতেই পারেননি রো'গের গু'রুত্ব। ফলে সং'ক্র'মণ ছ'ড়াতে ছ'ড়াতে এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে বিনা নো'টিশে স্কুল-কলেজ ব'ন্ধ করে দেওয়া হয়। তাতে সবাই ছুটির মু'ডে টাইমপাস করতে থাকেন রেস্তোরাঁ, শপিং মল, বাজার-হাটে। কা'র্ফু জা'রির পরেও সবাই ভেবেছিলেন ঠিক হয়ে যাবে। মাত্র এক মাসের মাথায় সংখ্যাটা ৪০ হাজারের উপরে দাঁড়িয়েছে। মৃ'তের সংখ্যা ৬ হাজারেরও বেশি।

পিঙ্কি নিজে শেষ বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন ২৬ ফেব্রুয়ারি। শেষ যেদিন বেরিয়েছিলেন সেদিন সকালেই বিল পাশ হয়েছিল, মিউনিসিপ্যাল জোনের বাইরে যাওয়া যাবে না। শিক্ষিকা, তাই পুলিশ স'ত'র্ক করে ছে'ড়ে দিয়েছিল। তারপর থেকে তিনি গৃ'হব'ন্দি। জানিয়েছেন, এভাবে প্রথম কিছুদিন ভালো লাগে। তারপর চে'পে ধ'রে অ'বসা'দ। সেই ফে'জ ভী'ষণ মা'রাত্ম'ক।

সঙ্গে পিঙ্কির এটাও সতর্কবাণী, তবু নির্দে'শ মানতে হবে। না হলে আরেকটা ইতালি হবে ভারতও। ইতালির উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবাও হা'র মে'নেছে করোনার কাছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে