আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২ মাসের বেতন বাকি থাকায় উত্তরপ্রদেশে আজ থেকে কাজ করে বন্ধ করে দিল অ্যাম্বুল্যান্স অ্যাসোসিয়েশন। বেতন তো দূরে থাক এই পরি'স্থিতিতে সং'ক্র'মণ রু'খতে তাদের জন্য কোনও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষো'ভপ্রকাশ করেন তারা। ফলে আজ দুপুর থেকেই ধর্মঘটের ডাক দেয় এই অ্যাসোসিয়েশনের কর্মীরা। দেশজুড়ে জারি লকডাউন।
এমতাবস্থায় কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে যারা সবার আগে করোনা আক্রা'ন্তদের কাছে গিয়ে পৌঁছান, তারা হলেন অ্যাম্বুল্যান্স চালকেরা। অথচ যোগী রাজ্যে তাদের জন্য নেই কোনও সুব্যবস্থা। করোনা মোকাবিলায় এই প্রথম সারির যো'দ্ধারা এতদিন পড়ে রয়েছেন অবহেলায়, অনাদরে। বাকি রয়েছে তাদের ২ মাসের বেতনও। তবে সেগুলোকেও উপেক্ষা করেও প্রতিদিন ১৬-১৮ ঘণ্টা করেও গাড়ি চালাচ্ছেন কেউ কেউ।
এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ছুটে গিয়েছেন রোগী নিয়ে। অথচ তাদের কোনও সুর'ক্ষার ব্যবস্থা নেয়নি যোগী আদিত্যনাথের সরকার। মহামা'রী থেকে নিজেদের ও নিজেদের পরিবারকে বাঁচাতে তাই ধর্মঘটের ঘোষণা করেছেন উত্তরপ্রদেশ অ্যাম্বুলেন্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মীরা। অ্যাম্বুল্যান্স কর্মীদের অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, 'তাদের দাবি কেউ শুনছে না, নি'শ্চিত করা হচ্ছে না বেতন ও নিরা'পত্তা। তাই এভাবে তারা কাজ করবেন না।'
সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের ১০২ এবং ১০৮ জরুরি অ্যাম্বুল্যান্স সার্ভিস অপারেট করে জিভিকে(GVK)নামের একটি বেসরকারি সংস্থা। রাজ্য সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ তারা। রাজ্যকে সাড়ে চার হাজার অ্যাম্বুল্যান্স সরবরাহ করে তারা। চালক এবং জরুরি টেকনিশিয়ান মিলিয়ে মোট ১৭ হাজার জন কাজ করেন ওই সংস্থায়। তারাও বেসরকারি সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ।
অ্যাসোসিয়েশনের তরফে মধুকর সিং নামের এক চালক বলেন, 'আমাদের না আছে স্যানিটাইজার, না আছে গ্লাভস বা মাস্ক। দু'মাস ধরে বেতনও পাইনি আমরা। আমরা শুনেছি, অ্যাম্বুল্যান্স পিছু ১৫টি করে মাস্ক দিয়েছে সরকার, আমরা সেসব পাইনি। আমাদের গাড়িগুলোও স্যানিটাইজ করা হচ্ছে না, অথচ রোগীর পর রোগী বয়ে চলেছি আমরা। এই অবস্থায় অক্সিজেন ভরতে গেলে সেখানেও বাধা পাচ্ছি।' এরপরেই অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে সংস্থাকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, তারা কাজ করবেন না এভাবে।