রবিবার, ০৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:২৭:০১

চীনের ল্যাবেই তৈরি হয়েছিল করোনাভাইরাস, এলো নতুন প্রমাণ!

চীনের ল্যাবেই তৈরি হয়েছিল করোনাভাইরাস, এলো নতুন প্রমাণ!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গেল বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম ধ'রা পড়ে প্রাণঘা'তী করোনাভাইরাস। এরপর বিশ্বের অন্তত ২০০টি দেশে ছ'ড়িয়ে পড়েছে এ ভাইরাস। এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী আক্রা'ন্তের সংখ্যা ছা'ড়িয়েছে ১১ লাখ ৩০ হাজার এবং মৃ'তের সংখ্যা ৬০ হাজার ছা'ড়িয়েছে। এছাড়াও এ ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গেছেন ২ লাখ ২৩৫ হাজার।এ প্রাণঘা'তী করোনায় চীনে মা'রা গেছে ৩৩২৬ জন এবং আক্রা'ন্ত হয়েছেন ৮১,৬৩৯ জন।

এদিকে, বিশ্বজু'ড়ে তা'ণ্ডব সৃ'ষ্টি করে চলা নোভেল করোনাভাইরাস কি সত্যিই প্রকৃতি থেকে সৃষ্টি, নাকি এটাকে চীনের ল্যাবে তৈরি করা হয়েছে? এটা নিয়ে বিত'র্ক শুরু থেকেই উঠছে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও ইরান দা'বি করেছে, করোনা কোন ভাইরাস নয়, এটা চীনের উহানের ল্যাবে তৈরি মা'রাত্ম'ক জৈব রাসা'য়নিক বো'মা। তবে চীন জো'র গলায় এটাকে 'ষ'ড়য'ন্ত্র ত'ত্ব' আ'খ্যা দিয়ে প্র'ত্যাখ্যান করেছে। 

তবে এবার নতুন প্রমাণ সামনে এসেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে চীনের উহানের ল্যাব থেকেই ছ'ড়িয়েছে করোনাভাইরাস। এটাকে এখন আর অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।দ্য ব্লিজ এর প্রতিবে'দনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক কালে প্রকা'শ্যে আসা বেশ কয়েকটি নতুন প্রমাণ এই ই'ঙ্গিত দেয় যে ভাইরাসটি চীনের উহান শহরে একটি ভাইরো'লজি ল্যাবেই তৈরি করা হয়েছিল।

এর আগে, এ বিষয়ে গতকাল শুক্রবার ন্যাশনাল রিভিউয়ের সিনিয়র সংবাদদাতা জিম জেরাঘাটির লেখা একটি দীর্ঘ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। করোনা নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি নির্মাণের জন্য তিনি চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং ইউটিউবার ম্যাথু টাইয়ের সঙ্গে দীর্ঘ দিন চীনে অবস্থান করেছেন। বিশদভাবে তদ'ন্ত করেছেন। সাম্প্রতি তিনি ইউটিউবে বেশকিছু ভিডিও আপলোড করেছেন, সেখানে ভাইরাসটির উৎস সনা'ক্ত করতে পেরেছেন বলে দা'বি করা হয়েছে।

জে'রাঘটি নিশ্চি'তভাবে ল'ক্ষ্য করেছেন যে, ভাইরাসটির উৎ'পত্তি সম্পর্কে এই ভিডিওগুলো দেখলে সহজেই বোধগম্য হবে। যে কেউ বুঝতে পারবেন ভাইরাসটির উৎ'পত্তি কোথায়। এখানে ভাইরাসটির উৎপত্তি সম্পর্কে প্রচুর ত'থ্য রয়েছে। মানুষ যাতে সহজেই বিষয়টা উপল'ব্ধি করতে পারে এ জন্য তিনি ভিডিওটি ইন্টারনেটে আপলোড করেছেন। বিশ্বাস না হলে ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন।
এমন একটি প্রমাণ হল, উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরো'লজি কর্তৃক গত বছরের শেষের দিকে কাকতালীয়ভাবে দুটি সন্দে'হজনক চাকরির অফার পো'স্ট করা হয়।

রহস্যজনক চাকরির অফার
গত বছরের ১৮ নভেম্বর, ল্যাবটি একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিল যাতে বিজ্ঞানীদের 'করোনভাইরাস এবং বাদুড়ের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে গবে'ষণা করতে' অনুরোধ করা হয়েছিল। জব অফারটিতে লেখা ছিল- "বাদুড়কে গবেষ'ণামূলক বিষয় হিসাবে গ্রহণ করে আমি মলিকুলার মেকানি'জমের মাধ্যমে এমন সব প্রক্রি'য়ার উত্তর দেব যা দীর্ঘকাল ধ'রে কোনও রো'গ ছাড়াই ইবো'লা এবং সা'র্স সম্পর্কিত করোনভাইরাসের সঙ্গে সহাব'স্থান করতে পারে এবং এর সাথে এটি বেশি উড়তে পারবে এবং দীর্ঘদিন বেঁ'চে থাকবে। ভাইরাস, ইমিউনো'লজি, সেল জীববিজ্ঞান এবং একাধিক ওমি'ক্স মানব এবং অন্যান্য স্ত'ন্যপা'য়ী প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য তুলনা করতে ব্যবহৃ'ত হয়।"

তার একমাস পরে ২৪ ডিসেম্বর, ল্যাবটি আরও একটি কাজের উদ্বোধন করে। এবার উল্লেখ করা হয়েছে, 'গুরুত্বপূর্ণ ভাইরাস বহ'নকারী বাদুড়ের প্যাথো'জেনিক বায়ো'লজির উপর দীর্ঘমেয়াদী গবেষ'ণাটি মানব ও প্রাণিসম্পদের বড় বড় নতুন সং'ক্রাম'ক রো'গের বাহক হিসাবে বাদুড়ের বিষয়টি নিশ্চি'ত করেছে। যেমন- সা'র্স,এসএডিএস, প্রচুর পরিমাণে নতুন ব্যাট এবং দুর্যো'গপূর্ণ নতুন ভাইরাস সনা'ক্ত করা হয়েছে।

সাবলীল চাইনিজ বলতে পারা টাই দাবি করেছেন, 'আমরা একটি নতুন এবং ভ'য়ান'ক ভাই'রাস আবিষ্কার করেছি এবং এর সাথে মো'কাবিলার জন্য লোক নিয়োগ করতে চাই।'

দ্বিতীয় চাকরির বিজ্ঞাপনের সময়, চীনে তথা'কথি'ত 'রহ'স্যময় নিউমো'নিয়া' সং'ক্র'মণ চলছিল। তবে এরও এক সপ্তাহ পরে চীন সরকার তার জনসংখ্যাকে নোভেল করোনাভাইরাস সং'ক্রামিত হওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে অবহি'ত করেছিল।

বৈজ্ঞানিক গবেষণা পত্র
ফক্স নিউজের সঞ্চালক টাকের কার্লসন মঙ্গলবার রাতে তার প্রাইমটাইম শোতে ভিডিওটির আকর্ষণীয় একটি অংশ তু'লে ধ'রেছিলেন। সেখানে ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ চীন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত একটি গবেষণামূলক প্রব'ন্ধ তু'লে ধ'রা হয়।'গবেষণা পত্র : ২০১৯-এন কোভি করোনভাইরাসের সম্ভা'ব্য উৎ'স' শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদ'নটিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে ভাইরাসটি সম্ভবত এমন একটি প্রাণী থেকে এসেছিল যেটা ঘোড়ামুখো বাদুড়ের মতো দেখতে। কার্লসন বলেছিলেন, এখানে চম'কপ্রদ বিষয় রয়েছে উহানের ৯০০ কিলোমিটারের মধ্যে বাদুড়ের কোনও কলোনী নেই।

এছাড়া, কার্লসন উল্লেখ করেছিলেন যে উহানের যে সামুদ্রিক বাজারে এই বিশেষ বাদুড় বিক্রি হয়েছিল বলে দা'বি করা হয়েছে সেটারও কোন সত্যতা মেলেনি। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ফেব্রুয়ারিতে জানিয়েছিল যে, রো'গ নিয়'ন্ত্রণ এবং প্রতিরো'ধের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রগুলি বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বাজারে বাদুড় উপস্থিত ছিল কিনা তা নিশ্চি'ত করতে পারেনি।

এর আগে করোনাকে জৈব অ'স্ত্র দা'বি করে বক্তব্য রেখেছিলেন ইসরায়েলি ও মার্কিন বিজ্ঞানীরা। 'জেনেটি'ক্যালি মডি'ফায়ে'ড' এই করোনাভাইরাসের জ'ন্মদা'তা চীনের উহানের বায়োসে'ফটি ল্যাবোরেটরি লেভেল ফোর বলে দাবি করেছিলেন মার্কিন আইনজীবী ও রাসায়নিক মা'রণা'স্ত্র বিরোধী সংগঠনের অন্যতম সদস্য ড. ফ্রান্সিস বয়েল। বলেছিলেন শ'ক্তিশা'লী রাসায়নিক মা'রণা'স্ত্র করোনাভাইরাস, ছ'ড়িয়েছে উহানের ল্যাব থেকেই।

ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়েস কলেজের আইনের অধ্যাপক ড. ফ্রান্সিস বয়েল। রাসায়নিক অ'স্ত্র নির'স্ত্রীকরণ সংগঠনেরও অন্যতম মাথা তিনি। তাঁর উদ্যোগেই ১৯৮৯ সালে 'বায়ো'লজিক্যাল ওয়ে'পন'স অ্যা'ন্টি-টে'ররি'জম অ্যা'ক্ট' বিল পাশ হয়। নোভেল করোনাভাইরাস যে নিছকই কোনও ভাই'রাসের সং'ক্রমণ নয়, সে বিষয়ে আগেও মুখ খু'লেছিলেন ড. ফ্রান্সিস। 

ইসরায়েলি গোয়ে'ন্দা ও মাইক্রো'বায়োলজি'স্টদের দা'বির সমর্থন জানিয়েই ড. ফ্রান্সিস বয়েল বলেন, উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরো'লজির বায়ো'সেফ'টি লেভেল ফোর ল্যাবোরেটরিতে অতি গো'পনে রাসায়নিক মা'রণা'স্ত্র বানানোর প্রক্রি'য়া চলছে। সেখান থেকেই ছ'ড়িয়েছে এই ভাইরাসের সং'ক্র'মণ। সি-ফুড মার্কেটের ব্যাপারটা নেহাতই চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা। আর এই কথা বিল'ক্ষণ জানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সব জেনেও গো'টা বিষয়টাকে ধা'মাচা'পা দেওয়ার কৌ'শলী চেষ্টা চলছে।

ড. ফ্রান্সিস বয়েল আরও বলেছিলেন, উহানের এই বায়োসে'ফটি লেভেল ফোর ল্যাবোরেটরিকে সুপার ল্যাবোরেটরির ত'কমা দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বলা হয়েছিল, এই ল্যাবে ভাইরাস নিয়ে কাজ হলেও তা অনেক বেশি সু'রক্ষি'ত ও নিরাপদ। ল্যাবোরেটরির জন্যই রয়েছে আলাদা উ'ইং যার বাইরের পরিবেশের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই।

ড. ফ্রান্সিস বলেন, সা'র্স ও ইবো'লা প্রা'ণঘা'তী হয়ে ওঠার পরে অভি'যোগের আঙু'ল ওঠে এই গবেষণাগারের দিকেই। রো'গ প্রতিরো'ধ নয়, বরং প্রা'ণঘা'তী জৈব অ'স্ত্র বানাতেই মত্ত গবে'ষকরা। যারই পরিণতি হাজার হাজার মৃ'ত্যু। নোভেল করোনাভাইরাসের জি'নগ'ত ব'দল ঘ'টানো হয়েছে এবং উহানের এই ল্যাবোরেটরি থেকেই যে ভাইরাস ছ'ড়িয়েছে সেটাও জানেন ডব্লিউএইচও'র অনেক গবেষকই।সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে