আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লকডাউনে অকারণে জমায়েত না করার অনুরোধ করে কাজ হয়নি। লাভ হয়নি পুলিশ ডেকেও। উল্টে এলাকার বাসিন্দারা বোঝাতে গেলে ঝামেলা বেধেছে। এ বার তাই লকডাউনের নিয়ম মানাতে লা'ঠি হাতে ময়দানে নামলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সোদপুরের নারীরা।
লকডাউন ভেঙে মাঠে বা পথে আড্ডা দেওয়া বহিরাগতের দলকে লা'ঠি মে'রে পাড়াছাড়া করছেন তারা। বাইরের কেউ যাতে পাড়ায় ঢু'কতে না-পারেন, তা নিশ্চিত করতে এখন রাতে পাহারা দিতেও শুরু করেছে ওই নারী বাহিনী।
সোদপুর স্টেশন লাগোয়া রেলওয়ে পার্ক কলোনিতে প্রায় ৭০০ জন বাসিন্দা রয়েছেন। সেখানে একটি পার্ক ও একটি কমিউনিটি হল রয়েছে। এলাকার পরিযায়ী শ্রমিকদের ঠাঁই দেওয়া হয়েছে ওই কমিউনিটি হলে।
বাসিন্দাদের অ'ভিযোগ, ওই পার্কটিতে সন্ধ্যার পর থেকেই ম'দ-গাঁ'জার আসর বসাচ্ছিল কিছু বহিরাগত। পাড়ায় ভিড় বাড়লে যে ঝুঁ'কিও বাড়বে, সেই কথা স্থানীয়েরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও কাজ হয়নি। দিন কয়েক আগে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ কয়েকটি মোটরবাইক বাজেয়াপ্ত করে। কিন্তু এর পরেও বহিরাগতদের সান্ধ্য-আড্ডায় কমেনি।
করোনায় বিপাকে পড়া কয়েকটি পরিবার এবং কলোনির বয়স্ক বাসিন্দাদের সাহায্য করতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলেছিলেন ওই পাড়ার ৪১ জন মহিলা। বয়স্কদের ওষুধ এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার মতো কাজ করেছেন তারা।
বহিরাগতদের কারণে বিপ'দ বাড়ছে দেখে অবশেষে ময়দানে নামেন সেই নারীরা। মিঠু পাল, অনন্যা ভৌমিক, রিঙ্কু নাগ বিশ্বাস, জয়ী দাস চৌধুরীরা জানাচ্ছেন, তারাও প্রথমে ওই বহিরাগতদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। তাতে কাজ না হওয়ায় রোববার রাতে লাঠি হাতে সটান পার্কে হা'না দেন তারা। রীতিমতো লা'ঠিপে'টা করে পাড়াছাড়া করা হয় ওই যুবকদের।
ওই নারীরা জানান, তারপর থেকেই কলোনির প্রবেশপথের সামনে পালা করে পা'হারা দিচ্ছেন তারা। যাতে বহিরাগতেরা ফের ঢুকতে না পারে। মিঠু বলেন, “আমরা নিয়ম মেনে চলছি। কিন্তু বহিরাগতদের থেকে কেউ আক্রা'ন্ত হলে, এই নিয়ম মানা বিফলে যাবে। তাই এমন সিদ্ধান্ত।”
রিঙ্কু জানান, শুধু নিয়ম মানাই নয়, লকডাউনের কারণে কেউ কোথাও বিপদে পড়লে তারা পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন খড়দহ থানার পুলিশের দিকেও।-আনন্দবাজার