সোমবার, ২০ এপ্রিল, ২০২০, ০১:৫৮:৩৬

গ্রীষ্মের খরতাপে করোনা শক্তি হারিয়ে ফেলবে! অবশেষে নিউইয়র্ক থেকে যা জানা গেল

গ্রীষ্মের খরতাপে করোনা শক্তি হারিয়ে ফেলবে! অবশেষে নিউইয়র্ক থেকে যা জানা গেল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গ্রীষ্মের খরতাপে করোনাভাইরাস সং'ক্রমিত হবার শক্তি হা'রিয়ে ফেলবে বলে বিভিন্ন মহলে যে ধারণা করা হচ্ছিল তা থামিয়ে দিলেন ফ্রান্সের ইউনিভার্সিটি অব এক্সি-মারসিলে ইউনিভার্সিটির গবেষকরা।  

গবেষণায় গতকাল রবিবার (১৯ এপ্রিল) তারা জানিয়েছেন যে, মৌসুমী ফ্লু’র মতো করোনাভাইরাস গ্রীষ্মকালে বিদায় নেবে না। এই গবেষণা কর্মের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্টরা না দিলেও গ্রীষ্মেও করোনা সং'ক্রমিত হতেই থাকবে এ নিয়ে নিশ্চিত প্রাথমিক পর্যায়ের এই গবেষকরা। 

যুক্তরাষ্ট্রের ৪১ হাজারসহ বিশ্বের এক লাখ ৬৫ হাজার মানুষের প্রাণ কে'ড়ে নেওয়া এই ভাইরাস শক্তিহীন হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত ১৯৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় অন্তত ১৫ মিনিট তাকে দগ্ধ না করা হবে। ১৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায়ও করোনা ভাইরাস ম'রেনি কিংবা তাকে নির্জীব করা সম্ভব হয়নি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে গবেষক টিমের সদস্য রিমি চ্যারেল এবং বরিস প্যাস্টেরিনো।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রকে সচল করতে এন্টিবডি টেস্ট ব্যাপকভাবে বৃদ্ধির জন্যে নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া, কানেকটিকাট, ভার্জিনিয়া, মেরিল্যান্ড, মিশিগান, ক্যালিফোর্নিয়া, ওয়াশিংটনসহ আক্রান্ত রাজসমূহের গভর্নরদের আহ্বানে বিন্দুমাত্র সাড়া না দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উষ্কে দিচ্ছেন অবরো'ধ উঠয়ে নেয়ার দাবিতে বিভিন্ন স্থানের বি'ক্ষোভকে। 

গতকাল রবিবার হোয়াইট হাউজে করোনা সম্পর্কিত টাস্কফোর্সের নিয়মিত ব্রিফিংকালে সাংবাদিকে প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন যে, যারা অবরো'ধ অবস্থার দ্রুত অবসানে বিক্ষোভ করছেন তাদের সাথেও তিনি আছেন। সকল আমেরিকানের সাথেই তিনি রয়েছেন। 

উল্লেখ্য, এন্টিবডি টেস্ট করার মাধ্যমেই নিশ্চিত হওয়া সম্ভব কারা করোনায় আক্রা'ন্ত নন। সেটি করা সম্ভব হলেই আক্রা'ন্তদের চিকিৎসা পুরোদমে শুরু করা যাবে এবং যারা সুস্থ তারা বিদ্যমান রীতি অনুসরণ করে কাজে যোগদান করতে পারবেন। তাহলে কর্মস্থলের পরিবেশ নির্বিঘ্ন হবে। 

উপরোক্ত স্টেট গভর্নররা অ'ভিযোগ করেছেন যে, ট্রাম্পের মাধ্যমে ফেডারেল অনুদান অথবা এন্টিবটি টেস্টিং সামগ্রি না পেলে পুনরায় আামেরিকা সচল করার পরিক্রমায় নিযুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। 

স্টেট গভর্নররা আরও অ'ভিযোগ করেন যে, বর্তমানে দৈনিক গড়ে দেড় লাখ লোকের টেস্ট করা হচ্ছে। অথচ এই হার তিনগুণ বাড়ানো না হলে ১ মে’র পর কোনভাবেই অবরু'দ্ধ অবস্থার অবসানের প্রথম স্তরে যাওয়া সম্ভব নয়। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে