মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২০, ০৭:৪৫:৫৩

মসজিদের পা'র্কিং এলাকায় এখন শুধু লা'শ আর লা'শ, ব্রিটেনে মুসলমানরা গুণছে ম'রদে'হ!

মসজিদের পা'র্কিং এলাকায় এখন শুধু লা'শ আর লা'শ, ব্রিটেনে মুসলমানরা গুণছে ম'রদে'হ!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পবিত্র রমজান মাস চলছে। এসময় বা'র্মিংহামের কেন্দ্রীয় জামিয়া মসজিদ মুসল্লিদের সমাগমে মুখরিত থাকে। তবে এবারের রমজানটি সম্পূর্ণ ভি'ন্ন। মসজিদে লোক সমাগম আছে, কিন্তু আগতদের অধিকাংশই হলেন মৃ'ত! পার্কিং এলাকায় এখন শুধু লা'শ আর লা'শ।

যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের ঘা'মকল শরিফ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি শহরের প্রধান মসজিদ। করোনা ভাইরাস ম'হামা'রির কারণে মসজিদটি ব'ন্ধ হয়ে গেলেও এর পার্কিংয়ের জায়গাটিকে এখন অস্থায়ী ম'র্গে রূপান্তরিত করা হয়েছে। যেখানে দেড় শতাধিক ম'রদেহ রয়েছে। বার্মিংহামের স্মল হিথ এলাকায় প্রধানত দক্ষিণ এশিয়া থেকে যাওয়া অভিবাসীরা বাস করেন৷ 

সেখানেই এই মসজিদটি অবস্থিত৷ মসজিদের ট্রাস্টি মোহামেদ জাহিদ ম'র্গ স্থাপনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন৷ বার্তা সংস্থা এপিকে তিনি জানান, করোনার আগে মসজিদে সপ্তাহে এক বা দুটি জা'নাজা হতো৷ আর এখন গত কয়েক সপ্তাহ ধ'রে দিনে পাঁচ-ছয়টি জা'নাজা হচ্ছে৷ পাশের গ্রিন লেন মসজিদের সালিম আহমেদ জানান, তাদের মসজিদে বছরে প্রায় ২৫ বার জা'নাজা হয়৷ কিন্তু গত তিন সপ্তাহে প্রতিদিন পাঁচটি করে জা'নাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷

ব্রিটেনে এখন পর্যন্ত ২১ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় মা'রা গেছেন৷ পরিসংখ্যান বলছে, ১৭ এপ্রিলের আগে ব্রিটেনে মা'রা যাওয়াদের ১৬ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয় কিংবা সংখ্যাল'ঘু মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন৷ যুক্তরাজ্যে মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৪ শতাংশ ওই গোত্রের অন্তর্গত৷

এছাড়া ইনটেন্সিভ কেয়ার ন্যাশনাল অডিট অ্যান্ড রিসার্চ বলছে, যুক্তরাজ্য কোভিড-১৯ এ আক্রা'ন্ত হয়ে ইনটেন্সিভ কেয়ারে থাকা রোগীদের এক-তৃতীয়াংশ অ-শ্বেতাঙ্গ৷ মা'রা যাওয়া একশোর বেশি স্বাস্থ্যকর্মী বিএএমই গোষ্ঠীর বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি৷ সংখ্যাল'ঘু মুসলমানদের ওপর করোনার এমন আঘা'তের বিষয়টি তদ'ন্ত করে দেখতে বলেছে সরকার৷

লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কমলেশ খুন্তি বলছেন, সংখ্যাল'ঘু ব্রাইটনদের অনেকে একটি ছোট এলাকায় একসঙ্গে অনেকে বসবাস করেন৷ এছাড়া তারা করোনায় আক্রা'ন্ত হওয়ার উচ্চ ঝুঁ'কিতে থাকা পেশা, যেমন চিকিৎসক, নার্স, ট্যাক্সি চালক, বাসকর্মী হিসেবে কাজ করেন৷

বেডফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গার্চ রানঢাওয়া এ প্রসঙ্গে ব'র্ণবাদের বিষয়টি তুলে এনেছেন৷ তার অ'ভিযো'গ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নার্সরা অন্যদের তুলনায় কম সুযোগ-সুবিধা পান৷ যেমন, এই সময়ে তারা হয়ত সবার পরে পিপিই পেয়েছেন কিংবা অন্যদের চেয়ে তাদেরকে কোভিড-১৯ রোগীদের কাছে বেশি পাঠানো হয়েছে৷ সূত্র: এমআরটি ডটকম।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে