মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২০, ০৯:৫০:৫৭

'বি'প'জ্জনক হতে পারে', করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি বন্ধ করলো ভারত

'বি'প'জ্জনক হতে পারে', করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি বন্ধ করলো ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা ভাইরাস চিকিৎসায় বিশ্বে কোনও অনুমোদিত পদ্ধতি নেই। প্লাজমা থেরাপিও আপাতত গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। যতদিন না ইন্ডিয়ান কাউন্সিল মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) অনুমোদন মিলছে, ততদিন দেশের কোথাও করোনা আক্রা'ন্তদের চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি ব্যবহার করা যাবে না। স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিল ভারত সরকার।

মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল বলেন, ''আমি আজ প্লাজমা থেরাপি নিয়ে কয়েকটা কথা বলতে চাই। এটা নিয়ে অনেক চর্চাও হচ্ছে। আইসিএমআর অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছে, প্লাজমা থেরাপি-সহ আপাতত করোনা চিকিৎসার জন্য কোনও অনুমোদিত পদ্ধতি নেই। আমি আবার বলতে চাই, করোনার জন্য দেশ কেন, সারা বিশ্বে কোনও অনুমোদিত (চিকিৎসা) পদ্ধতি নেই। প্লাজমা থেরাপি নিয়ে গবেষণা চলছে। তবে আপাতত চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহারের কোনও প্রমাণ নেই। ইউএসএফডিএ (ইউ এস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) এটিকে গবেষণামূলক থেরাপি হিসেবেই দেখছে।''

সম্প্রতি দিল্লিতে প্লাজমা থেরাপিতে কমপক্ষে পাঁচজন করোনা আক্রা'ন্ত সেরে উঠেছিলেন। তাদের শারীরিক অবস্থার অভাবনীয় উন্নতি হয়েছিল। তারপর রাজস্থানেও জটিল করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগের তোড়জোড় চলছিল। কিন্তু তাতে সাফ বারণ করে দিল কেন্দ্র। লব আগরওয়াল জানান, প্লাজমা থেরাপির ফলপ্রসূতা নিয়ে একটি জাতীয় পর্যায়ের গবেষণা করছে আইসিএমআর। 

তার কথায়, ''সেজন্য একটি বিষয় স্পষ্ট করা আবশ্যিক, যতক্ষণ পর্যন্ত আইসিএমআরের গবেষণা শেষ না হয় বা উপযুক্ত বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ না মেলে, ততক্ষণ আমরা এই থেরাপিকে শুধুমাত্র গবেষণা বা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ব্যবহার করি। বরং সঠিক পদ্ধতি বা নির্দে'শিকা অনুযায়ী ব্যবহার না করি, জীবনের ঝুঁ'কিও হতে পারে। যতক্ষণ এই থেরাপি অনুমোদন না পায় বা প্রভাব নির্ধারিত না হয়, ততক্ষণ এই বিষয়ে কোনও দাবি একেবারেই অনুচিত।''

একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল ইতিমধ্যে প্লাজমা থেরাপি ব্যবহার করা নিয়ে স্বাস্থ্য যুগ্মসচিব জানান, আইসিএমআরের অনুমোদনের আগে কেউ প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করলে তা অ'বৈ'ধ বলে বিবেচিত হবে। তার কথায়, ''এটা প্রমাণিত নয়, এটা গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। এটা অনুমোদিত না হওয়া পর্যন্ত গবেষণার কাজে ছাড়া কেউ যেন ব্যবহার না করেন। এটা রোগীদের পক্ষে বি'প'জ্জনক হতে পারে। একইসঙ্গে এটা অ'বৈ'ধ।''

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে