আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীন ও ভারতে করোনার বিস্তার থাকলেও জনবহুল এ দুই দেশের মাঝে অবস্থিত নেপাল ও ভুটানের চিত্র একেবারে আলাদা। হিমালয়ের বুকে থাকা দুটি দেশেই গত বছর ডিসেম্বর থেকে চলতি সপ্তাহে কোনও করোনা রোগীর মৃ'ত্যু নেই। আক্রা'ন্তের সংখ্যাও হাতে গোনা।
২৪শে জানুয়ারি নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে প্রথম করোনা রোগী শ'নাক্ত হয়। তিন মাসে দেশটিতে মোট আক্রা'ন্তের সংখ্যা অর্ধশতের কিছু বেশি। করোনায় মৃ'ত্যু হয়নি একজনেরও।
শুরু থেকেই আক্রা'ন্ত ও এর সংশ্লিষ্টদের প্রত্যেককে ক'ড়া নজরদারির মধ্যে কোয়ারেন্টিনে রেখেছে নেপাল। আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ও সীমান্তে গড়ে তোলা হয়েছে হেল্থ ডেস্ক। ভারত ও চীনের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ রাখা হয়েছে ক'ড়াক'ড়ি ভাবে। বাতিল রয়েছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। লকডাউন করা হয়েছে পুরো দেশকে। এক পা দূরে বাংলার আলিপুরদুয়ার জেলার জয়গায় রয়েছে করোনা আত'ঙ্ক। আর উল্টো দিকে ভ'য় থাকলেও অনেকটা নিশ্চিন্ত পরিবেশ ড্রাগনের দেশ ভুটানে।
চারমাসে করোনা মো'কাবিলায় ভুটান তৈরি করেছে নজির। বিশেষত গণস্বাস্থ্য কর্মসূচি ও জীবাণুনাশক ছড়িয়ে ভাইরাস প্রতিরো'ধে দুরন্ত সফলতা ড্রাগনভূমির। চারমাসে করোনায় ভুটানে ৭ জন আক্রা'ন্ত হয়েছেন। এরমধ্য সুস্থ হয়েছেন ৫ জন।
দুর্গম পার্বত্য এলাকাতেও পৌঁছে গিয়েছেন চিকিৎসকরা। চলছে জন প্রতি করোনা পরীক্ষা। করোনাভাইরাস রুখতে এই দেশে বাধ্যতামূলক ২১ দিনের কোয়ারেন্টাইন নিয়ম পালনেও ভুটানিদের নেই কোন কোন আলস্য।
বন্ধ রয়েছ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। করোনার সং'ক্রমণ ঠে'কাতে সব বিদেশি পর্যটকদের ওপর ভ্রমণ নিষে'ধাজ্ঞাও জা'রি করে ভুটান। বন্ধ রাখে সীমান্ত। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম স্থলবন্দর ফুন্টশোলিং জিরো পয়েন্টে প্রবল ক'ড়াক'ড়ি।
চীন থেকে ছড়িয়ে ইউরোপ ও আমেরিকায় মৃ'ত্যুঘণ্টা বাজিয়ে চরেছে কোভিড নাইন্টির। অথচ হিমালয়ের দুই দেশ নীরব ল'ড়াইয়ে নেমে করোনার বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরো'ধ গড়েছে।