আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গোটা বিশ্ব যখন করোনাভাইরাসের তা'ণ্ডবে বিপ'র্যস্ত, তখন এর চিকিৎসায় নতুন ওষুধ তৈরি করলেন স্কটল্যান্ডের গবেষকরা। এ'ন্টিভাইরাল বা ভাইরাস রোধ'ক ওষুধটি তৈরি করা হয়েছে নাকের স্প্রে হিসেবে। যেটি এখন করোনার ওষুধ হিসেবে আশা জাগাচ্ছে। গবেষকরা বলছেন, এ স্প্রে করোনাভাইরাসকে ফুসফুসের কোষে প্রবেশের আগেই আ'টকে দেবে।
ইতিমধ্যে ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় এটি প্রমাণিত হয়েছে। ওষুধটির গবেষণায় থাকা বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘নিউমিফিল’ নামক ওষুধটি তৈরি করা হয়েছিলো ফ্লুর চিকিৎসায়। এখন এটি কভিড-১৯ এর ক্ষেত্রেও সাফল্য দেখাচ্ছে। স্কটল্যান্ডে সেন্ট অ্যান্ড্রুস ইউনিভার্সিটির এ গবেষণায় দেখা যায়, এ ওষুধটি ভাইরাসটির গায়ে বাতাসের বেগে এক ধরণের প্রোটিন ঢেলে দেবে। এতে ভাইরাসটি আর কোষে প্রবেশ করতে পারবে না। এখনও পর্যণ্ত ওষুধটির ল্যাব টেস্ট করা হয়েছে। যার ফলাফল পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড দেখেছে। তারা আশা দিয়েছেন এটি কভিড-১৯ চিকিৎসায় ব্যবহার হতে পারে।
বিশ্বজুড়ে দেশগুলো যখন করোনাভাইরাস প্রতিরো'ধে ওষুধ উদ্ভাবন নিয়ে ব্যস্ত, তখন স্কটল্যান্ডের এ ওষুধটি করোনা প্রতিরো'ধে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে পারে বলে গবেষকরা মনেকরছেন। নিউমিফিল ওষুধটি তৈরি করেছে নিউম্যাগেন লিমিটেড। যারা নতুন রোগ ও ক্যান্সারের ওষুধ তৈরিতে কাজ করে।
ওষুধটির মূল গবেষক বায়েলোজির অধ্যাপক গ্যারি টেইলর বলেন, ‘অন্যান্য ওষুধ সাধারণত ভাইরাসের কিছু অংশে আঘা'ত হা'নে। আর আমাদের এ ওষুধটি ভাইরাসকে মানব কোষে প্রবেশের আগেই আট'কে দেয়। নাকের এ স্প্রে হয়তবা প্রতিদিন একবার কিংবা সপ্তাহে একবার দিতে হতে পারে।’ সূত্র: মেইল অনলাইন