রবিবার, ২৪ মে, ২০২০, ০১:২০:১৫

ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যাওয়া বিমান যাত্রী জুবায়ের শোনালেন ভয়াবহ বিমান বিধ্বস্তের সেই ঘটনা

ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যাওয়া বিমান যাত্রী জুবায়ের শোনালেন ভয়াবহ বিমান বিধ্বস্তের সেই ঘটনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের করাচিতে শুক্রবার (২২ মে) বিধ্ব'স্ত হওযা বিমানের ৯৯ আরোহীর মধ্যে ৯৭ জনই মা'রা গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিআইএ কর্তৃপক্ষ। ওই বিমান থেকে বেঁ'চে ফেরা এক যাত্রীর বর্ণনা নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি। বিবিসির খবরটি এমটিনিউজ ২৪.কমের পাঠকের উদ্দেশে তু'লে ধ'রা হলো;

বিমানের ফ্লাইট রেকর্ডার উ'দ্ধার করা হয়েছে, ঘ'টনার কারণ তদ'ন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। তবে পাকিস্তানের পাইলটদের সমিতি বলছে, সরকারি তদ'ন্তের ওপর তাদের কোন আস্থা নেই।পাকিস্তানের জাতীয় এয়ারলাইনসের বিমানটিতে ছিলেন ৯১ জন যাত্রী আর ৮ জন ক্রু। তাদের মধ্যে দু’জন ভাগ্যক্রমে বেঁ'চে গেছেন, বাকি ৯৭ জনের সবাই নিহ'ত হয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।এখন মৃ'তদে'হগুলো আত্মীয়স্বজনদের হাতে তু'লে দেওয়ার আগে ডিএ'নএ টেস্ট করে সেগুলো শনা'ক্ত করার কাজ চলছে।

বিমান বিধ্ব'স্ত হওয়ার কারণ এখনো জানা যায়নি, তবে সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, লাহোর থেকে আসা ফ্লাইটটির পাইলট একবার অবতরণ করার চেষ্টা করেও ব্য'র্থ হয়েছিলেন এবং কারিগরি ত্রু'টির কথা কন্ট্রো'ল টাওয়ারকে জানিয়েছিলেন।সংবাদমাধ্যমে প্রচার হওয়া এক রেকর্ডিংএ পাইলট বিমানটির ইঞ্জিন বিক'ল হওয়ার কথা বলছিলেন বলে শোনা গেছে।

যেভাবে বেঁ'চে গেলেন মুহাম্মদ জুবায়ের: বেঁ'চে যাওয়া যাত্রীদের একজন মুহাম্মদ জুবায়ের বলেন, বিমানটি স্বাভাবিকভাবেই উড়ছিল এবং ভেতর থেকে যাত্রীরা বুঝতেই পারেন নি যে বিমানটি মাটিতে পড়ে যাচ্ছে।এ সময় তিনি সং'জ্ঞা হা'রিয়ে ফে'লেছিলেন, কিন্তু একটু পর জ্ঞা'ন ফিরে এলে তিনি দেখতে পান চারদিকে আগুন জ্ব'লছে।

মানুষের আ'র্তচিৎ'কার শুনছিলাম সব দিক থেকে – প্রাপ্তবয়স্ক, শিশু সবার আ'র্তচিৎ'কার। যেদিকে তা'কাচ্ছি শুধু আগুন আর আগুন। কোনো মানুষ দেখতে পাইনি -শুধু চিৎ'কার শুনেছি।আমি সিটবেল্ট খু'লে ফেলি। তারপর আলো দেখতে পাই। আলোর দিকে ছু'টে যাই আমি তারপর লাফ দেই ১০ ফুট নিচে। ধ্বং'সাবশেষ থেকে লা'ফিয়ে পড়ে প্রাণে বেঁ'চে যাই।

জুবায়ের সামান্য আহ'ত হয়েছেন। তিনি বলছেন, পাইলট প্রথমবার অবতরণ করার চেষ্টা করে ব্য'থ হন। এর ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই বিমানটি ভে'ঙে পড়ে।

ইতোমধ্যে ফ্লাইট ডাটা এবং ব্ল্যা'কবক্সটি উদ্ধা'র করা হয়েছে, তদ'ন্ত শুরু হয়েছে।তবে পাকিস্তানের পাইলটদের সমিতি বলছে, সরকারি তদ'ন্তের ওপর তাদের আস্থা নেই এবং তারা আন্তর্জাতিক তদ'ন্তকারীদের সম্পৃ'ক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

গতকাল বিমানটি ভে'ঙে পড়ার পর টিভি ফুটেজ থেকে দেখা যায়, এলাকার বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ উজায়ের জানান বিকট আওয়াজ শুনে তিনি বাইরে বেরিয়ে যান।প্রায় চারটি বাড়ি পুরো বিধ্ব'স্ত হয়ে গেছে। প্রচুর ধোঁয়া আর আগুন জ্ব'লছে। ওরা আমার প্রতিবেশী। ভ'য়ংকর দৃ'শ্য।

আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী ড. কানওয়াল নাজিম বলেন, তিনি মানুষের চিৎ'কার শোনেন ও দেখেন মসজিদ লাগোয়া তিনটি বাড়ি থেকে ঘন কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠছে। অনেক গাড়িতে আগুন ধ'রে যায়।

নিহ'তদের মধ্যে কতজন বিমানের যাত্রী এবং কতজন ওই এলাকার বাসিন্দা তা কর্তৃপক্ষ এখনও নিশ্চিত করতে পারেননি। ১৯ জনের পরিচয় শনা'ক্ত করা হয়েছে।যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই রমজানের শেষে ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতিতে তাদের বাড়িতে যাছিল।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে