বৃহস্পতিবার, ২৮ মে, ২০২০, ০৪:৫৫:১৮

থমথমে কাশ্মিরের লাদাখ সীমান্ত, চীন-ভারত বড় ধরণের যু'দ্ধের আশ'ঙ্কা

থমথমে কাশ্মিরের লাদাখ সীমান্ত, চীন-ভারত বড় ধরণের যু'দ্ধের আশ'ঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাশ্মিরের লাদাখ সীমান্ত ঘিরে চীন-ভারত দীর্ঘ একমাসের উত্তে'জনা বড় ধরণের যু'দ্ধে গড়াতে পারে বলে আশ'ঙ্কা করা হচ্ছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই সীমান্তে যু'দ্ধ বিমান ও সাঁজোয়া যানসহ অতিরিক্ত ৫ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে চীন। 

একইভাবে সৈন্য বাড়াচ্ছে ভারতও। নিয়'ন্ত্রণ রেখা বরাবর পূর্ব লাদাখের কাছে একাধিক জায়গায় মুখো'মুখি ভারত-চীন।  গণমাধ্যমগুলো আরো জানাচ্ছে, চীনা সেনাবাহিনীকে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নির্দে'শ দিয়েছেন যু'দ্ধের জন্য প্রস্তুতি বাড়িয়ে তুলতে। ফলে লাদাখ সীমান্ত ঘিরে পরি'স্থিতি কোন দিকে যায় তা এখন উদ্বে'গের কারণ হয়ে উঠেছে। 

দুই দেশকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নয়াদিল্লীভিত্তিক প্রতির'ক্ষা বিশ্লেষক অজয় শুকলা বলেন, ''দুই দেশ যেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে তাতে নতুন উত্তে'জনা মানে সর্বাত্বক যু'দ্ধের আশ'ঙ্কা। হাজার হাজার চীনা সৈন্য এখন ভারতের মাটিতে। তারা সেখানে যু'দ্ধ করার জন্যই অবস্থান করছে। চীন হয়তো ভারতের ওপর নির্মাণের অভিযোগ তুলতে পারে। কিন্তু আমরা জানিনা চীনের আসলে লক্ষ্য কী?’ 

তবে চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বেইজিং অভ্যন্তরীণ সম'স্যা নিয়েই ব্যস্ত, যু'দ্ধ তারা চায় না। এদিকে ভারতের গণমাধ্যমগুলোতে শ্যাডোব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের ওপেন সোর্স ইনটেলিজেন্স থেকে কয়েকটি স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে দাবি করা হয়, লাদাখের প্যাংগং লেক থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে বিশ্বের উচ্চতম বিমান ঘাঁটিগুলোর মধ্যে অন্যতম গারি গুনশা ঘাঁটিতে অত্যাধুনিক যু'দ্ধবিমান মোতায়েন করে রেখেছে  চীনের 'পিপলস লিবারেশন আর্মি'।

লাইন অব কন্ট্রোলের কাছে মোতায়েন বিমানগুলোর মধ্যে অন্যতম হল জে-১১ ও জে-১৬ ফাইটার। ৬ এপ্রিলের স্যাটেলাইটের তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বেসামরিক বিমান ঘাঁটি রূপেও ব্যবহার হওয়া গারি গুনশায় সেই অর্থে সমরসজ্জা নেই। কিন্তু তারপর ২১ মে পাঠানো ছবি সম্পূর্ণ ভিন্ন ইশারা করছে। মাস দেড়েকের মধ্যেই গারি গুনশায় বিপুল নির্মাণের বিষয়টি বোঝা যাচ্ছে ছবি দেখেই। 

বিমান মোতায়েন নিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনীর সাবেক পাইলট ও কারগিল যো'দ্ধা সমীর জোশীর বক্তব্য, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে গারি গুনশায়র উচ্চতা ৪ হাজার ২৭৪ মিটার। এর ফলে চীনা যু'দ্ধবিমানগুলো সীমিত পরিমাণের মিসাইল ও বো'মা নিয়ে উড়তে পারবে। এবং খুব বেশি ঘণ্টাখানেক বাতাসে থাকতে পারবে সেগুলো। কিন্তু মাঝ আকাশে জ্বালানি ভরলে ভারতীয় যু'দ্ধবিমানগুলো ৩ থেক ৪ ঘণ্টা আকাশে থাকবে। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সাবধান হতে হবে। সূত্র: আল জাজিরা, সংবাদ প্রতিদিন 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে