আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লকডাউন প্রত্যাহার করে আনলক শুরু করার পর থেকেই দেশে প্রতিদিন রেকর্ড হারে বাড়ছে করোনা সং'ক্রমণ। প্রায় প্রতিদিনই ১০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ নতুন করে COVID-19 এর কবলে পড়ছেন। দেশে মৃ'তের সংখ্যাটাও প্রায় সাত হাজারে গিয়ে ঠে'কেছে।
কিন্তু এটাই নাকি শেষ নয়। আরও ক'ঠিন সময় ভারতের জন্য অপেক্ষা করে আছে। আর কেউ নয়, এই আশ'ঙ্কা প্রকাশ করেছেন খোদ এইমসের (AIIMS) ডিরেক্টর ডা. রণদীপ গুলেরিয়া। তাঁর আশ'ঙ্কা ভারতের যা জনসংখ্যা, তাতে আগামী দিনে আরও দ্রুতহারে বাড়বে করোনা আক্রা'ন্তের সংখ্যা।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এইমসের ডিরেক্টর বলছেন, “সত্যি বলতে, ভারতের সবচেয়ে খারাপ সময় এখনও আসেনি। আর হ্যাঁ, সং'ক্রমণের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু সেটা প্রত্যাশিত। কারণ, ভারতের এই বিশাল জনসভা। ভারতকে ইউরোপের দেশগুলির সঙ্গে তুলনা করাটা উচিৎ হবে না। ভারতের জনসংখ্যা ইউরোপের দু’তিনটে দেশের মিলিত জনসংখ্যার থেকেও বেশি।” তবে সং'ক্রমণের হার বাড়লেও, দেশে মৃ'ত্যুর হার যে ইউরোপের দেশগুলির তুলনায় অনেকটাই কম, সেটা এদিন মনে করিয়ে দিয়েছেন এইমসের ডিরেক্টর।
ওই সাক্ষাৎকারে দেশে লকডাউনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ডাঃ ডা. রণদীপ গুলেরিয়া (Dr Randeep Guleria) বলেন,”লকডাউন ব্যর্থ হয়নি। তবে এর ফলে আমরা বিরাট কিছু লাভবানও হইনি। মানুষ লকডাউন ততটা গুরুত্ব দিয়ে পালন করেনি। ফলে লকডাউনের পরও সং'ক্রমিতের সংখ্যাটা খুব একটা কমেনি।”
এইমসের ডিরেক্টরের আশ'ঙ্কা, দেশের অন্তত ১০-১২ টি শহরে করোনার গোষ্ঠী সং'ক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি বলছেন,” মুম্বই, দিল্লির মতো শহরগুলিতে সম্ভবত স্থানীয় সং'ক্রমণ হচ্ছে। আরও ১০-১২টা শহর আছে, যেখানে স্থানীয় সং'ক্রমণ হতে পারে।” ডা. গুলেরিয়া আরও আশ'ঙ্কা করছেন, দেশের সব প্রান্তে করোনা একসঙ্গে প্রভাব নাও ফেলতে পারে। বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন সময় বাড়তে পারে এর প্র'কোপ। ফলে সচেতনতা ছাড়া আমাদের আর কোনও উপায় নেই।-সংবাদ প্রতিদিন