আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দিন দিন খারাপ হচ্ছে পাকিস্তানের করোনা ভাইরাসে পরি'স্থিতি। এরই মধ্যে আক্রা'ন্ত হয়েছেন প্রায় এক লাখ মানুষ। প্রতিদিনই সং'ক্র'মণ বাড়ছে রেকর্ড সংখ্যক হারে। তা সত্ত্বেও পাকিস্তানে ফের লকডাউন জারি করতে রাজি নন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
লকডাউন বিষয়ে পাক প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ''এ সবই অভিজাতদের ধা'রণা। তার মতে, ফের লকডাউনের ফলে পাকিস্তানের অর্থনীতি ধসে পড়বে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে দারিদ্র।'' প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দাবি, 'লকডাউন অভিজাতদের পক্ষেই সুবিধাজনক। তাতে সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়বেন দেশের গরীবরাই।'
ইমরান বলেন, ''লকডাউন চাইছেন— অভিজাতরা যাদের বিশাল বাড়ি রয়েছে, সেই সমস্তদের আয়ে লকডাউনের প্রভাব পড়বে না। তবে লকডাউনের ফলে অর্থনীতি ধসে পড়বে এবং গরীব দেশে দারিদ্র আরো বাড়বে। গরীব মানুষকে ধ্বং'স করে দেবে, ঠিক যেমনটা মোদীর ভারতে হয়েছে।''
লকডাউনের সম্ভাবনাকে নাকচ করলেও করোনা রু'খতে কৌঁশলে এগোনোর পথ বেছে নিতে চান ইমরান খান। দেশের মানুষকে করোনা নিয়ে সচেতন করায় জোর দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে তার দাওয়াই, সং'ক্র'মণের হাত থেকে বাঁচতে আদর্শ আচরণবিধি (স্য়ান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর বা এসওপি) মেনে চলতে হবে মানুষজনকে। শনিবার এ নিয়ে একাধিক টুইট করেছেন ইমরান।
তার একটি টুইটে তিনি লিখেছেন, ''গোটা বিশ্বই স্মার্ট লকডাউনের পথ খুঁজে নিয়েছে। যাতে রয়েছে এসওপি মেনে সমস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়া।'' করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠে'কাতে পাকিস্তানে স্মার্ট লকডাউন প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইমরান খান।
তার কথায়, ''এ ধরনের পথ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরাই অন্যতম। আমি সমস্ত নাগরিক সমাজ, মিডিয়া, উলামা এবং আমাদের টাইগার ফোর্সকে অনুরোধ করব যাতে কভিড-১৯ নিয়ে জনমানসে সচেতনতার প্রসার করে। এবং যথাযথ ভাবে এসওপি মেনে চলার প্রয়োজনীয়তার কথা বলে।''
পাকিস্তান জুড়ে কভিড-১৯ পজিটিভের মোট সংখ্যা ৯৮ হাজার ৯৪৩। সে দেশে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজারেরও বেশি। সেই সঙ্গে আশ'ঙ্কা বাড়িয়েছে প্রতি দিনে সং'ক্র'মিতের সংখ্যাও। পাকিস্তানের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সে দেশে আক্রা'ন্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৯৬০ জন।