আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস মো'কাবিলায় অসংখ্য গবেষণা চলছে। বিভিন্ন দেশ সাধ্যমতো চেষ্টা করে চলেছে ভ্যাকসিন আবিস্কারের। কিন্তু চূড়ান্ত সাফল্য এখনও কেউই পায়নি। যদিও বিভিন্ন গবেষণা সংস্থাই দাবি করছে, ভ্যাকসিন আবিস্কারের দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন তাঁরা। তবে হিসাব করলে দেখা যাবে, পৃথিবীতে আপাতত ছ’টি ভ্যাকসিন সাফল্যের দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে।
• মোডের্না সংস্থার mRNA-1273: মোডের্না সংস্থার mRNA-1273। একটি ক্লি'নিক্যাল ট্রা'য়ালের পর্যায়ে আছে। সংস্থা সম্প্রতি একটি ত'থ্য প্রকা'শ করে বলেছে, এই ভ্যাকসিনের প্রথম ধা'পের গবেষণা সফল হয়েছে। এই ভ্যাকসিনের গবেষণা হচ্ছে আমেরিকায়।
•BioNTech ও BNT162: BioNTech ও BNT162 ভ্যাকসিনের গবেষণা হচ্ছে জার্মানিতে। প্রাথমিকভাবে ১২ জনের শরীরে এটি প্রয়ো'গ করা হয়। আরও বেশি মানুষের শরীরে এটি প্রয়ো'গ করে পরীক্ষা করার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। পরে এটি আমেরিকাতেও পরীক্ষা করা হবে।
• অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের AZD1222: এপ্রিল মাসের ২৩ তারিখে এটির ট্রা'য়াল শুরু হয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ভ্যাকসিন নিয়ে অনেকেই আশা রেখেছেন।
• Ad5-nCoV: এটি প্রথম করোনা ভ্যাকসিন যা দ্বিতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ট্রা'য়ালে প্রবেশ করতে পেরেছে। যাঁরা এটা তৈরি করছেন তাঁরা এর পাশাপাশি ইবোলার ভ্যাকসিন নিয়েও কাজ করছেন। কোভিড ১৯–এর জন্য ক্যানসিনো বায়োল'জি'ক্স ও কানাডার জাতীয় গবেষণা সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে।
• ফরাসি গবেষণা: ফরাসিন সংস্থা স্যানোফি একটি গবেষণা চা'লাচ্ছে। কিন্তু এঁদের নিয় একটি বিত'র্ক তৈরি হয়েছিল, কারণ এঁরা জানিয়েছিলেন, ভ্যাকসিন তাঁরা প্রথম আমেরিকার হাতে দেবেন। যদিও পরে ফরাসি সংস্থা সেই ম'ন্তব্য প্র'ত্যাহার করে নেয়।
• জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন: সংস্থা দাবি করেছে, তারা ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে এই ভ্যাকসিনের কাজ শুরু করেছে। যদিও তার এখনও কোনও কোনও নাম দেওয়া হয়নি। তবে সংস্থা জানিয়েছে, গবেষণা অনেক দূর এগিয়েছে। বিশেষ ব্যবহারের জন্য হয়ত জানুয়ারি, ২০২১–এর শুরুতেই এটির অনুমতি মিলবে।সূত্র: নিউজ এইটিন