আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের আসামের বাঘজানে অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের (ওআইএল) প্রাকৃতিক গ্যাসকূপের অ'গ্নিপাতের ঘ'টনা ঘ'টেছে। মঙ্গলবার আ'গু'ন লাগার খবর পেয়ে ছুটে যায় দমকল বাহিনীর কর্মীরা। আ'গু'ন নিয়'ন্ত্রণ করতে গিয়ে প্রাণ হা'রিয়েছেন দুই জন দমকল বাহিনীর কর্মী।
সংশ্লিষ্টরা বলছে আ'গুন নেভাতে সময় লাগবে অন্তত ৩-৪ সপ্তাহ। বুধবার সকালে ঘ'টনাস্থলে দুই দমকল কর্মীর ম'রদেহ উ'দ্ধার করেছেন জাতীয় দুর্যো'গ মো'কাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) সদস্যরা।
অয়েল ইন্ডিয়ার মুখপাত্র সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, দুই দমকল কর্মীর দেহদুটি ঘ'টনাস্থলের কাছে থাকা একটি জলাভূমির থেকে উ'দ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে যা বোঝা যাচ্ছে তাতে আ'গুনে পুড়ে নয়, জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে তাদের। কেননা ওই কর্মীদের দেহে আ'গুনে পুড়ে যাওয়ার কোনও চি'হ্ন নেই।
তবে কী কারণে তারা মা'রা গেলেন তা জানার জন্য তদ'ন্ত শুরু করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঘ'টনাস্থলের আশেপাশে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আ'গুনের প্রভাব পড়েছে, পাশাপাশি তেলের কূপটি থেকে ক্রমাগত দা'হ্য গ্যাস বের হওয়ায় এখনও সেই আ'গুন জ্বলছে, নেভানো সম্ভব হয়নি।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, দুই সপ্তাহ ধ'রেই গ্যাস বের হচ্ছিল কূপটি থেকে। মঙ্গলবার সেখানে হঠাৎ আ'গুন লেগে যায়। দমকলকর্মীদের পাশাপাশি ভারতীয় বিমানবাহিনীর কর্মীরাও আ'গুন নেভানোর কাজ করছেন। এছাড়াও আ'গুন নিয়'ন্ত্রণে সেনাবাহিনী এবং এনডিআরএফের কর্মীরাও কাজ করছে। এলাকার মানুষদের উ'দ্ধার ও ত্রাণ কাজে সহায়তা করছেন তারা।
আর আধাসামরিক বাহিনী গোটা অঞ্চলটিকে ঘিরে রেখেছে। গ্যাসকূপের আ'গুন নিয়'ন্ত্রণে সহায়তার জন্য সিঙ্গাপুর থেকে তিন সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল ভারতে পৌঁছে কাজ শুরু করেছে। এদিকে সিঙ্গাপুর থেকে আসা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ওই তেলের কুয়োর গ্যাস লিক করা ব'ন্ধ হতে অন্তত ৪ সপ্তাহ সময় লাগবে। ফলে এই আ'গুন আরও ভ'য়াবহ আকার নেবে বলেই আ'শ'ঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আ'গুনের লেলিহান শিখা ৩০ কিলোমিটার দূর থেকেও দেখা যাচ্ছিল। এ কারণে আশপাশের এলাকার মানুষদের নিরা'পদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আ'গুনে পুড়ে গেছে কূপের আশপাশের অসংখ্য গাছপালা, বাড়িঘর, জমির ফসল।