আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা আবহেই ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বে়ড়েছে জ'ঙ্গি কার্যকলাপ। একদিকে যেমন উপত্যাকায় এদের আনাগোনা বাড়ছে, তেমনই আবার ভারতীয় সেনাকে দু'র্ব'ল করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হানি ট্র্যাপের জাল বিস্তার করছে আত'ঙ্কবাদীরা। এমনকি গত মার্চ মাসে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুরিয়া থেকে গ্রেফতার হওয়া মহিলা জ'ঙ্গি তানিয়া পারভিনের বি'রু'দ্ধে উঠেছে এমনই চা'ঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা যাচ্ছে, তার সঙ্গে ভারতীয় এক সেনাকর্মীর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। সে আবার কলকাতা নিবাসী। সূত্রের খবর, নিজের রূপের মোহে তার থেকে একাধিক গো'পন তথ্য বের করত তানিয়া। এমনকি দুজনের মধ্যে নিয়মিত ফোনে কথাও হত। আর সেই কারণেই তাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে মরিয়া এনআইএ। সে কী তথ্য পা'চার করেছে এবং এখনও কী কী জানে এই বিষয়গুলি জানার জন্যই সম্প্রতি তাকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছে।
জানা যাচ্ছে, রূপে যতটা সুন্দরী ছিল ততটাই পড়াশুনোতেও মেধাবী ছিল তানিয়া। আর সেই কারণেই সকলের সঙ্গে সহজে মিশে যেতে পারত সে। ফলে একাধিক তরুণ তরুণীর ম'গজ ধো'লাই করে লস্কর-ই-তইবাতে সদস্যও করা এবং হানি্ ট্র্যাপের জাল তৈরি করা তার কাছে কোনও কঠিন কাজ ছিল না। কলকাতা মডিউলের লিঙ্কম্যান ছিল তানিয়া। গত মার্চ মাসে তার অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। সেই সূত্র ধ'রেই হাতে আসে এই তরুণী।
মামলার তদ'ন্তকারী পুলিশ অফিসার জানান, ছাত্রীর বাড়ি থেকে একাধিক পাকিস্তানি সিম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। স্প'র্শকাতন বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনার জন্য বেশ কয়েকটি হোয়াটসআ্যাপ গ্রুপ ওই ছাত্রী তৈরি করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এইসব গ্রুপে লস্করের ভিডিও ও নানা নথি আদানপ্রদান হয়ে থাকে। সোশাল মিডিয়া খতিয়ে দেখেই প্রথামিতভাবে ওই ছাত্রীকে খুঁ'জে বার করা হয়েছে। লস্করের আদর্শ দ্বারা ছাত্রী বাংলার বহু মানুষ ও মেয়েদের উ'স্কা'নি দেওয়ার চেষ্টা করত। আমরা তাকে জেরা করে সব জানার চেষ্টা করছি। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস