আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্প্রতি বিহার সীমান্তে নেপালি পুলিশের গু'লিতে এক ভারতীয় নিহ'ত ও দুজন গুরুতর আহ'ত হন। এ ছাড়া একজনকে ধ'রে নিয়ে যায় সীমান্তে থাকা নেপালি।
ঘটনাটি উভয় দেশের সীমান্ত নো-ম্যানস ল্যান্ড থেকে ৭৫ মিটার দূরে নেপালি ভূখণ্ডের ভেতর ঘটলেও ভারত এখন দাবি করছে, তাদের এলাকায় ঢুকে নেপালেরসশ'স্ত্র পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছিল গ্রামবাসীকে! গু'লি চালিয়ে ভারতীয় কৃষককে হ'ত্যা করেছিল।
বিহারের সিতামারি জেলার সীমান্তে হ'তাহ'তের ওই ঘটনার তিনদিন পর আ'টককৃত ব্যক্তি ও স্থানীয় বাসিন্দারা আনন্দবাজার পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, প্রায় এক ঘণ্টা ধরে দ'ফায় দ'ফায় গু'লি চলেছিল সেদিন। ১০-১২ রাউন্ড গু'লি ছোড়ে নেপালের বাহিনী। নেপাল পুলিশকে আগে কখনও এমন আচরণ করতে তার দেখেননি।
তাদের ভাষ্য কাঁটাতারবিহীন লালবন্দি-জানকীনগর সীমান্তে কখনোই কোনো ক'ড়াকড়ি ছিল না। পাসপোর্ট-ভিসার কোনো ঝামেলা না-থাকায় দুদেশের নাগরিকরা অবাধে আসা যাওয়া করেন।
ঘটনার দিন আট'ককৃত স্থানীয় বাসিন্দা লগনকিশোর তার ছেলে ও পরিবারকে নিয়ে সীমান্ত লাগোয়া নেপালের গ্রামে পুত্রবধূর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সীমান্ত পেরনোর সময় তাকে আ'টকায় নেপাল পুলিশ।
লগনের দাবি, ত'র্কাত'র্কি শুরু হলে হঠাৎই তাকে রাইফেলের বাট দিয়ে মা'রতে মা'রতে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন নেপাল সশ'স্ত্র পুলিশ। লগনের ছেলেকেও মা'রধ'র করা হয়। সে সময় কয়েকজন ভারতীয় কৃষক জমিতে কাজ করছিলেন। তারা ঘটনা দেখে এগিয়ে এলে নেপালি বাহিনী গু'লি ছু'ড়তে শুরু করে। ঘটনাস্থলেই নিহ'ত হন বিকাশ যাদব। উমেশ রাম, উদয় ঠাকুর-সহ তিন কৃষক জ'খম হন।
লগন বলেন, গু'লি চলার সময় আমি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলাম। সে সময় আমাকে আমাকে ভারতের এলাকায় ঢু'কে ফের আট'ক করে নেপাল পুলিশ। সংগ্রামপুর চৌকিতে নিয়ে গিয়ে আমাকে মা'রধ'র করা হয়। জো'র করে জবানব'ন্দি আদায় করে যে, আমি নেপালে ঢুকেছিলাম।
গত শনিবার সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ডে লগনকে ভারতীয় বাহিনীর হাতে তুলে দেয় নেপালের পুলিশ। ভারতীয় বাহিনীকে জানানো হয়, অ'স্ত্র ছি'নতাইয়ের চেষ্টার অভি'যোগে তাকে আট'ক করা হয়েছে।