আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফের উত্ত'প্ত ৩৮ প্যারালাল। উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে এই সীমান্ত রেখাটিতে মোতায়েন রয়েছে বিশ্বের সবথেকে বেশি সংখ্যক সেনা। এখানে দুই দেশের প্রায় ১০ লক্ষ সেনা দাঁড়িয়ে রয়েছেন মুখো'মুখি। এহেন সীমান্তে পরি'স্থিতি উ'ত্ত'প্ত করে একটি লিয়াজোঁ অফিস গুঁ'ড়িয়ে দিল কিম জং উনের ফৌজ।
মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ‘Yonhap News Agency’ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার 'কায়সং ইনডাস্ট্রিয়াল পার্ক'-এর কাছাকাছি একটি লিয়াজোঁ অফিসে বিস্ফো'রণ ঘ'টিয়েছে কিম জং উনের বাহিনী। এদিন সকালে প্রচ'ণ্ড শব্দে কেঁ'পে ওঠে এলাকাটি। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারিদিক।
উল্লেখ্য, সিওলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই পার্কটি বানিয়েছিল পিয়ংইয়ং। দু'দেশের মধ্যে নানা বিষয়ে আলোচনার জন্য সীমান্তে এই লিয়াজোঁ অফিসটি তৈরি করা হয়েছিল। এটিকে গুঁ'ড়িয়ে দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরু'দ্ধে কার্যত যু'দ্ধ ঘোষণা করল উত্তর কোরিয়া।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে কূ'টনৈতিক সম্পর্ক শেষ করেছেন একনায়ক কিম জং উন। তারপর থেকেই প্রকাশ্যে এসেছে নানা বিরো'ধী মন্তব্য। তারপর প্রকাশ্যেই দক্ষিণ কোরিয়াকে শেষ করে দেওয়ার হুঁ'শিয়ারি দিয়েছেন কিমের বোন ইয়ো জং। কিছুদিন আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সমাজকর্মীরা পিয়ংইয়ং-এর ক'ড়া সমালো'চনা করে বার্তা পাঠান। বেলুনের মাধ্যমে সেই বার্তা পাঠানো হয়। এতেই অস'ন্তুষ্ট হয় উত্তর কোরিয়া।
তাদের অভিযোগ, দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারই এই ধ'রনের প্রচারে উৎ'সাহ দিচ্ছে। অনেকের মতে তারপর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। পরে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছি'ন্ন করেন। এবারে লিয়াজোঁ অফিস গুঁ'ড়িয়ে দিয়ে আলোচনার সমস্ত পথ ব'ন্ধ করার বার্তা দিয়েছেন কিম বলেই মনে করছেন বিশ্লে'ষকরা। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন