আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক জাতীয় নিরা'পত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন হোয়াইট হাউসে থাকাকালীন প্রেসিডেন্টের কার্যকলাপের বিবরণসহ অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে আত্মজীবনীমূলক যে বইটি লিখেছেন, তার প্রকাশ স্থ'গিতের জন্য ট্রাম্পের অনুরোধ খা'রিজ করে দিয়েছেন দেশটির আদালত।
ট্রাম্প প্রশাসনের বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দাবি, বইটির তথ্যগুলো যুক্তিসম্মত ও সঠিকভাবে পরীক্ষা করা হয়নি। 'দ্য রুম হোয়্যার ইট হ্যাপেনড' নামের ওই বইটির কয়েক লাখ কপি মুদ্রিত ও বিতরণ হয়েছে ইতোমধ্যে। মঙ্গলবার থেকে বিক্রি শুরু হবে। বইটি ইতোমধ্যেই আলোচনার ঝড় তুলেছে।
ওয়াশিংটন ডিসি ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক রয়েস ল্যামবার্ট বলেছেন, সরকার ''প্রতিষ্ঠা করতে ব্য'র্থ হয়েছে একটি আদেশ অপূ'রণীয় ক্ষ'তি রো'ধ করবে।'' তবে তিনি অবশ্য রায়ে এও বলেছেন, বোল্টন মার্কিন জাতীয় সুরক্ষার সঙ্গে ''জুয়া খেলেছেন'' এবং ''তিনি তার দেশকে ক্ষ'তির মুখো'মুখি দাঁড় করিয়েছেন।''
সাবেক জাতীয় নিরা'পত্তা জন বোল্টন তার বইয়ে সাম্প্রতিক স্মৃতিচারণ করে তার বইয়ে ট্রাম্পকে এমন একজন প্রেসিডেন্ট হিসেবে চিত্রায়িত করেছেন, যার প্রশাসনের সকল সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় আসন্ন নভেম্বরে ( ২০২০ সালের নভেম্বর) তার পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টির ওপর ভিত্তি করে।
বইটি ''মিথ্যা ও ভু'য়া গল্পের ওপর ভিত্তি করে লেখা'' বলে অভিযো'গ ট্রাম্পের। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের এপ্রিলে দায়িত্ব নেওয়ার পর ওই বছরের সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মতানৈ'ক্যের জে'রে বোল্টন পদত্যা'গ করেন। তবে ট্রাম্প অবশ্য তখন বলেছিলেন, তাকে (বোল্টনকে) চাক'রিচ্যুত করা হয়েছে।
রায়ে যা বলেছেন বিচারক : ট্রাম্প প্রশাসনের বিচার বিভাগের আইনজীবীরা যু'ক্তি দিয়েছেন, বোল্টন তার পাণ্ডুলিপিটির প্রাক-প্রকাশের পর্যালোচনা সম্পূর্ণ করার বা'ধ্যবা'ধকতা ল'ঙ্ঘ'ন করেছেন, যাতে এটি নি'শ্চিত করা যায় যে এতে কোনও শ্রেণিবদ্ধ তথ্য নেই। তবে বোল্টনের আইনজীবীরা এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে আদালতে জো'র দিয়ে বলেছেন যে, পাণ্ডুলিপিটি পুঙ্খা'নুপু'ঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং ট্রাম্প স্বাভাবিকভাবেই বইটির বিষয়বস্তু পছন্দ করেননি। এটা ছিল অনুমিত।
শনিবার প্রকাশিত তার রায়টিতে বিচারক ল্যামবার্ট লিখেছেন, ''জাতীয় গোয়ে'ন্দা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন না পেয়েই নিজের বই প্রকাশের বিষয়টি নিজের হাতে নেওয়ার মাধ্যমে বোল্টন সম্ভবত দেশের জন্য অপূ'রণীয় ক্ষ'তি করেছেন। তবে ইন্টারনেট যুগে, প্রচলিত কয়েকটি মুদ্রণও অনিবা'র্যভাবে গো'পনীয়তা ন'ষ্ট করতে পারে। স্থানীয় কফি শপ থেকে বহু দূর পর্যন্ত তার বিষয়বস্তু ছড়িয়ে দিতে পারেন একজন মানুষ। বিশ্বের বার্তাকক্ষগুলোতে হাজার হাজার কপি ছড়িয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে যে ক্ষ'তি হয়ে গেছে তা পুন'রু'দ্ধারের উপায় নেই।''
রায়ের পরপরই ট্রাম্প স্বভাবসুলভ ভ'ঙ্গিমায় টুইটারে অ'ভিযো'গ তুলে বলেছেন, বোল্টন ''শ্রেণিবদ্ধ তথ্য (প্রচুর পরিমাণে) প্রকাশ করার মাধ্যমে আইন ল'ঙ্ঘ'ন করেছেন। পূর্বে অন্যদের মতোই তাকেও (বোল্টনকে) অবশ্যই এর জন্য খুব বড় মূল্য দিতে হবে। এমনটা আরও কখনও হওয়া উচিত নয়।''