আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সমাজতন্ত্রের মুখো'শে অধা'র্মিক চীন জন্ম দিয়েছে নয়া সা'ম্রাজ্যবা'দের। বাংলাদেশের মু'ক্তিযু'দ্ধের বিরো'ধী শক্তি চীনই দায়ি করোনা ম'হামা'রির মধ্যেও যু'দ্ধের দা'মা'মা বা'জানোর জন্য। পাকিস্তানকে বগলদাবা করার পর এখন চীনের লক্ষ্য আরও বহু দেশে আ'ধিপ'ত্য বি'স্তা'র। লাদাখে চীনের আসল স্বরূপ ফুটে উঠেছে।
মানবসভ্যতার বিরো'ধী চীন নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে সীমান্তে বারবার উত্তে'জনার সৃষ্টি করছে। বিনা প্ররোচনায় লাদাখে ২০ জন ভারতীয় সেনাকে নৃশং'সভাবে হ'ত্যা করে। আসলে চীন গোটা দুনিয়ায় বিস্তার করতে চায় নিজেদের সাম্রাজ্য। তাদের 'ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড' কর্মসূচি আসলে নয়া সা'ম্রা'জ্যবা'দী পদক্ষেপ। কোভিড-১৯ জন্য বেশ বি'পাকে চীন। এই পরি'স্থিতিতে ভারত সীমান্তে উত্তে'জনা সৃষ্টি করে চীন দুনিয়ার দৃষ্টি অন্য দিকে ঘো'রাতে চাইছে।
ব্রিটিশদের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ছকে আ'ধিপ'ত্য বিস্তার করতে চাইছে বিভিন্ন দেশে। অন্যদিকে ভারত এখনও পন্ডিত জওহরলাল নেহরুর আমলে গৃহীত পঞ্চশীল নীতিতেই অটল। তাই চীনের লালফৌজের হাতে ২০ জন ভারতীয় সেনার নৃ'শং'স হ'ত্যাকা'ণ্ডের পরও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সর্বদলীয় বৈঠকে দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, 'ভারত সাংস্কৃতিকভাবে একটি শান্তিকামী দেশ। ভারতের আদর্শ মন্ত্র হল- লোকা : সমাস্ত : সুখিনো ভবন্তু। আমরা প্রত্যেক যুগে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ উপায়ে মিলেমিশে কাজ করছি।'
১৯৫৪ সাল থেকেই ভারতের জো'টনি'রপেক্ষ বিদেশনীতি পঞ্চশীলের সারমর্মই হলো, অন্য দেশের অ'খ'ণ্ডতা ও সার্বভৌ'মত্বের প্রতি শ্রদ্ধা। অ'নাক্র'মণ নীতি আগলে অন্য রাষ্ট্রের অভ্য'ন্তরীণ বিষয়ে হ'স্তক্ষেপ না করে পারস্পরিক সাম্য ও সহযোগিতা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও কথা বলে সম'স্যার সমাধান করে আসছে। কিন্তু চীন ঠিক উল্টো'পথে হাঁটছে চিরকাল। তিব্বত ও হংকং তার বড় প্রমাণ। চীনের ব'র্বরো'চিত দ'খলদা'রিতে মানবাধিকার ল'ঙ্ঘি'ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
লাদাখ সীমান্তে এ'কতর'ফাভাবে দ্বিপা'ক্ষিক চু'ক্তি ল'ঙ্ঘ'ন করেছে চীনের লালফৌজ। ১৯৯৩ সালে উভয় দেশ চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল প্রকৃত নিয়'ন্ত্রণরেখা (এলএসি) টপকে কেউ অন্য পারে যাবে না। ১৯৯৬ সালে ঠিক হয়, সেনারা মুখো'মুখি হলে আলোচনায় বসবেন। ২০০৫-এর সিদ্ধান্ত, কোনও পক্ষই গু'লি চালাবে না। ২০১৩-য় ঠিক হয়, অন্য পক্ষের টহলদার সেনাকে অনুসরণ করা হবে না। কিন্তু কোনও শর্তই মানেনি চীনের লালফৌজ। বরং সীমান্তে ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তে'জনার সৃষ্টি করেছে।
আসলে করোনা নিয়ে আন্তর্জাতিক চা'প কমাতেই চীন বাজিয়েছে যু'দ্ধের দামামা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নি'শ্চিত, চীনের উহানে পরীক্ষাগার থেকেই ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবিতে সোচ্চার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনও। সবার দৃষ্টি ঘোরাতেই সীমান্ত নিয়ে নতুন খেলা শুরু করেছে চীন সরকার।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তবের সাফকথা, ''চীনের এই হা'মলা পূর্ব নির্ধা'রিত ও পরিক'ল্পিত। দু'পক্ষের সেনার মৃত্যুর জন্য দা'য়ী চীন।'' তার এই বক্তব্যের সমর্থন মিলেছে আন্তর্জাতিকস্তরেও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ফ্রান্স, জার্মান, জাপান, মলদ্বীপ প্রকাশ্যে চীনা আ'ক্র'মণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে চা'প বাড়াচ্ছে বেজিংয়ের উপর।
পূর্ব এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক মার্কিন বিদেশ দফতরের অতিরিক্ত সচিব ডেভিড স্টিলওয়েল বলেছেন, ''হংকং ও ভারতের উপর চীনা পদক্ষেপ সমর্থনযোগ্য নয়।'' অতিরিক্ত সচিব স্টিলওয়েল পম্পেওর বলেন, ''আগেও সীমান্তে চীনা আ'গ্রাস'ন ধ'রা পড়েছে। ২০১৫ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং-এর ভারত সফরের পর সীমান্তে চীনের আ'গ্রা'সন অতীতের তুলনায় আরও বেড়েছে।''
অথচ ভারত চিরকালই অন্যান্য প্রতিবেশীদের মতো চীনের সঙ্গেও বন্ধুত্ব চেয়ে এসেছে। জাতিসংঘের নিরা'পত্তা পরিষদে চীনের স্থায়ী সদস্য পদের পক্ষেও কাজ করেছিল দিল্লি। ১৯৫০ চামদোর যু'দ্ধে চীনের তিব্বত দ'খলের পরও ভারত পঞ্চশীল নীতিকেই আগলে ধ'রে। চীনা প্রধানমন্ত্রী চৌ-এন-লাই নিজেও নেহরুর পঞ্চশীল নীতির প্রশংসা করেছিলেন। সেটা ছিলো ছলনা। চীন বরাবরই সাম্রাজ্যবাদী মনোভাব পোষণ করেছে।
তাই ১৯৬০ সালে নেহেরু সীমান্ত বিরো'ধ মেটাতে ঝৌ এনলাইয়ের সঙ্গে আলোচনা বসলেও ভারতের কূটনৈ'তিক দৌরাত্ম ব্য'র্থ হয়। ভারতে চীনা আ'ক্রণের সূ'ত্রপা'ত হয় ১৯৬২ সালে। ১৯৬৭ সালে সিকিমের নাথু লা এবং চো লা এলাকায় র'ক্তক্ষ'য়ী সং'ঘর্ষের পর অনুপ্রবেশকারী লাল ফৌজকে বিতা'ড়িত করেছিল ভারতীয় সেনারা। ১৯৭৫ সালে অরুণাচল প্রদেশের টুলুং লা এলাকায় আসাম রাইফেলস এর টহল বাহিনীর চার জওয়ানকে খু'ন করেছিল চীনা সেনারা।
তবু ভারত চিরকাল সীমান্তে শান্তিই চেয়েছে। আসলে মানবতাকে বৃ'দ্ধাঙ্গু'লি দেখানো চীন সব সময়ই ভৌগলিক ও বাণিজ্যিক প্রভা'ব অক্ষু'ণ্ণ রাখতে ম'রিয়া। বাংলাদেশের মু'ক্তিযু'দ্ধের সময় চীনের ভূমিকা সবারই জানা। মু'ক্তিযু'দ্ধের সময় চীন পাকিস্তানকে 'উপহার' হিসেবে পাঠিয়েছিল ২৫৫টি ট্যাংক, এক স্কোয়াড্রন ইল-২৮ বিমান ও ২০০ সামরিক প্রশিক্ষক। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর অবশ্য ব্যবসায়িক দৃ'ষ্টিভ'ঙ্গিতে বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করেছে চীন।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো ফের বণিকের ছদ্মবেশে বাংলাদেশের শা'সনদ'ণ্ড দ'খল করতে চাইছে না তো চীন? ইতিমধ্যেই কিন্তু পাকিস্তানে নিজেদের আধি'পত্য বিস্তা'রে তারা অনেকটাই সফল। এখন চাইছে তাদের মুদ্রা ইহান চালু হলেই কেল্লাফতে। পাকিস্তান পুরো'পুরি তাদের ক'ব্জা'য় চলে আসবে। তাই বিরো'ধিতাও শুরু হয়েছে ইসলামাবাদে। রোহিঙ্গা নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের সখ্যতা সবার জানা।
আসলে মিয়ানমারের সমুদ্র ঘাঁ'টি আর বাংলাদেশের বাজার দখল করতে চায় চীন। কোনও আত্মীয়তা বা বন্ধুত্বে বিশ্বাসী নয় কমিউনিস্ট দেশটি। চাইছে মহাজনি কারবার। ঋণের ফাঁ'দে আ'টকাতে চায় বাংলাদেশকে। দ'খল করতে চায় বাজার। বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ ৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলারেরও বেশি। সম্প্রতি, বাংলাদেশকে চীনের পক্ষ থেকে মোট ৮ হাজার ২৬৫টি পণ্যকে ৯৭ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়া হয়।
১ জুলাই থেকে নতুন সুবিধা কার্যকর হবে। এটা মুদ্রার দৃশ্যত একটি দিক, অন্য দিকটি ভ'য়'ঙ্কর। নিজেদের আঞ্চলিক আ'ধিপ'ত্য বজায় রাখতে ঋণের বোঝায় বাঁ'ধতে চাইছে বাংলাদেশকে। প্রতির'ক্ষার ক্ষেত্রটাও নিজেদের দ'খলে আগেই নামিয়েছে। ধর্মচর্চার বিরো'ধী এই চীন থেকেই আসে বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ স'মরা'স্ত্র। বাংলাদেশের সা'র্বভৌ'মত্বও বি'পদে পড়ার সম্ভা'বনা রয়েছে। কারণ চীন সমাজতান্ত্রিক মুখো'শে বাড়াতে চাইছে নিজেদের সাম্রাজ্য।
গণতান্ত্রিক ভারতের লক্ষ্য শুধু নিজেদের অখ'ণ্ডতা বজায় রাখা। প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্বের নীতিতে বিন্দুমাত্র টোল খায়নি। বি'পদে-আ'পদে প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়িয়েছে চিরকাল। হংকং বা তিব্বতের মতো কোনও দ'খ'লদারি ভারতের নেই। সুশৃঙ্খল ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রতিবেশীর বি'প'দে ঝাঁ'পিয়ে পড়লেও ঔপ'নিবেশি'কতায় বিশ্বাসী নয়। কিন্তু চীনের লালফৌজ ভারতের অ'নাক্র'মণ নীতিকে দু'র্ব'লতা মনে করে বারবার প্ররোচিত করছে।
চীনের ওই মনোভাবই সার্কভুক্ত দেশগুলোর জন্য ভবিষ্যতে বি'পদের কারণ হতে পারে। দক্ষিণ এশিয়ায় অশান্তি পাকিয়ে সেই অশান্তির আ'গুনে নিজেদের স্বা'র্থসি'দ্ধিতে ম'রিয়া চীন। তাই তাদের বণিকের ছদ্মবেশে ভালোমানুষির মু'খো'শ থেকে বাংলাদেশেরও সত'র্ক থাকা জরুরি। মনে রাখা প্রয়োজন বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশে ভারত সার্বিক সহযোগিতা করলেও স'ক্রি'য় বিরো'ধিতা করেছিল চীন। এখনও তাদের পাকিস্তানের প্রতি বন্ধুত্ব মু'ক্তিযু'দ্ধের চেতনার শ'ত্রু। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন