মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০২০, ০৯:৫৩:০৮

ফের অমানবিকতা; উইঘুর মুসলিম নারীদের যা করতে বাধ্য করছে চীন

ফের অমানবিকতা; উইঘুর মুসলিম নারীদের যা করতে বাধ্য করছে চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দীর্ঘদিন থেকে সংখ্যাল'ঘু উইঘুর মুসলিমদের আ'টক করে নি'র্যা'তন করে আসছে চীন। এবার দেশটির পক্ষ থেকে জনসংখ্যা কমাতে জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলমান নারীদের জন্মনিয়ন্ত্রণ ডিভাইস ব্যবহারে বাধ্য করছে চীন। 

চীনা গবেষক আদ্রিয়ান জেনজের এক প্রতিবেদনে এ ত'থ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদ'নটি প্রকাশের পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জাতিসংঘকে এ অ'ভিযো'গ তদ'ন্তের আহ্বান জানিয়েছে। তবে চীনের পক্ষ থেকে এটিকে ''ভিত্তিহী'ন'' বলে দাবি কর হয়েছে।

চীনে উইঘুরদের ব'ন্দি শিবিরে আ'টকের বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই বিশ্বে সমালো'চিত হয়েছে চীন। ধা'রণা করা হয়, পুনঃশিক্ষার অজুহাতে ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে ব'ন্দি শিবিরে আ'টক করে রেখেছে চীন। চীনের দাবি, তাদেরকে কারিগরি শিক্ষা দিতে এই 'পুনঃশিক্ষা' শিবিরে রাখা হয়েছে। 

গত বছর বিবিসির এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে যাতে বেড়ে উঠতে না পারে সেজন্য উইঘুর মুসলমান সন্তানদের তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে কৌশলে বি'চ্ছিন্ন করে ফেলছে চীন। সরকারি আঞ্চলিক পরিসংখ্যান, নীতি নির্ধারণী নথিপত্র এবং শিনজিয়াংয়ের নারীদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে জেনজের প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

এতে অ'ভিযো'গ করা হয়েছে, গর্ভপা'ত না ঘটালে উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যাল'ঘু নারীদের ব'ন্দিশিবিরে নিয়ে যাওয়ার হু'মকি দেয় চীনা কর্মকর্তারা। যেসব নারীর সন্তান সংখ্যা দুইয়ের কম তাদের জরায়ুতে জো'র করে জন্মনি'য়ন্ত্রণ ডিভাইস প্রতিস্থা'পনের আইনি বৈধতা দেওয়া হয়েছে। অন্যদের অ'পারে'শনের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে বন্ধ্যা করা হয়। এছাড়া যেসব নারীর সন্তান সংখ্যা দুইয়ের বেশি তাদের বড় অংকের জরি'মানা করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ''২০১৬ সালের শেষ দিক থেকে ব্যা'পক নি'পী'ড়ন শুরু হওয়ার পর শিনজিয়াং একটি নিষ্ঠুর পুলিশি রাজ্যে পরিণত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে জন্মনিয়'ন্ত্রণ ব্যবস্থার ব্যক্তিস্বাধীনতায় জ'রদ'স্তিমূলক রাষ্ট্রীয় হ'স্তক্ষে'পের সর্বব্যাপী চেহারা উঠে এসেছে।''

জেনজের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিনজিয়াংয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার না'টকীয়ভাবে কমে এসেছে। ২০১৫ ও ২০১৮ সালের মধ্যে উইঘুরদের দুটি অঞ্চলে জন্মহার ৮৪ শতাংশ কমেছে। ২০১৯ সালে এই হার আরও কমেছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে