বৃহস্পতিবার, ০২ জুলাই, ২০২০, ০৯:৫৮:১৩

ঝাঁ'পিয়ে পড়ে গো'লাগু'লির মাঝে আ'টকে পড়া শিশুকে বাঁ'চালো ভারতীয় সেনারা

ঝাঁ'পিয়ে পড়ে গো'লাগু'লির মাঝে আ'টকে পড়া শিশুকে বাঁ'চালো ভারতীয় সেনারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রতিদিন সকালের মতো গতকালও নাতিকে সঙ্গে নিয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন কাশ্মীরেরর বাসিন্দা বশির। কিন্তু বি'পদ যে মাঝরাস্তায় ছিল, সেটা তিনি জানতেন না। ভারতের সিআরপিএ জওয়ানদের কনভ'য়ে এ'লোপাথা'রি গু'লি ছু'ড়তে শুরু করে স্বাধীনতাকামীরা। পা'ল্টা গু'লি চালায় ভারতীয় সেনারাও। সেই গু'লির মাঝে পড়ে যান সেই প্রবীণ মানুষটি। গু'লি এসে লাগে তার শরীরে। ঘটনাস্থলেই মা'রা যান তিনি। গণমাধ্যমের খবর, নাতিকে বাঁচাতে নিজের শরীরই গু'লির দিকে পেতে দিয়েছিলেন বশির।

জম্মু কাশ্মীরের সোপোর এলাকায় গতকাল সিআরপিএফের কনভ'য়ে হা'মলা চালায় সেখানকার স্বাধীনতাকামীরা। ভারতের একজন জওয়ান নিহ'ত হন এতে, তিনজন গু'রুতর আহ'ত হয়েছেন। ন্বাধীনতাকামীদের গু'লিতেই মা'রা গেছেন- ভারতীয় মিডিয়ায় এমন দাবি তোলা হলেও আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিষয়টি স্পষ্ট নয় কোন পক্ষের গু'লিতে ওই প্রবণ মা'রা গেছেন। তবে গু'লাগু'লি থেমে যাওয়ার পর ভারতীয় সেনারা গিয়ে শিশুটিকে কোলে নেয়, সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করে। দাদুর ম'রদেহের সামনেই ঘো'রাঘুরি করছিল শিশুটি। নাম আয়াদ। আনন্দবাজার বলছে, শিশুর মায়ের বাবা বশির। তার মানে আয়াদের নানা  তিনি।

ঘটনাস্থলে সবার আগে পৌঁছান সোপোর এলাকার এসএইচও আজিম খান। তিনি বলেন, সকাল ৮টা নাগাদ আমরা খবর পাই ওই এলাকায় তখন ব্যাপক ভিড় ছিল। প্রচুর গাড়ি চলে ওই রাস্তা দিয়ে। স্বাধীনতাকামীরা উঁচুতে থাকা একটি মসজিদের ওপরের দিকে থেকে এলোপাথাড়ি গু'লি ছু'ড়তে শুরু করে।

তিনি আরো জানান, আমাদের তিনজন জওয়ান আহ'ত হয়। সেই সময় ওই বৃদ্ধ গু'লিবি'দ্ধ হন। তারপরই আমরা দেখতে পাই এক শিশু ওই বৃদ্ধের মৃ'তদেহের পাশে ঘুরছে। আমরা তখনই ওকে বাঁ'চানোর জন্য ঝাঁ'পিয়ে পড়ি। স্বাধীনতাকামীরা তখনো গু'লি ছুড়ে যাচ্ছিল। শিশুটিকে ওখান থেকে বের করে আনা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু আমরা যে করেই হোক ওকে বাঁ'চাবো বলে ঠিক করি।

তিনি আরো বলেন, সবার আগে আমরা ওই জায়গাটা ব্ল'ক করার চেষ্টা করি। যাতে ওদের গু'লি আট'কানো যায়! সেই সময় সিআরপিএফ ও জম্মু পুলিশের কয়েকটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি এনে জায়গাটা ব্ল'ক করা হয়। তারপর আমরা বাচ্চাটিকে উ'দ্ধার করি। ওকে তার বাড়ির লোকের কাছে পৌঁ'ছে দেওয়া হয়েছে। তবে তার দাদুকে বাঁ'চাতে না পারার আফসোস রয়েছে আমাদের।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে