আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও গভর্নর জেনারেল জুলি পায়েটের বাসভবনের কাছ থেকে এক সশ'স্ত্র সেনা সদস্যকে গ্রে'ফতার করা হয়েছে। গ্রে'প্তারকৃ'ত ৪৬ বছর বয়সী সেনাবাহিনীর ওই সদস্যের নাম কোরি হুরেন। শুক্রবার বিকালে টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
তবে সশ'স্ত্র ওই সেনা সদস্য কেন প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন এলাকায় প্রবেশ করেছিলেন তা এখনও জানা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বাসভবনের সদর দরজার ২০০ মিটারেরও কাছ থেকে তাকে গ্রে'ফতার করা হয়েছে। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আরসিএমপি আরও জানিয়েছে, শুক্রবার হুরেনের সঙ্গে কমপক্ষে একটি ব'ন্দু'কসহ বেশ কয়েকটি অ'স্ত্র ছিল।
হুরেনের বি''রুদ্ধে নি'ষি'দ্ধ ব'ন্দু'ক রাখা, আগ্নে'য়া'স্ত্র সং'র'ক্ষণ এবং বি'প'জ্জনক উদ্দেশ্যে আ'গ্নেয়া'স্ত্র রাখাসহ ২২টি অ'ভিযো'গ আনা হয়েছে। ফোনে সং'ক্ষি'প্ত আদালতের উপস্থিতিতে হুরেন তার পুরো নাম এবং জন্ম তারিখ শান্তভাবে বলেছেন। তার আইনজীবী মাইকেল ডেভিস মামলাটি ১৭ জুলাই পর্যন্ত স্থ'গিতের জন্য বলেছেন। সহকারি ক্রাউন অ্যা'টর্নি মেঘান কানিংহাম ক্রাউন হুরেনকে মুক্তি দেয়ার বিরো'ধিতা করেছেন।
ঘ'টরার সময় ট্রুডো বা তার পরিবার কেউই তাদের রিদাউয়ের বাড়িতে ছিলেন না। গভর্নর জেনারেল জুলি পায়েতও রিদাউ হলে ছিলেন না। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো শুক্রবার বলেছেন, কেউই এ ধ'রনের ঘ'টনা প্রত্যাশা করেন না। স'ত'র্কতার জন্য তিনি তার নিরা'পত্তা কর্মীদের প্রতি কৃত'জ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এক বিবৃতিতে কানাডার সশ'স্ত্র বাহিনী বলেছে, হুরেন চতুর্থ রেঞ্জের পেট্রোল গ্রুপের একজন মাস্টার কর্পোরাল। কোভিড -১৯ মহামা'রীর সময় তিনি অস্থায়ীভাবে পূর্ণকালীন ডিউটিতে রিজার্ভ ছিলেন। তবে গ্রে'ফতারের সময় তিনি সিএএফের কোনও সামরিক কাজে ছিলেন না। তিনি কমা'ন্ডারের কমা'ন্ড না জেনে নিজের ইচ্ছামতো অটোয়ায় যাত্রা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, সন্দে'হভা'জন কোরি হুরেন বৃহস্পতিবার ভোরবেলায় একটি গাড়ি নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ঢুকে পড়েন। তিনি গাড়ি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও গভর্নর জেনারেলের সরকারি বাসভবনের দিকে যেতে থাকেন। একপর্যায়ে গাড়ি ন'ষ্ট হয়ে গেলে তিনি পায়ে হেঁটে এগিয়ে যেতে থাকেন। কোনো ধ'রনের অঘ'টন ছাড়াই তাকে ধ'রে ফেলে টহল পুলিশ।