রবিবার, ০৫ জুলাই, ২০২০, ১০:৫১:৫০

করোনার প্রথম ঢেউ চলছে, দ্বিতীয় ঢেউ এখনও আসেনি, আক্রা'ন্ত হবে ৬০ কোটি ও মৃ'ত্যু ৩৭ লাখ!

করোনার প্রথম ঢেউ চলছে, দ্বিতীয় ঢেউ এখনও আসেনি, আক্রা'ন্ত হবে ৬০ কোটি ও মৃ'ত্যু ৩৭ লাখ!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রাণঘা'তী করোনাভাইরাসে বিপর্য'স্ত হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাসের তা'ণ্ডবে অস'হায়ে পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর আধুনিক রাষ্ট্র আমেরিকাও। ধ্বং'সযজ্ঞে পরিণত হয়েছে ব্রিটেন, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স ও ব্রাজিল। শুধুই তা-ই নয়, এই ভাইরাস একযোগে তা'ণ্ডব চালাচ্ছে বিশ্বের কমপক্ষে ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে। এতে চরম অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বর্তমান বিশ্ব।

বিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউ চলছে। দ্বিতীয় ঢেউ এখনও আসেনি। তাতেই পুরোপুরি বিপর্য'স্ত হয়ে পড়েছে মানবসভ্যতা। পৃথিবীর কোনায় কোনায় পৌঁছে যাওয়া এ ভাইরাসে আক্রা'ন্তের সংখ্যা ১ কোটি ১৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মা'রা গেছে ৫ লাখ ৩৩ হাজারেরও  বেশি মানুষ।

দিন দিন প'রিস্থিতি খারাপই হচ্ছে। আর অদূর ভবিষ্যতে করোনা বিদায় নিচ্ছে না, বরং আক্রা'ন্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াতে পারে ৬০ কোটিতে। আর মা'রা যেতে পারে ৩৭ লাখ মানুষ।
যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী ম্যাগাজিন দ্যা ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে এমন আশ'ঙ্কার কথাই প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন, তাইওয়ান, ভিয়েতনামের মতো কিছু দেশ মহামারি নিয়ন্ত্রণে এনেছে; লাতিন আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়ায় এখনও ভাইরাসের তা'ণ্ডব চলছে; যুক্তরাষ্ট্রের মতো আরও কিছু দেশ নিয়ন্ত্রণ হারানোর পথে রয়েছে; আফ্রিকার দেশগুলো রয়েছে মহামা'রির প্রাথমিক পর্যায়ে; ইউরোপ আছে এগুলোর মাঝামাঝি কোনও অবস্থানে। সামনে আরো ভ'য়াবহ দিন আসছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

৮৪টি দেশের ওপর গবেষণা চালিয়ে সম্প্রতি ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি জানিয়েছে, প্রতিটি নতুন রোগী শনাক্তের বিপরীতে আক্রা'ন্ত ১২ জন অশনা'ক্তই থেকে যাচ্ছে। আর করোনায় প্রতি দুইটি মৃ'ত্যুর বিপরীতে তৃতীয়টিকে অন্য রোগের ফলাফল বলে মনে করা হচ্ছে।

তারা বলছে, উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি না আসলে ২০২১ সালের মাঝামাঝি করোনায় আক্রা'ন্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ২০ থেকে ৬০ কোটিতে। আর মৃ'ত্যু হতে পারে ১৪ থেকে ৩৭ লাখ মানুষের। এই সময়ের মধ্যে সারা বিশ্বের ৯০ শতাংশ মানুষই করোনা ভাইরাসে আক্রা'ন্ত হয়ে পড়ার ঝুঁ'কিতে থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার হার নির্ভর করবে মূলত সামাজিক নিয়ন্ত্রণের ওপর। টেস্টিং, ট্রেসিং এবং আইসোলেশন- এই তিনটি ধাপে নিয়ন্ত্রণ করা যায় করোনাভাইরাস। এরমধ্যে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয় লকডাউন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে