রবিবার, ০৫ জুলাই, ২০২০, ০৬:৩৭:৪৩

বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারত আরও উদার না হলে, চীনের আধিপত্য আরও জোরালো হবে: ভারতীয় গবেষক

বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারত আরও উদার না হলে, চীনের আধিপত্য আরও জোরালো হবে: ভারতীয় গবেষক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীন-নেপাল ও পাকিস্তানের সঙ্গে দ্ব'ন্দ্বে দক্ষিণ এশিয়ায় এখন নানামুখী সং'কটে ভারত। বাংলাদেশের সঙ্গেও বেনাপোলে বন্ধ আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। এ অবস্থায় নয়াদিল্লির সঙ্গে কূটনীতিতে ঢাকাকে আরও কৌশলী হওয়ার পরামর্শ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের। আর ভারতীয় গবেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারত আরও উদার না হলে, এ অঞ্চলে চীন তার আধিপত্য আরও জোরালো করবে।

লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় গেলো ক'দিন ধরে মু'খোমু'খি অবস্থানে ভারত ও চীন। সীমান্তে দু'পক্ষই বাড়িয়েছে সেনা উপস্থিতি। স'ন্ত্রাসবাদ উ'স্কে দেয়া নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের বাকযু'দ্ধও বর্তমানে চ'রমে। নেপালের সঙ্গে চলছে ভারতের সীমান্ত বি'রোধ। তেমন মধুর নয়, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কও। এ অবস্থায় খোদ ভারতীয় বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় এখন নানামুখী চা'পে নয়াদিল্লি।

ভারত দ্য হিন্দু সিনিয়র সাংবাদিক কল্লোল ভট্টাচার্য বলেন, '৬ বছরে মোদীর চায়না বিরোধী যে পলিসি ছিলো সেটা অসফল। আমরা চীনের সাথে সামরিক জটিলতা চাই না। বাংলাদেশ সম্পর্কেও অপ'মান জনক কথা বলা হয়েছে।'

বাংলাদেশি বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে নয়, অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে থাকা দেশই নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হবে। এক্ষেত্রে ঢাকাকে তার আমদানি-রফতানির দিক বিবেচনা করে করণীয় ঠিক করার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক শাহাব এনাম খান বলেন, 'বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ঠিক পথে আছে। শ্রীলঙ্কা, ভুটান, মালদ্বীপ প্রত্যেকটা রাষ্ট্রেরই কিন্তু অর্থনৈতিক চাহিদাটা মূখ্য।' করোনা মহামা'রির এই সময়ে, ভারত-চীন বা ভারত-পাকিস্তান সংকট আরও প্রক'ট হলে, তৃতীয় কোনো পক্ষ হ'স্তক্ষেপের সুযোগ নেবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে