সোমবার, ০৬ জুলাই, ২০২০, ০৫:০৯:১৯

২০৩৬ পর্যন্ত কেন রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকতে চান? জানালেন পুতিন

২০৩৬ পর্যন্ত কেন রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকতে চান? জানালেন পুতিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আরও ১৬ বছর ক্ষ'মতায় থাকতে সংবিধান সংশো'ধনে গণভোটের আয়োজন করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেই গণভোটে ভূ'মিধ'স বিজয় হয়েছে এই দো'র্দ'ণ্ড প্রতা'পশা'লী শা'সকের। ফলে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে তার আর কোনো বা'ধা নেই। 

তথা ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষ'মতায় থাকার মনোবাসনা পূরণ হচ্ছে পুতিনের। পুতিনের এই প'দক্ষে'পে রাশিয়ায় একনা'য়কতন্ত্র কায়েম হচ্ছে বলে বিশ্বজুড়ে স'মালো'চনা হচ্ছে। তবে এসব স'মালো'চনা গায়ে মাখতে নারাজ সাবেক কেজিবি পুতিন।

কেন ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষ'মতায় থাকতে চান তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। বলেছেন, তার দেশের সোভিয়েত ইউনিয়ন আমলের সংবিধান ছিল ''ধী'রগতির মাইন'' যা দেশকে ধ্বং'সের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল; কাজেই সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দুঃ'খজনক পরিণ'তি রো'ধ করতেই সংবিধান সংশো'ধন করা হয়েছে। তথা রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব ধ'রে রাখা সমৃদ্ধির লক্ষ্যেই তার এ সিদ্ধান্ত।

তিনি রাশিয়ার সরকারি চ্যানেল ওয়ানকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে সোভিয়েত ইউনিয়নের প'তনের প্রতি ই'ঙ্গিত করে এসব কথা বলেন। পুতিন বলেন, যে সংবিধান বিশেষ একটি শ্রেণিকে তাদের নিজেদের ও কমিউনিস্টদের ভাগ্যকে গোটা জাতির ভাগ্যের সঙ্গে জুড়ে দেয়ার অনুমতি দেয় তা বিল'ম্বিত মা'ইন ছাড়া আর কিছু নয়। পুতিন বলেন, কাজেই এই মা'ইনের বি'স্ফো'রণ থেকে দেশকে র'ক্ষা করার জন্য সংবিধান সংশো'ধন ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না।

গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত গণভোটে সংবিধান সংশো'ধনের পক্ষে শ'তকরা ৭৭ ভাগ ভোট পড়ে। স'মালো'চকরা বলছেন, ভ্লাদিমির পুতিন এ সংশো'ধনীর মাধ্যমে মূলত আজী'বন ক্ষ'মতায় থাকার ব্যবস্থা পা'কাপো'ক্ত করেছেন। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বিষয়টিকে মোটেও তার ব্যক্তিগত স্বার্থ র'ক্ষার হা'তিয়ার হিসেবে দেখতে না'রাজ। 

তিনি সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, ১৯৭৭ সালের সংবিধানে সরকারের সব কাজ কম্যুনিস্ট পার্টির নিয়'ন্ত্রণে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল এবং এই পার্টির হাত থেকে অন্য কারও কাছে ক্ষ'মতা হ'স্তা'ন্তরের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। এ কারণে কম্যুনিস্টরা তাদের ভাগ্যকে জাতির ভাগ্যের সঙ্গে জুড়ে দিতে পেরেছিল!

ভ্লাদিমির পুতিন এ নিয়ে চার মেয়াদে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। প্রথম দুই মেয়াদে ৮ বছর ক্ষ'মতায় ছিলেন তিনি। ২০১২ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংবিধান সং'শো'ধন করে পার্লামেন্টের মেয়াদ ৬ বছর করেন। ২০২৪ সালে তার চতুর্থ দফার মেয়াদ শেষ হবে। মাঝে যে ৪ বছর তিনি প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন না, সে সময়ও তিনি ছিলেন ক্ষ'মতার খুব কাছাকাছি। 

সাংবি'ধানিক বা'ধ্যবা'ধকতা বজায় রাখতে বিশ্বস্ত ও অনুগত একজনকে প্রেসিডেন্ট করে নিজে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ৪ বছর। পরে আবারও প্রেসিডেন্ট পদে ল'ড়ে ক্ষ'মতায় আসেন। দীর্ঘ এই শা'সনকালে সাবেক কেজিবিপ্রধান নিজেকে রাশিয়ার একজন শ'ক্তিশালী শা'সকে পরিণত করেছেন। এতেও ক্ষা'ন্ত হননি তিনি। আরও ক্ষ'মতায় থাকার ইচ্ছা তার। এ কারণেই এই গণভোট।

রাশিয়ার বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, এক ব্যক্তি একটা'না দুবারের বেশি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০০০ সাল থেকে দুই মেয়াদে চার বছর করে মোট আট বছর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এরপর সাংবিধানিক বা'ধ্যবা'ধকতা পালন করতে তিনি নিজের অনুগত রাজনীতিবিদ দিমিত্রি মেদভেদেভকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী করে নিজে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। 

২০১২ সালে মেদভেদেভের মেয়াদ শেষ হলে পুতিন আবার প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসেন। ক্ষ'মতার মেয়াদ দীর্ঘ করতে প্রেসিডেন্টের মেয়াদ ৪ বছরের জায়গায় ৬ বছর করেন পুতিন। ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে টানা দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন শেষ হবে ভ্লাদিমির পুতিনের। গণভোটে জয়ী হওয়ার ফলে ২০৩৬ সাল পর্যন্ত নি'শ্চিন্তে ক্ষ'মতায় থাকতে পারছেন সাবেক কেজিবি প্রধান।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে