সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০, ১০:০৮:৩৫

'চীন ভারতের জমি ছিনিয়ে নিল'

'চীন ভারতের জমি ছিনিয়ে নিল'

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সেনাসূত্রে খবর, লাদাখের যে চারটি জায়গায় ভারত ও চীনের সেনা মু'খোমু'খি দাঁড়িয়েছিল, সেখান থেকে ৬০০ মিটার দূরত্বে সরে গিয়েছে দু’দেশের সেনা-ই। তা ছাড়া, চীনের পাবলিক লিবারেশন আর্মি যেখানে আ'গ্রাসন দেখিয়ে অনেকটা এগিয়ে এসেছিল, ১,৫৯৭ কিলোমিটারের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এমন অনেক পয়েন্ট থেকেই সরে দাঁড়িয়েছে তারা।

ITBP ও BSF-এর ডিজি এসএস দেসওয়াল জানিয়েছেন, দেশের ভূখণ্ড রক্ষা করতে সম্পূর্ণ সমর্থ ভারত। গ্রাউন্ড রিপোর্ট বলছে, ১৫ জুনের সংঘর্ষস্থল থেকেও দেড় কিলোমিটার সরেছে চীনা সেনা। কিন্তু সেটা যদি হয়, সেক্ষেত্রে দু’দেশের সেনার মধ্যে কোনও বাফার জোন নেই বলেই মনে করছেন সেনা আধিকারিকরা। এক সেনা আধিকারিকের কথায়, ‘আমরা দু’পক্ষই এমন অবস্থানে সরে গিয়েছি, যাতে কোনও দু'র্ঘটনা বা সংঘ'র্ষ মাথাচাড়া না দেয়।’

লাদাখ থেকে যখন এমন খবর মিলছে, তখন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কিন্তু তাঁর আ'ক্রমণ জা'রি রেখেছেন। শনিবারও তিনি দাবি করেছিলেন, চীন নিয়ে ক্রমাগত মিথ্যে বলে চলেছেন মোদী। রবিবার একটি অনলাইন নিউজ আউটলেটের রিপোর্ট শেয়ার করে রাহুলের টুইট, ‘মোদীজির রাজত্বে এটাই হল--- চীন ভারতের জমি ছিনিয়ে নিল।’ শেয়ার করা রিপোর্টের মূল বক্তব্য, ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে চীনের সরে যাওয়া নিয়ে মিডিয়াকে ভুল বোঝাচ্ছে সরকার।’

শনিবার গ্লোবাল উইকের বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর দাবি করেছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে চীনা সেনা সরানোর প্রক্রিয়া চলছে। এর আগে, মোদী সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চীন, দু’পক্ষই নিজেদের অবস্থান থেকে দু’কিলোমিটার করে সরেছে। তাতে বিরোধীদের প্রশ্ন, ‘ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে ভারতীয় সেনাদেরই সরানো হচ্ছে কেন?’

চীনে বসবাসকারী মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করল ওয়াশিংটন। আমেরিকা তাদের নাগরিকদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছে, যে কোনও সময় চীনা প্রশাসন তাঁদের গ্রে'প্তার করতে পারে। কোনও কারণ দেখানো হবে না। দেওয়া হবে না কনস্যুলার অ্যাকসেসও।

ফলে তাঁদের ‘অতিরিক্ত সাবধান’ হয়ে চলাফেরার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ হেন সত'র্কতার কারণ কী, তা জানা যায়নি। আমেরিকাও সরকারি ভাবে কিছু জানায়নি। চীন সম্প্রতি জাতীয় নিরাপত্তা আইন পাশ করিয়েছে। তার মাধ্যমে কারণ ছাড়াই যে কাউকে গ্রে'প্তার করা যেতে পারে।

ইতিমধ্যেই হংকংয়ে এই আইন প্রয়োগ করে বহু লোককে গ্রে'প্তার করা হয়েছে। আমেরিকার অনুমান, তাদের নাগরিকদেরও মুখ বন্ধ করার জন্য চীন এই আইন প্র'য়োগ করতে পারে। তাঁদের অকারণে আটক/গ্রে'প্তার করা হবে, দীর্ঘ জেরা করা হবে, দেওয়া হবে না কোনও দূতাবাসীয় সাহায্যও।-এই সময়

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে