বুধবার, ২২ জুলাই, ২০২০, ১০:০৭:৩৯

করোনা তা'ণ্ডবে বিপর্য'স্ত ভারত, শুধু দিল্লিতেই ৬ মাসে আক্রা'ন্ত ৪৭ লাখ!

করোনা তা'ণ্ডবে বিপর্য'স্ত ভারত, শুধু দিল্লিতেই ৬ মাসে আক্রা'ন্ত ৪৭ লাখ!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসের তা'ণ্ডবে বিপর্য'স্ত ভারত। আক্রা'ন্ত ও মৃ'তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। দিল্লির ২৩ শতাংশ মানুষই করোনা আ'ক্রা'ন্ত! মঙ্গলবার এমনই বি'স্ফোরক তথ্য তুলে ধরল দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তারা জানাচ্ছে, ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল (এনসিডিসি)-এর চালানো সেরো সার্ভে-তে চা'ঞ্চল্যকর এই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। ভারতের রাজধানীর জনসংখ্যা ২ কোটির কাছাকাছি। তার মধ্যে গত ৬ মাসে প্রায় ৪৭ লাখ মানুষ এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রা'ন্ত হয়েছেন বলে মত দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের।

২৭ জুন থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত ওই গবেষণা চালিয়েছিল এনসিডিসি। তাদের সহযোগিতা করেছিল দিল্লি সরকার। সেই গবেষণাতেই উঠে এসেছে এই তথ্য। আরও জানা গেছে, আক্রা'ন্তদের বেশিরভাগই উপসর্গহীন।

সেরোলজিক্যাল সার্ভে কী? সেরো অর্থাৎ সিরাম বা র'ক্তরস। তা পরীক্ষা করেই এই সমীক্ষা করা হয়। কোনও ব্যক্তির শরীরে ভাইরাস সং'ক্রমণ হলে তাঁর দেহ যে প্রোটিন তৈরি করে তাই আসলে অ্যান্টিবডি। ভাইরাসের বিরু'দ্ধে ঢালের কাজ করে ওই অ্যান্টিবডি। তা র'ক্তে পাওয়া গেলেও নিশ্চিত হওয়া ওই ব্যক্তির শরীরে ভাইরাস সং'ক্রমণ ঘটেছিল। এ ক্ষেত্রে র'ক্তরস পরীক্ষা করে দেখা হয়েছিল, র'ক্তে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কিনা। সেই পরীক্ষা যে ফল এসেছে তা এ দিন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেরো সার্ভের মাধ্যমে জানা গেছে দিল্লিতে গত ৬ মাসের মধ্যে গড়ে ২৩.৪৮ শতাংশ মানুষ করোনা আক্রা'ন্ত হয়েছিলেন। এই গবেষণায় এটাও ধ'রা পড়েছে যে, আক্রা'ন্তরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপসর্গহীন। দিল্লির ১১টি জেলায় ওই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের থেকে লিখিত অনুমতি নিয়েই ওই পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। এলিসা টেস্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে চালানো এই পরীক্ষা দেশের মধ্যে অন্যতম বড়। এ ক্ষেত্রে ২১ হাজার ৩৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।

এ দিন সারা দেশে করোনা আক্রা'ন্তের সংখ্যা সাডে ১১ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। দিল্লিতে আক্রা'ন্তের সংখ্যা ১ লাখ ২৩ হাজারের কিছু বেশি মৃ'ত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৬৬৩ জনের। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ দিনের যে তথ্য সামনে এসেছে তা অবাক করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, লকডাউন, কন্টেনমেন্ট বিধি এবং নানা ন'জরদারির প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সং'ক্রমণে রোধ করা গেছে। সেই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব মানা, মাস্ক পরার কথাও মেনে চলতে বলা হয়েছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে