শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০২০, ১১:০৫:৫৭

যিনি করোনার ভ্যাকসিন তৈরির আশা দেখাচ্ছেন বিশ্বকে

যিনি করোনার ভ্যাকসিন তৈরির আশা দেখাচ্ছেন বিশ্বকে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসের বিরু'দ্ধে একটা দীর্ঘ ল'ড়াই শুরু করেছিলেন। এখনও একই ছন্দে, একই উদ্যমে সেই ল'ড়াই জা'রি রেখেছেন তিনি। লক্ষ্য একটাই এই বিশ্বকে করোনামু'ক্ত করতে চান। অক্সফোর্ডের চ্যাডক্স ভ্যাকসিনের নাম এখন আমরা সবাই জানি। কিন্তু মানুষের হিতার্থে যিনি এখনও ভ্যাকসিনের ক্লি'নিকা'ল ট্রা'য়ালের ল'ড়াই চা'লিয়ে যাচ্ছেন তাঁর নাম জানি কি? তিনি ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ড. সারাহ গিলবার্ট।

করোনার ঝ'ড়ে এখনও বিধ্ব'স্ত বিশ্ব। শুক্রবার অবধি এই ভাইরাসে আক্রা'ন্ত হয়েছে দেড় কোটিরও বেশি মানুষ। কোভিড থা'বায় মৃ'ত্যু হয়েছে ৬ লক্ষ ৩০ হাজারের। সংখ্যা এখনও উ'র্ধ্বমুখী। সেই সংখ্যায় যতবার দেখেছেন এই মহিলা বিজ্ঞানী, ততবারই হার না মা'না উদ্যো'গ নিয়ে ভ্যাকসিন প্রস্তুতের ল'ড়াইয়ে নিজের সব ভাবনা উ'জার করে দেন সারাহ গিলবার্ট।

তিনি একাধারে বিখ্যাত বিজ্ঞানী, অন্যদিকে তিন সন্তানের জননীও। ঘর সা'মলে বিজ্ঞানের কাজে মনোনিবেশ করেন নিপু'ণ দক্ষ'তায়। খুব ভালো বাঁশি (ওবয়ে) বা'জান সারাহ। গাড়ি নয় সাইকেল চা'লিয়েই কর্মক্ষেত্রে যান বিজ্ঞানী। বিশ্বের বিজ্ঞানমহ'লে সারাহ গিলবার্ট খ্যাত একজন ‘ব্রি'লিয়া'ন্ট ভ্যা'কসিনো'লজি'স্ট’ হিসেবে। করোনা আ'বহে যে ভ্যাকসিনের দিকে চাতকের মতো চেয়ে আছে বিশ্ব, সেখানে তাঁর তৈরি চ্যাডক্স ভ্যাকসিনই এই মুহু'র্তে ন'জর কা'ড়ছে দুনিয়ার।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই ভ্যাকসিনের প্রাথমিক ক্লি'নিকা'ল ট্রা'য়াল কতটা সফল তা ২০ জুলাই প্রকাশিত হয়েছে ল্যানসেট জার্নালে। সেই প্রতিবে'দনের সহ-লেখক সারাহ গিলবার্ট। প্রতিবেদ'নটিতে বলা হয়েছে, “এই ভ্যাকসিনটি সুর'ক্ষার ক্ষেত্রে উপযোগী। যেমন প্রয়োজন সেই মতো দেহে অ্যা'ন্টিব'ডিও তৈরি করতে সক্ষ'ম হচ্ছে। এর অর্থ হল মানবদেহে এই ভ্যাকসিন রো'গপ্রতিরো'ধ ক্ষমতাকে পু'নরু'দ্ধা'র করতে পারছে এবং এটি মানব শরীরের জন্য সম্পূর্ণ সু'র'ক্ষি'ত।”

বিশ্বের ভ্যাকসি'নোলজি'স্টদের মধ্যে অন্যতম হলেন ড: সারাহ গিলবার্ট। ব্রিটেনের বিখ্যাত ভ্যাকসিন রিসার্চ সেন্টার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনের ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিনোলজিস্টের প্রফেসর তিনি। বিভিন্ন সং'ক্রা'মিত ব্যা'ধি এবং ক্যানসারের বিরু'দ্ধে ইমি'উনোথে'রাপি প্রোডাক্টও তৈরি করেছেন। প্রায় ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধ'রে মানবদেহে টি সে'ল-কে কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় সেই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন সারাহ। টি-সেল হল এক ধরণের শ্বে'তর'ক্তক'ণিকা, যা মানবদেহে রোগ প্রতিরো'ধ ব্যবস্থা গড়ে তো'লে। 

এছাড়াও ম্যালেরিয়া, ই'নফ্লু'য়ে'ঞ্জা, টি'উবার'কিউলো'সিসের মতো রোগের বিরু'দ্ধে কীভাবে কাজ করান যেতে পারে টি সেলকে সেই বিষয়টি নিয়েও কাজ করেন এই মহিলা বিজ্ঞানী। লাসসা, নিপাহ, মা'র্স (মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সি'ন্ড্রো'ম) ভাইরাসের বিরু'দ্ধে ভ্যাকসিন তৈরিতে নিজের দক্ষ'তা বিশ্বের কাছে তু'লে ধ'রেছিলেন ড. সারাহ।

তিনি বিখ্যাত তাঁর কাজে। কর্মকেই জীবনের মূলম'ন্ত্র করেছেন। প্রচার বিমু'খ থাকতে চান বলেই অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের সাফল্যর খবর নিয়ে মুখ খু'লতে দেখা যায়নি তাঁকে। ন'র্দাম্প'শায়ারের কে'টে'রিং গার্লস হাই স্কুলের একদা এই ছাত্রী নম্র, শান্ত এবং অসম্ভব মেধাবী ছিলেন ছোটবেলা থেকে। আর পরিবার ছিল মিউজিকের প্রতি নিবেদিত প্রাণ। লন্ডনের অপেরা সোসাইটির সঙ্গে যু'ক্ত ছিল সারাহ পরিবারের অনেকেই।

১৭ বছর বয়সেই সারাহ ঠিক করে নেন তিনি মেডিকাল রিসা'র্চার হবেন। এরপর আর পিছন ফিরে তা'কাতে হয়নি। গ্র্যাডুয়েশন, পিএইচডি শেষ করে বায়ো'টেকনো'লজির একাধিক সং'স্থায় কাজ করেন। ডেলটা সংস্থায় কাজ করতে গিয়ে শেখেন ওষুধ তৈরির কাজ। এরপর ধী'রে ধী'রে চলে আসে ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে। সং'ক্রা'মিত ব্যা'ধির থেকে বিশ্বকে বাঁ'চানোর লক্ষ্যে এগিয়ে চ'লেন ড. সারাহ গিলবার্ট।

উত্তর দিতে গিয়ে বেশ সত'র্ক ছিলেন ড. সারাহ গিলবার্ট। তবে আশার আলোয় উজ্জ্বল ছিল মুখ। সংবাদসংস্থা বিবিসিকে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে সারাহ বলেন, ‘কেউই একেবারে নিশ্চি'ত করে কিছু বলতে পারে না এই ক্লি'নিকা'ল ট্রা'য়ালের মধ্যে। আমিও পারি না। তবে সম্ভাবনা রয়েছে এই বছরেই ভ্যাকসিন পেয়ে যাওয়ার। তবে সম্ভা'বনাকে কোনও নিশ্চি'ত এটা বলা যায় না।’ সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে