আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা মহামা'রির কারণে ব'ন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাই বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে অনেক দেশে শিক্ষা ব্যবস্থাকে এখন অনলাইন পাঠদান চালু করা হয়েছে। আর অনলাইনের পাঠদান করতে হলে ন্মাট ফোন প্রয়োজন। কিন্তু এই ব্যবস্থায় সামর্থ্যবানদের কোনো সমস্যা না হলেও বি'পদে পড়েছেন অস্ব'চ্ছল খে'টে খাওয়া মানুষ। অনলাইনে ক্লাসের জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস জো'গাড় করতে হি'মশি'ম খা'চ্ছেন তারা। এমনই এক ব্যক্তি কুলদীপ কুমার। তিনি ভারতের হিমাচল প্রদেশের গুমর গ্রামের বাসিন্দা।
করোনার কারণে গত মার্চ থেকে ভারতে লকডাউন শুরু হয়। বন্ধ হয়ে যায় স্কুল-কলেজ। কুলদীপের দুই সন্তান— আনু ও দিপু। তারা যথাক্রমে পঞ্চম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। সম্প্রতি স্কুল থেকে অনলাইনে ক্লাসের জন্য চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন অন্তত একটি স্মার্টফোন। গরিব খে'টে খাওয়া কুলদীপের সেই সামর্থ্য নেই। তবে সন্তানদের শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো আ'পো'স করতে রাজি নন তিনি। শুরুতে স্মার্টফোন কিনতে ঋণের জন্য চেষ্টা করেন কুলদীপ। কিন্তু অনেক চেষ্টার পরও ব্য'র্থ হন। বা'ধ্য হয়ে গরু বিক্রি করে একটি স্মার্টফোন কেনেন।
কুলদীপ কুমার বলেন, ‘অনলাইন ক্লাস চালু হওয়ার পর থেকে শিক্ষকরা আমাদের ওপর চা'প সৃষ্টি করতে থাকে যে, সন্তানদের লেখাপড়া চা'লিয়ে যেতে একটি ডি'ভা'ইস কিনতে হবে। স্মার্টফোন কেনার জন্য অন্য কোনো উপায় না পেয়ে গরু বিক্রির সিদ্ধা'ন্ত নিই। স্মার্টফোনের অভাবে সন্তানরা অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে পারছে না ভেবে আমার অনেক খা'রা'প লাগত। তাই আমি ৬ হাজার রুপিতে একটি গরু বিক্রি করেছি।’
হ'তদরিদ্র কুলদীপ স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে একটি মাটির বাড়িতে থাকেন। তার স্ত্রী দিন মজুর হিসেবে কাজ করেন। পাশাপাশি গরুর দুধ বিক্রি করে সংসার চা'লান। আর্থিক অবস্থা খা'রাপ হলেও কোনো সরকারি সুযোগ সুবিধা পান না তারা। তবে স্মার্টফোন কেনার জন্য গরু বিক্রির খবর ছ'ড়িয়ে পড়লে স্থানীয় সাংসদ তাকে আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রু'তি দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুলদীপের এই ঘ'টনা ভাই'রাল হয়েছে। অনেকেই সন্তানদের শিক্ষার জন্য তার এই কাজের প্রশংসা করছেন। আবার কেউ কেউ তাকে সাহায্যের আগ্রহ প্র'কাশ করেছেন।