রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০২০, ০৮:১৯:১৮

রুপকথার কল্পনাকেও হার মানাবে অযোধ্যার রাম মন্দির

রুপকথার কল্পনাকেও হার মানাবে অযোধ্যার রাম মন্দির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১৯৯০ সালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তৎকালীন প্রধান অশোক সিংহল তাকে রাম মন্দিরের তৈরির দায়িত্ব দিয়েছিল। তারপর থেকে কেটে গিয়েছে ৩০ বছর। তখন থেকে গত বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত রাম মন্দিরের প্রস্তাবিত খস'ড়া ব'ন্দি ছিল আমেদাবাদের প্রথিতযশা স্থপতি চন্দ্রকান্ত সোমপুরার ড্রয়িং বোর্ডেই। কিন্তু, গত সাত-আট মাসে পুরো বিষয়টিই বদলে গিয়েছে। 

২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর দেশের সর্বোচ্চ আদালত বিত'র্কিত জমিতে রাম মন্দির তৈরির রায় দেয়। তারপর থেকেই ব্যস্ততা বেড়েছে চন্দ্রকান্ত সোমপুরা ও তার কর্মচারীদের। কারণ আগের খসড়ার থেকে আরও বড় করে গড়ে তোলা হচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত এই মন্দির। চন্দ্রকান্ত সোমপুরার সংস্থা সিবি সোমপুরা আমেদাবাদের অফিসে বসে তার কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর থ্রি ডি ডিজাইনের মডেল তৈরি করছেন। আগের খসড়ার থেকে যা অনেকটাই আলাদা। আরও বড়। 

রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের সদস্যদের সঙ্গে কথাবার্তা শেষ করে ডিজাইনের কাজ প্রায়ও শেষও হয়ে এসেছে। নতুন মডেল অনুযায়ী, রাম মন্দিরের উচ্চতা আগের থেকে আরও ১৬০ ফুট বেড়ে হয়েছে ৩৬৬ ফুট। আর সিঁড়ি হবে প্রায় ১৬ ফুট উচ্চতার। তিনটি চূড়ার মন্দিরে ভগবান রামের পাশাপাশি থাকবে সীতা, লক্ষ্মণ, গণেশ ও হনুমানের মূর্তি। ১৯৯০ সালে প্রথম যখন মন্দির তৈরি করার পরিকল্পনা হয়েছিল তখন ৩ লক্ষ কিউবিক ফুট বালিপাথর ব্যবহার করার পরিক'ল্পনা ছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের। কিন্তু, নতুন ছক অনুযায়ী বালিপাথরের পরিমাণ হবে ৬ লক্ষ কিউবিক ফুট।

এপ্রসঙ্গে চন্দ্রকান্ত সোমপুরার ছেলে ৪৯ বছরের আশিস সোমপুরা জানান, ১৯৯০ সালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তৎকালীন সভাপতি অশোক সিংহল তার বাবাকে রাম মন্দির তৈরির দায়িত্ব দিয়েছিলেন। এরপরই অশোক সিংহলের সঙ্গে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের জন্য প্রস্তাবিত জমি দেখতে যান চন্দ্রকান্ত। কিন্তু, তখনও এর গুরুত্ব বুঝতে পারেননি। পরে ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর যখন বাবরি মসজিদ ভাঙা হয় তখনই এই বিষয়টি যে আর পাঁচটি মন্দির তৈরির থেকে সম্পূর্ণ আলাদা তা বুঝতে পেরেছিলেন তিনি। 

তবে ১৯৯৬ সালের পরে মন্দির তৈরির কাজে গতি কমে যাওয়া তিনি ও তার পরিবারের লোকেরা কিছুটা হতা'শ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু, গত নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে ফের খুশির আমেজ ছড়িয়েছে পরিবারের সদস্যদের মনে। আর তারপর থেকে তারা সবাই অপেক্ষা করছেন নতুন এক ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার জন্য।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে