আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এখনও বাজার আসেনি করোনার ভ্যাক্সিন। তবে প্রতিষে'ধক বাজারে আসার আগেই ধর্মীয় বিভা'জন শুরু। অক্সফোর্ডের গবেষকদের ফ'র্মু'লা মেনে করোনার প্রতিষে'ধক বানাবে ভারতীয় সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট। সেই সংস্থারই শীর্ষ কর্তা এবার করোনার ভ্যাক্সিন নিয়ে ধর্মীয় বিভা'জনের প্রসঙ্গ তুললেন।
অক্সফোর্ডের তৈরি করোনার ভ্যাক্সিনের যে ডোজ সেরাম ইন্সটিটিউট বানাবে তা পার্সি সম্প্রদায়ভুক্তদের জন্য সংর'ক্ষণের ই'ঙ্গিত দিয়েছেন সংস্থার কর্ণধার। এমনকী সংস্থার চেয়ারম্যান সাইরাস পুনাওয়ালাও নাকি ঘনি'ষ্ঠদের তেমনই ই'ঙ্গিত দিয়েছেন। সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনই দাবি করা হয়েছে।
গোটা বিশ্ব মা'র'ণ করোনার গ্রাসে। করোনা ভ'য়াব'হ পরি'স্থিতি তৈরি করেছে এদেশও। গত কয়েকদিন ধ'রে প্রায় ৫০ হাজার করে মানুষ নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রা'ন্ত হচ্ছেন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। এই পরি'স্থিতিতে বিশ্বজুড়ে আশার আলো জাগিয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাক্সিন।
ইতিমধ্যেই প্রাথমিক পর্যায়ে অক্সফোর্ডের ভ্যাক্সিন আশাতীত ফল করেছে। এখনও পর্যন্ত যাদের এই ডোজ দেওয়া হয়েছে, তাদের কারও পার্শপ্রতি'ক্রিয়া হয়নি। এমনকী ভ্যাক্সিন দেওয়ার পর তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরিরও প্রমাণ মিলেছে। অক্সফোর্ডের তৈরি ভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার ফল আশানুরূপ হলেই পুরোদমে এই ভ্যাক্সিন তৈরির কাজ শুরু করে দেবে বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট।
তবে ভ্যাক্সিন তৈরির কাজ শুরুর আগেই তা নিয়ে ধর্মীয় ভে'দাভে'দ শুরু করে দিল খোদ প্রস্তুতকারক সংস্থাই। বিত'র্কের সূ'ত্রপাত 'আপগ্রেট' কর্মকর্তা রনি স্ক্রুওয়ালার একটি টুইট ঘিরে। সেরাম কর্ণধার আদর পুনাওয়ালাকে উদ্দেশ্য করে ওই ব্যবসায়ী টুইটে লেখেন, ''ভ্যাক্সিন তৈরির কাজে নেতৃত্বে রয়েছেন একজন পার্সি। বিশ্বজুড়ে পার্সিদের সংখ্যা কমছে। এই পরি'স্থিতি করোনার ভ্যাক্সিন বেরোলে প্রথমে পার্সিদের জন্য এই ভ্যাকসিন সংর'ক্ষণ করে রাখা উচিত।''
রনির এই টুইটটির পরেই জবাবে পাল্টা টুইট করেন আদর পুনাওয়ালা নিজেও। তিনি লেখেন, 'নিশ্চই। আগে আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে ভ্যাকসিন জমিয়ে রাখব। আমার সংস্থা একদিনেই গোটা বিশ্বের পার্সি সম্প্রদায়ভুক্তদের জন্য ওষুধ তৈরি করে ফেলতে পারবে।' তবে সরকারিভাবে সংস্থার তরফে কিছুই জানানো হয়নি।