সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০২০, ০৯:৪৪:৪১

আয়া সোফিয়ার সেই ‘সেলিব্রিটি’ বিড়ালের ভাগ্যে কী ঘটবে?

আয়া সোফিয়ার সেই ‘সেলিব্রিটি’ বিড়ালের ভাগ্যে কী ঘটবে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাদুঘর আয়া সোফিয়া দীর্ঘ প্রায় ৮৬ বছর পর মসজিদে রূপান্তর করেছে তুরস্ক। সম্প্রতি দেশটির প্রশাসনিক আদালতের এক রায়ের পর প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এ ঘোষণা দেন। গত শুক্রবার ৯ দশক পর আয়া সোফিয়ায় পবিত্র আজানের ধ্বনি শুনেছে মুসলিম জাহান। টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছে জুমার নামাজের দৃশ্য। 

তুরস্কের ঐতিহাসিক স্থাপনা আয়া সোফিয়ায় আছে গ্লি নামের একটি বিড়াল। গ্লি বেশ জনপ্রিয়, নানা কারণে বিখ্যাতও। তবে সম্প্রতি আয়া সোফিয়া মসজিদে রূপান্তরের সিদ্ধান্তের পর স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক গণমাধ্যমে উঠে আসে গ্লি। কী ঘ'টবে প্রাণীটির ভাগ্যে? 

বার্তা সংস্থা রয়টার্স তুরস্কের কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানায়, আয়া সোফিয়াতেই থাকবে বিড়ালটি। আয়া সোফিয়া মিউজিয়াম থাকার সময় দর্শনার্থীদের প্রিয় হয়ে উঠে ধূসর রঙের শরীর ও সবুজ জ্বলজ্বলে চোখের গ্লি। ২০০৯ সালে এক সফরে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বিড়ালটির সঙ্গে ছবি তোলেন। এরপরে বিখ্যাত হয়ে উঠে গ্লি।

দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেন, গ্লিসহ যেসব বিড়াল এ জায়গাটিতে আছে, তারা এখানেই থাকবে। তিনি বলেন, এই বিড়ালটি অনেক বিখ্যাত হয়ে গেছে এবং আরো বিড়াল আছে যেগুলো এতটা বিখ্যাত নয়। এই বিড়ালটি তো থাকছেই, অন্য বিড়ালগুলোও আমাদের মসজিদে থাকতে পারবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ জনপ্রিয় গ্লি। তার নামে ইনস্টাগ্রামে আছে একটি অ্যাকাউন্টও। উমুত বাহচেচির নামে এক ব্যক্তি চার বছর ধ'রে অ্যাকাউন্টটি চালান। ইনস্টাগ্রামে গ্লির আছে প্রায় ৫০ হাজার ফলোয়ার। অ্যাকাউন্টটিতে বিড়ালটিতে ছবি পোস্ট করা হয়ে থাকে। দর্শনার্থীরাও তাদের তোলা ছবি তোলা ট্যাগ করেন।

উমুত বলেন, আমি যখনই (আয়া সোফিয়ায়) যেতাম গ্লিকে দেখতাম। সে মডেলের মতো পোজ দিতো। মানুষ আমাকে লিখতো, গ্লি তোমাকে দেখতে ইস্তানবুলে আসবো। খুব ভালো লাগতো। গত ১১ জুলাই ১৯৩৪ সালের এক ডিক্রি অবৈ'ধ ঘোষণা করে আয়া সোফিয়াকে ফের মসজিদে রূপান্তরের পক্ষে রায় দেয় আদালত। প্রশাসনিক আদালত থেকে রায় পাওয়ার এক ঘণ্টা পর নতুন ডিক্রি জারি করেন এরদোয়ান।

আয়া সোফিয়া ১৯৩৫ সালে তুরস্কের ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্রের যাদুঘর হিসাবে পুনরায় খোলা হয়েছিল। আয়া সোফিয়া ছিল, ২০১৪ সালে, তুরস্কের দ্বিতীয় সর্বাধিক পরিদর্শন করা যাদুঘর, বার্ষিক প্রায় ৩.৩ মিলিয়ন দর্শনার্থী এতে আকৃষ্ট হতো। সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, আয়া সোফিয়া ২০১৫ এবং ২০১৯ সালে তুরস্কের সবচেয়ে বেশি পর্যটন-আকর্ষণীয় স্থান ছিল।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে