আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সমা'লোচনার মুখে পদত্যা'গ করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জাফর মির্জা এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা তানিয়া এদ্রু'স। বুধবার (২৯ জুলাই) তারা পদত্যা'গপত্র জমা দিলে তা গ্রহ'ণ করেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান।
পাকিস্তানের ডনসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সম্প্রতি পাকিস্তানের ওষুধের দাম বৃ'দ্ধি পাওয়ার এবং তার বিরু'দ্ধে অব্যব'স্থাপনার অভি'যোগে উ'ঠলে সমা'লোচনার মু'খে পড়েন তিনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক কর্মকর্তা জাফর মির্জা করোনাভাইরাস প্র'তিরোধে কাজ করেছেন বলে জানা গেছে। পদত্যা'গের পর এক টুইট বা'র্তায় জাফর মির্জা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা ও সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে চলমান নে'তিবাচক সমা'লোচনার মু'খে আমি পদত্যা'গ করার সি'দ্ধান্ত নিয়েছি।
টুইটে তিনি আরও বলেন, আমি সততার সঙ্গে ক'ঠোর প'রিশ্রম করেছি। পাকিস্তানকে সেবা করতে পারাটা আমার জন্য ছিল অগ্রাধিকার। আমি সন্তুষ্ট যে এমন এক সময়ে পদত্যা'গ করছি যখন পাকিস্তানে করোনাভাইরাস ক'মতে শুরু করেছে। আর সেটা সম্ভব হয়েছে সমন্বিত জাতীয় প্রচেষ্টার ফলে।
অপরদিকে ইমরান খানের সদ্য সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা তানিয়া এদ্রুস পাকিস্তান ও কানাডার নাগরিক। দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে সম্প্রতি তিনি সমা'লোচনার মুখে পড়েন বলে খবরে বলা হয়েছে। এ কারণে তানিয়া পদত্যা'গ করেছেন।
পদত্যা'গের পর তানিয়া বলেন, ডিজিটাল পাকিস্তান গড়ার যে উদ্দেশ্য, সেটাকে কালো মেঘের ছাঁ'য়ায় ঢে'কে দিয়েছে আমার দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে করা সমা'লোচনা। সুতরাং বৃহত্তর জনস্বার্থে আমি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টার পদ থেকে সরে দাঁ'ড়ানোর জন্য পদ'গ্যা'তপত্র জমা দিয়েছি। তবে আমি আমার দেশ ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য কাজ করে যাব।
চলতি মাসে ইমরান খানের উপদেষ্টাদের তথ্য সামনে আসার পরই স'মালোচনায় বি'দ্ধ করেন বিরোধী নেতারা। প্রধামন্ত্রী ইমরান খানের ১৭ উপদেষ্টার মধ্যে ৪ জনের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে এবং দুজনের বিদেশে স্থায়ী আবাসস্থল রয়েছে। এ নিয়েই বি'রোধীরা ইমরানের তী'ব্র সমা'লোচনা করলে পদত্যা'গ করেন তারা।