বৃহস্পতিবার, ০৬ আগস্ট, ২০২০, ১১:২৮:০৯

বি'শাল উ'দ্ধারকারী বাহিনী নিয়ে লেবাননে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট

বি'শাল উ'দ্ধারকারী বাহিনী নিয়ে লেবাননে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বি'শাল উ'দ্ধারকারী বাহিনী নিয়ে লেবাননে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। ভ'য়াব'হ বি'স্ফো'রণে বি'ধ্ব'স্ত হয়ে পড়া লেবাননের রাজধানী বৈরুত সফর করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) এই সফরে তিনি দেশটিকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ডাক দিয়েছেন সংস্কারের। টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘লেবানন একা নয়।’ তবে ম্যাক্রোঁ সতর্ক করে দিয়ে বলেন, রাজনৈতিক অ'স্থির'তায় আক্রা'ন্ত লেবানন গভীর অর্থনৈতিক সং'কটে রয়েছে আর জ'রুরি ভি'ত্তিতে দেশটিতে সংস্কার আনা না হলে এই সং'কট আরও তী'ব্র হতে পারে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) দুই দ'ফায় ভ'য়াব'হ বি'স্ফো'রণে কেঁ'পে ওঠে লেবাননের রাজধানী বৈরুত। বি'স্ফো'রণ এতই শ'ক্তিশালী ছিল যে ২৪০ কিলোমিটার দূরে সাইপ্রাস থেকেও ক'ম্পন অনু'ভূত হয়েছে। এই ধ্বং'সলী'লায় নিহ'তের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ১৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আহ'ত হয়েছেন আরও প্রায় ৫ হাজার। ক্ষ'তি হয়েছে শত শত কোটি ডলারের। 

লেবানন বলছে, গুদামে মজুত থাকা রাসায়নিক পদার্থ ‘অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট’ থেকেই বি'স্ফোরণ ঘটেছে। তবে এই ঘটনার পর থেকেই ক্ষো'ভে ফুঁসছে সেখানকার বাসিন্দারা। এই বিপ'র্যয়ের জন্য রাষ্ট্রীয় অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করছেন তারা। এমন প'রিস্থিতিতে প্রথম বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বৈরুতে পৌঁছান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট।

বৃহস্পতিবার বৈরুত পৌঁছে বি'স্ফো'রণস্থ'ল পরিদর্শন করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সাগরপাড়ের জায়গাটি বর্তমানে 'ধ্বং'সস্তু'পে পরিণত হয়েছে। বি'স্ফো'রণে তৈরি হওয়া ১৪০ মিটারের বিশাল গর্তটি সাগরের পানিতে পূর্ণ হয়ে গেছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বি'স্ফো'রণে ধ্বং'সস্তু'পে পরিণত হওয়া একটি ফার্মেসি পরিদর্শনে গেলে বাইরে সমবেত হয় ক্ষু'ব্ধ বাসিন্দারা। এএফপি জানিয়েছে, নিজ দেশের নেতৃত্বকে ‘স'ন্ত্রা'সী’ আখ্যা দিয়ে ‘শোষণ অবসানের’ দাবিতে স্লোগান দেয় তারা।

এদিকে বৈরুতে পৌঁ'ছে উ'দ্ধার তৎ'পরতা শুরু করেছে ফরাসি উ'দ্ধারকা'রীরা। ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল, চিকিৎসা সামগ্রী এবং বিশে'ষ'জ্ঞদের সমন্বয়ে ফরাসি উ'দ্ধার'কারীরা একটি ভে'ঙে পড়া ভবনে আ'টকে পড়া বেশ কয়েকজনকে জী'বিত উ'দ্ধারের 'চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ওই স্থান পরিদর্শনে গেলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে জানানো হয় তাদের উ'দ্ধারের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।

বৈরুতের গভর্নরের প্রাথমিক হিসাবে বি'স্ফো'ণের কারণে প্রায় তিন হাজার মানুষ সাময়িকভাবে আশ্রয়হীন হয়েছে। এসব মানুষের পুনরায় আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে ইতোমধ্যে ঋণ জর্জরিত দেশটির অতিরিক্ত তিনশ’ কোটি ডলার ব্যয় হবে বলে জানান তিনি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে