সোমবার, ১০ আগস্ট, ২০২০, ১২:৪২:০৫

শেষ হতে চলেছে করোনার প্রকোপ?

শেষ হতে চলেছে করোনার প্রকোপ?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনার ভ্যা'কসিন বাজারে আসা সময়ের অপেক্ষা হলেও, তা প্রথম ধাপে কতটা কার্যকরী হবে তা নিয়ে স'ন্দেহের অবকাশ নেই। তবে এবার আশার বার্তা নিয়ে এসেছে বিশেষজ্ঞরা। করোনার প্রকো'প কমবে বলে দা'বি করছে তারা।

বিশেষজ্ঞদের রি'পোর্ট  অ'নুযায়ী ৪০ শতাংশ করোনা আক্রা'ন্তদের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে কোনও উপস'র্গ নেই। এই রকম উপস'র্গহীন করোনাই ধীরে ধীরে ছ'ড়াবে। যার ফলে একসময় করোনার বিশেষ কোনও উপস'র্গ আর থাকবে না। এতেই করোনার প্রকোপ কমার দিকে যাবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বস্টন আশ্রয়শিবিরে ১৪৭ জন করোনা আক্রা'ন্তের মধ্যে ৮৮ শতাংশের কোনও উপস'র্গ মেলেনি। অথচ তারা করোনা আক্রা'ন্ত। নর্থ ক্যারোলিনা, আরকানসাস, ওহিও এবং ভার্জিনিয়ায় ৩ হাজার ২৭৭ জন আক্রা'ন্ত হলেও ৯৬ শতাংশ উপস'র্গহীন। সাত মাস ধ'রে চলা এই মহামা'রীতে মা'রা গিয়েছেন ৭ লক্ষ মানুষ। তবে বেশিরভাগ মানুষকেই ছুঁ'তে পারেনি করোনা।

সান ফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সং'ক্রা'মক-রোগ বিশেষজ্ঞ গান্ধী বলেছিলেন,উপস'র্গহীন সং'ক্র'মণ ভাল,  এটি ব্যক্তির পক্ষেও ভাল এবং সমাজের জন্যও। করোনাভাইরাস শিশুদের ক্ষেত্রে প্রভাব ফে'লে কম। সুতরাং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হালকা ল'ক্ষণ দেখা যায়। ।

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায় অ্যা'ন্টিবডি মানুষের শরীরে দুই থেকে তিনমাস থাকে।  এছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে সাধারণত টি সেল দীর্ঘস্থায়ী হয়। গবেষণায় দেখা যায় শতকরা ৪০ থেকে ৬০ ভাগ ন'মুনায় টি সেল রয়েছে। কজন সুস্থ মানুষের শরীরের এক মা'ইক্রো'লিটার র'ক্তবি'ন্দুতে দুই থেকে চার হাজার ‘টি-সে'ল’ থাকে। টি-সে'লের কাজ হলো করোনাভাইরাসকে ধ্বং'স করা।

এছাড়া নেদারল্যান্ডসের এক গবেষণায় দেখা যায় জার্মানীতে শতকরা ৩৪ ভাগ এবং সিঙ্গাপুরে শতকরা ৫০ ভাগ মানুষের শরীরে টি সে'ল রয়েছে। সং'ক্রা'মক রোগ বিশেষ'জ্ঞ গান্ধী বলছেন, মহামা'রীর শুরুর দিকে যারা মাস্ক পরত না তাদের শতকরা ১৫ ভাগ মানুষ ছিলো উপস'র্গহীন। মাস্ক পরা শুরুর পর এই হার বে'ড়ে হয় ৪০ থেকে ৪৫ ভাগ। আর উপস'র্গহীন সং'ক্র'মণ একসময় করোনার প্রকো'প কমাতে পারে।

গবেষণা বলছে, কম বেশী সবাই করোনা আক্রা'ন্ত হয়েছেন। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই অ্যা'সি'ম্পট্যো'ম্যা'টিক অর্থাৎ তাদের কোনও উপস'র্গ নেই। গবেষকদের ধারণা এত উপস'র্গ রয়েছে এই ভাইরাসে আক্রা'ন্ত হওয়ার, যে সঠিক ভাবে কোনও একটা নির্দিষ্ট ধা'রাকে চি'হ্নি'ত করা সম্ভব নয়। ভ্যাকসিন তৈরির পথ যত সুগম হচ্ছে, মানুষের শরীরেও ততটাই রোগ প্রতিরো'ধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।

তাই বিজ্ঞানীদের ধারণা এই হারে যদি অ্যা'সিম্প'ট্যো'ম্যা'টিক রোগির সংখ্যা বাড়ে, তবে তা ভাল লক্ষ্ম'ণ। কারণ এই ভাবে ধীরে ধীরে করোনা নিজের কা'র্যক্ষ'মতা হা'রাবে। কমে আসবে করোনার মা'রণ প্রকো'প। ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাস আ'ঘা'ত হে'নেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা  জানাচ্ছে রবিবার পর্যন্ত করোনায় আক্রা'ন্তদের মধ্যে ১ কোটি ২৭ লক্ষ ২০ হাজার ১৮৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সূত্র: বোস্টন গ্লোব, এংকরএইজ ডেইলি নিউজ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে