রবিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২০, ০৫:৫৬:২৯

লেবাননে বি'ধ্ব'স্ত মসজিদ ও ধর্মীয় উপসনালয় মেরামত করবে তুরস্ক

লেবাননে বি'ধ্ব'স্ত মসজিদ ও ধর্মীয় উপসনালয় মেরামত করবে তুরস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বি'স্ফো'রণে বি'ধ্ব'স্ত হওয়া সেখানকার মুসলিম ও খ্রিস্টানদের মসজিদ ও গির্জা মেরামত করবে তুরস্ক। বৈরুতে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত হাকান শাকাল বি'ধ্ব'স্ত মুহাম্মাদ আমিন মসজিদ ও সেন্ট জর্জ ক্যাথেড্রাল পরিদর্শন করে বলেন, ''তুরস্কের সরকার লেবাননের মুসলিম ও খ্রিস্টান ধর্মের নেতাদের বিধ্বস্ত মসজিদ ও গির্জা পুনর্নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন।''

গত ৪ আগস্ট বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণে মসজিদ ও গির্জার স্থাপনাটি মা'রা'ত্ম'কভাবে বি'ধ্ব'স্ত হয়। ঐতিহাসিক স্থাপনা দুটির গুরুত্ব বিবেচনায় পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেয় তুরস্ক। বৈরুতে প্রয়োজনীয় সেবা নি'শ্চিত করতে আঙ্কারার রাষ্ট্রদূত হাকান শাকাল তুরস্কের আন্তর্জাতিক সেবা সংস্থা তার্কিশ রেড ক্রিসেন্টের সঙ্গে কাজ করছেন।

উল্লেখ্য, ১৮১৯ সালে মসজিদটি শায়খ মুহাম্মাদ আবু নাসরের খানকা হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ধর্মীয় ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মাননা হিসেবে তাকে অটোমান সুলতান আবদুল মাজিদ এক খণ্ড জমি প্রদান করেন। পরে শায়খ খানকাটি ছোট্ট মসজিদে রূপান্তর করে রাসুল (সা.)-এর নামানুসারে 'মুহাম্মাদ আল আমিন' নাম দেন। ২০০২ সালে মসজিদটিকে অত্যাধুনিকভাবে নির্মাণ করা হয়। মসজিদের হলুদ পাথর, নীলাভ গম্বুজ, সুউচ্চ মিনার ও অনন্য স্থাপত্য দর্শকদের মুগ্ধ করে।

১৮৮৪ সালে সেন্ট জর্জ ক্যাথেড্রালটি বিশপ ইউসুফ আল দাবস নির্মাণ করেন। ১৮৯৪ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। বৈরুতের মধ্যভাগে মুহাম্মাদ আমিন মসজিদের পাশেই ক্যাথেড্রালটি অবস্থিত। লেবাননে ধর্মীয় সম্প্রীতির অনন্য নিদর্শন বৈরুতের শহীদ প্রাঙ্গণের পাশে অবস্থিত মুহাম্মাদ আমিন মসজিদ ও সেন্ট জর্জের মেরোনাইট ক্যাথেড্রাল। মুসলিম ও খ্রিস্টানদের প্রার্থনাস্থলের পাশাপাশি অবস্থান উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে তৈরি করেছে সম্প্রীতিবোধের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। প্রাচীন ঐতিহ্যের অংশ হয়েও বৈরুতের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে স্থাপনাগুলো।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট রাতে বৈরুত বন্দরে ভ'য়াব'হ বি'স্ফো'রণ হয়। এতে প্রায় ১৭৭ জন নিহ'ত এবং ছয় হাজারের বেশি আহ'ত হয়। তা ছাড়া অনেকে নি'খোঁ'জ আছে। লেবানন নিরা'পত্তা বাহিনীর বর্ণনা মতে, তিন হাজার ৯৭২টি স্থাপনা এবং চার হাজার ২১৪টি গাড়ি ক্ষ'তিগ্র'স্ত হয়। ইউনেসকোর তথ্য মতে, বি'স্ফো'রণে ৬৪০টি ঐতিহাসিক স্থাপনা ক্ষ'তিগ্র'স্ত হয় এবং ৬০টির বেশি ধ্বং'স হয়। সূত্র : আলজাজিরা নেট।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে