মঙ্গলবার, ১৮ আগস্ট, ২০২০, ০৯:৫১:১৫

করোনায় খাবারের অ'ভাব, তাই পাখিদের জন্য ফসল বু'নলেন গরিব চাষি

করোনায় খাবারের অ'ভাব, তাই পাখিদের জন্য ফসল বু'নলেন গরিব চাষি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রতি বছর ফসল লা'গানোর পর পাখির উ'ৎপা'তে তিনি বির'ক্ত হতেন। কিন্তু এবছর পাখিদের খাওয়ানোর জন্যই অ'র্ধেক জমিতে রা'গি আর মু'ক্তা বাজরা চাষ করলেন কোয়েম্বাতুরের এই চাষি। মুথু মু'রুগান প্রতি বছর তাঁর জমিতে রবি শস্যের চাষ করেন। 

আর সেই সব শস্যদানা খেতেই হা'মলা করে পাখির দল। মুথু মুরুগান নামের ৬২ বছরের সেই চাষি জানিয়েছেন, শুধুমাত্র পাখিদের খাওয়াবেন বলেই তিনি এবার কোনও রকম পোকা মা'রার বি'ষ দেননি জমিতে। তবে প্রতিবছরই তিনি জমির ধারে যে গাছগুলি লাগান তাতে কোনও রকম বি'ষ প্র'য়োক করতেন না। কারণ পাখিরা এসে আগে ওই গাছগুলোতেই বসে। কিন্তু এবার ব্যাপারটা একটু আলাদা। মার্চ মাসের শেষে ল'কডা'উন শুরু হলে তিনি খে'য়াল করেন অন্যবারের চেয়ে প্রচুর সংখ্যক বেশি পাখি তাঁর খে'তে এসেছে। সবাই বীজ খুঁ'জে খাওয়ার চেষ্টা করছে। এরপরই তিনি ঠিক করেন তাঁর মোট জমির মধ্যে দেড় বিঘা জমির ফসল শুধুমাত্র পাখিদের খাওয়ানোর জন্যই চাষ করবেন।

সেই মতো ১৫ এপ্রিল তিনি রা'গি আর বাজরা লাগান। আর এই ১৫ অগস্ট তা পাকতে তিনি দেখেন, পাখিরা একেবারে পি'কনিক ব'সিয়ে ফে'লেছে। মুনিয়া থেকে শুরু করে নানা প্রজাতির টিয়া কেউ বাদ নেই। সকাল থেকে এসে পাখির ঝাঁ'ক শস্যদানা খুঁ'টে খুঁ'টে খায়। আর সেই দেখে মন ভ'রে যায় মুথুর। যেহেতু তিনি পাখি ভালোবাসেন তাই এই ল'কডাউ'নে তাঁর চি'ন্তা ছিল ওদের নিয়েই। কোথায়, কীভাবে খেতে পাবে ওরা।

তবে বা'স্তুশা'স্ত্র এবং পরিবেশ নিয়ে প্রথম থেকেই সরব মুথু। এই বিষয়ে নানা আলোচনাতেও তিনি যোগ দিয়েছেন। মনে করেন, জীব বৈচিত্র্যের উপরই নি'র্ভর করে পশুপাখিদের জীবন। বর্ষীয়ান এই চাষি বলেন, 'আমরা বাঘ, হাতির সংরক্ষণ নিয়ে কথা বলি। কিন্তু পাখিদেরও খাবারের প্রয়োজন। কিন্তু আমরা সবাই ফসল বাঁ'চাতে যে কী'টনাশ'ক ব্যবহার করি তা ক্ষ'তি করে পাখিদের। শুধু তাই নয় পাখিদের জন্য নির্দিষ্ট দানাশস্যেও কিন্তু কী'টনাশ'ক স্প্রে করা হয়। তাই আমরা কোয়েম্বাতুরের চাষিরা ঠিক করেছি প্রতি বছর শুধুমাত্র পাখিদের জন্যই কিছুটা অংশে চাষ করব। এবং সেই জমিতে আমরা কোনও কী'টনাশ'ক ব্যবহার করব না'।

তবে তাঁর এই প্র'স্তাবে অনেকেই প্রথমে রা'জি হননি। তিনি তাঁ'দের বোঝান, যদি পাখিদের জন্য যদি নির্দিষ্ট খেতে চাষ করা হয় তাহলে তারা আর খাবারের খোঁ'জে অন্য জমিতে আসবে না। ফসল ন'ষ্টও হবে না। আর পাখিদের হাত থেকে ফসল বাঁ'চাতে অতিরি'ক্ত ঘাসও লা'গাতে হবে না। এই যু'ক্তিতেই অনেকেই রা'জি হন।

মূলত লাউ, বেগুন, টমেটো, ঘোড়ার ছোলা ইত্যাদি তাঁরা সারা বছর ধ'রে ফ'লান। মুথু বলেন, যেহেতু আমি কোনও ফসলেই বি'ষ দিই না, সেই কারণে অনেকবার আমায় ক্ষ'তির মুখে পড়তে হয়েছে। এদিকে যাঁরা আমার জমির ফসল একবার খে'য়েছেন তাঁরা বারবার ফিরে আসেন।

মুথুর এই উদ্যোগের কথা শুনে হাজির হয়েছেন ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগেরাফাররা। বেশ কিছু বিরল প্রজাতির পাখির দেখা পেয়ে আর ছবি তুলতে পেরে তাঁরা খুব খুশি। সেই সঙ্গে খুশি চাষির এমন উ'দ্যোগেও।-এই সময় 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে