আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আমেরিকার ৪২তম প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের যৌ'ন কে'লে'ঙ্কা'রির প্রস'ঙ্গ উঠলে সবাই মনিকা লিউনেস্কির কথাই ভাবেন। আলো'চিত-সমা'লো'চিত ওই ঘ'টনা ক্লিনটন সম্পর্কে পু'রোপু'রি ভি'ন্ন এক ই'মে'জ তু'লে আনে বিশ্ববাসীর কাছে। তবে নারীঘ'টিত আলোচনা যেন ক্লিনটনের পি'ছু ছা'ড়ে না। এতদিন পর বর্তমানে ৭২ বছর বয়সী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে এক তরুণীর ছবি প্র'কাশ পেয়েছে। ডেইলি মেইল বলছে, এসব ছবি এর আগে কোনদিন জনসম'ক্ষে আসেনি। সেই সময়ে ২২ বছর বয়সী এক লাস্য'ময়ী ম্যা'সাজ থে'রাপি'স্ট ক্লিনটনের ঘাড় ম্যা'সা'জ করে দিচ্ছেন। ক্লিনটনের বয়স তখন ৫৬। এই তরুণী আবার যৌ'ন হ'য়রা'নির শি'কার হয়েছিলেন। যার দা'য় আনা হয়েছিল মার্কিন বিনিয়োগকারী জেফরি এপস্টেইনের দিকে।
ছবি প্র'কাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল। সেখানে দেখা যায়, সুন্দরী তরুণী চান্তে ডেভিস ঘাড় ম্যা'সাজ করে দিচ্ছেন ক্লিনটনের। আর সাবেক প্রসিডেন্ট আয়েশি ভ'ঙ্গিতে তা উ'পভো'গ করছেন। একটা সময় এ'পস্টে'ইনের ব্যক্তিগত ম্যা'সাজকা'রী হিসেবে কাজ করতেন এই নারী। ছবিটি ক্লিনটনের সাথে বি'তর্কি'ত এ'পস্টে'ইনের সম্পর্কের বিষয়টাও তু'লে এনেছে। ডেমোক্রেটিক পার্টির কনভে'নশনে জো বাইডেনকে ক্লিনটন সমর্থন জানানোর একদিনে আগেই সংবাদমাধ্যমে আ'না হলো এ ছবিটি।
বর্তমানে ম্যাসাজকারী ডেভিসের বয়স ৪০ এর কোঠায়। তিনি নিজেই জানালেন, ছবিটি বি'দঘু'টে লাগতে পারে। কিন্তু সেই ভ্রমণে প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন একজন নি'পাট ভদ্রলোক ছিলেন। সেই সময় তিনি কোনো অ'শো'ভন আ'চ'রণ করেননি।ম্যা'সাজকারী বলতে থাকেন, ক্লিনটনের বয়স তখন ৫৬। ২০০২ সালে এক ভ্রমণে এ'পস্টে'ইনের সাথে আফ্রিকা যাচ্ছিলেন তিনি। বিমানে ঘুমিয়ে যাওয়ার পর ক্লিনটন ঘা'ড়ে অ'স্ব'স্তিবো'ধ করছিলেন।
সেই ভ্রমণে ছিলেন ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েল, যিনি বর্তমানে যৌ'নপা'চারের অভি'যোগে জে'লব'ন্দি আছেন। ম্যাক্সওয়েলই ডেভিসকে বলছিলেন ক্লিনটনের ঘাড় একটু ম্যা'সাজ করে দিতে। ওই সময় পর্তুগালের ছোট একটি বিমানবন্দরে বিমানটি থেমেছিল জ্বালানী নেয়ার জন্য।
ম্যাক্সওয়েলের বার বার বলতে থাকাটা কৌতু'কপূর্ণ মনে হয়েছিল, তিনি বলছিলেন আমি যেন ক্লিনটনের ঘাড় ম্যা'সাজ করে দেই। তার কণ্ঠে এমন সুর ছিল যেন একটু জো'রই করছিলেন আমাকে, বলেন ডেভিস। এরপর ক্লিনটন ডেভিসকে বলেন, আপনি আমার ঘাড়টা একটু ফু'টিয়ে দিতে পারেন? 'তিনি আমার দিকে পেছ'ন ফিরে ঘু'রে বসেন। আমি তার কাছাকাছি গিয়ে আমাদের সাবেক প্রেসিডেন্টের গলা ও ঘাড় মা'লিশ করতে থাকি', বলেন লা'স্যময়ী।
সেখানে আরেকটি ঘ'টনা ঘ'টেছিল, জানান ডেভিস। তিনি ক্লিনটনকে একটি বে'ফাঁ'স কথা বলে ফে'লেছিলেন। আসলে ম্যাসাজ করতে বেশ অ'সু'বিধা হচ্ছিল ডেভিসে। তিনি জুতসই অবস্থানে দাঁড়াতে পারছিলেন না। তখন ক্লিনটনকে মুখ ফ'সকে বলে ফে'লেছিলেন, যদি কিছু মনে না করেন আপনি হাঁটু গে'ড়ে বসতে পারেন?
স্মৃ'তি হা'তড়ে ডেভিস বলেন, আমি নিজেই হ'চকি'ত হয়ে পড়লাম। মনে হচ্ছিল, নিজের মুখে নিজের পা ঢু'কিয়ে দেই। মুহূর্তের জন্যে ক'ক্ষ'টা একেবারে চু'প হয়ে গেলো। আমিও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না এটা বলে ফে'লতে পারি। আমি কি বলছি এবং কাকে বলছি তা চিন্তার আগেই বলে ফে'লেছি। এটা শুনে যদিও তার (ক্লিনটনের) চেহারা আগুনের রং পেলো, কিন্তু তিনি হাসলেন। কক্ষের সবাই হেসে উঠলেন। তিনি এমনভাবে বসলেন যেন আমি সুবিধাজনক অবস্থানে দাঁড়াতে পারি।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ক্লিনটনের পরনে হলুদ রংয়ের শার্ট। তিনি কিছু গা এ'লিয়ে বসেছেন। দু হাত দু পায়ে রাখা। আর ডেভিস পেছনের চেয়ারে হাঁটু মু'ড়ে সুবিধাজনক কোণ থেকে ম্যা'সা'জ করছেন।
এ'পস্টে'ইনে সুপরিচিত ব্যক্তিগত জেট 'ললি'টা এক্সপ্রে'স'-এ চে'পে আফ্রিকায় যাচ্ছিলেন তারা। ২০০২ সালের সেপ্টেম্বরের ঘ'টনা। মা'নবাধি'কার বিষয়ক পাঁচ দিনের সফরে তারা গিয়েছিলেন ঘানা, নাইজেরিয়া, রুয়ান্ডা, মোজাম্বিক এবং দক্ষিণ আফ্রিকায়। ওই সফরে আরো ছিলেন অভিনেতা কেভিন স্পেসি এবং ক্রিস টাকার। ক্লিনটন বেশ কিছু উপলক্ষে এপস্টে'ইনের সাথে ভ্রমণ করেছিলেন, এটা সবাই জানেন। ২০০২ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে ক্লিনটন জেফরি এপস্টে'ইনের জেটে মোট চারবার ভ্রমণ করেছিলেন। ইউরোপ ও এশিয়ায় একবার করে এবং দুবার আফ্রিকায়।
আফ্রিকায় এই ভ্রমণের এক সপ্তাহ আগে ডেভিসকে জানানো হয়েছিল। যথাসময়ে এয়ারফিল্ডে আসার পর তাকে ইউনিফরম পরতে বলা হয়, যেন দেখে পেশাদার ক্রু' বলে মনে হয়। ওই ভ্রমণে ডেভিস বিমানবালার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ক্লিনটনকে দেখার পর তিনি রী'তিম'তো ভি'ড়'মি খান।
ডেভিস দা'বি করেছিলেন, ম্যাক্সওয়েল তাকে এ চাকরিতে আনার পর এপস্টে'ইন তাকে কয়েকবার ধ'র্ষ'ণ করেন। কয়েক বছর ধ'রে এ নি'র্যা'তন চ'লতে থাকে। অবশেষে ২০০৫ সালে ডেভিস এপস্টে'ইনের ক'বল থেকে ছা'ড়া পান। ২০১৯ সালে ডেভিসের সা'ক্ষাৎ'কার নেয় এফবিআই এবং নিউ ম্যাক্সিকোর অ্যাসিস্টেন্ট অ্যাটর্নি জেনারেল। এপ'স্টে'ইনকে গ্রে'প্তা'র করা হয় এবং পাঁচ দিন পর নিউ ইয়র্কে তার বি'রু'দ্ধে অপ'রা'ধ উ'ত্থাপি'ত হয়। জে'লে থাকা অবস্থায় ১০ আগস্ট এ'পস্টে'ইন পরে আ'ত্মহ'ত্যা করেন। ম্যানহাটানের মেট্রোপলিটন কারেকশনাল সেন্টারের বিশেষ হাউজিং ইউনিটে তার মৃ'তদে'হ মে'লে। লস অ্যাঞ্জেলসের একটি কলেজে ম্যা'সা'জ থে'রা'পির ওপর প্র'শি'ক্ষ'ণ নেয়ার পর এপস্টে'ইনের বন্ধুমহলের কাছাকাছি আসার সুযোগ দেয়া হয় ডেভিসকে। বেভারলি হিলসের ফোর সি'জ'ন্স হোটেলে দেখা হয় ম্যাক্সওয়েলের সাথে। ডেভিসের সাথে দেখা হওয়ার পর পরই ম্যাক্সওয়েল তাকে ব্যক্তিগত বিমানে করে এপ'স্টে'ইনের ফ্লোরিডার বাড়িতে নিয়ে যেতে চান। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ললিটা এক্সপ্রেসে চে'পে ম্যাক্সওয়েল নানা স্থানে ভ্রমণ করতে থাকেন। এপস্টে'ইনের ব্যক্তিগত দ্বীপে যাওয়ার পর সেখানেই ডেভিস যৌ'ন নি'র্যা'তনের শি'কা'র হন বলে দা'বি করেন।
এ বছরের শুরুর দিতে ডেভিস জানান, ছবিগুলো প্র'কাশ পাওয়ার পর তার মনে ভাবনা তৈরি হয়। প্রশ্ন জা'গে, এপস্টেইনের বন্ধুমহলে এমন ক্ষমতাবান মানুষ থাকার পরও সে কিভাবে এমন জ'ঘ'ন্য যৌ'ন অপ'রা'ধ করে যেতে পারে। তবে এপস্টে'ইন তার ব্যক্তিগত বিমান আর অর্থের ব্যবহারে এমন ধনী ও ক্ষমতাবাদ মানুষদের কাছে যেতে পারতেন। ছবিগুলো এমন প্রশ্নও তোলে, বিল ক্লিনটন কেন জেফরি এপস্টে'ইনের বিমান ব্যবহার করতেন এবং এপস্টেইন ক্লিনটনের মাধ্যমে কি ধরনের কাজ সফল করার চেষ্টা করতেন।
সূত্র: ডেইলি মেইল