আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত শনিবার প্রথম যখন পিংকি ডিকুনহার কাছে এক পুলিশকর্মী ফোন করেছিলেন তখন প্রথমে বিশ্বাসই হয়নি তাঁর। ওই পুলিশকর্মী মহিলার ঠিকানা জিগ্গেস করেন এবং বলেন যে, ২৬ বছর আগে মুম্বইয়ের চা'র্চগেট স্টে'শনে যে সোনার হা'র তিনি হারিয়েছিলেন সেটি ফে'রত দিতে চান তিনি। পিংকি কিছুসময় ফোন ধ'রে কথা হা'রিয়েছিলেন এবং ভাবছিলেন যে, তিনি যা শুনছেন তা কি ঠিক শুনছেন? মিলিন্দ পাটেল নামের ওই কনস্টেবল পিংকি সঙ্গে দেখা করে তাঁকে সোনার হার ফে'রত দিয়ে গিয়েছেন।
পিংকি বলেছেন, 'স্বামীর বিদেশে চাকরি করতে যাওয়ার আগে আমাকে এই হারটা উপহার দিয়েছিলেন তিনি। আমি ১৯৯৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ এই হারটা দেখেছিলাম। কোনওদিন ভাবিনি এটা ফে'রত পাবো। এই চেনটা দেখে কত স্মৃ'তি মনে পড়ে যাচ্ছে।' পিংকি জানিয়েছেন, তখন তাঁর দুই মেয়ের জন্মও হয়নি। এখন তাঁদের ২০র কোঠায় বয়স।
দক্ষিণ মুম্বইয়ের বাসিন্দা, ৪৯ বছরের পিংকি জানিয়েছেন, তখন তাঁর এক বছর হয়েছিল বিয়ের। একদিন বিকেলে ভিরারের বাড়ি থেকে চা'র্চগে'ট স্টেশনের লো'কা'ল ট্রেনে উঠেছিলেন তিনি। ভি'ড়ের মধ্যে মনে হয়েছিল কেউ তাঁর গলার হার ধ'রে টা'নছে। কিন্তু এত ভি'ড় ছিল এবং ঠে'লাঠে'লি হচ্ছিল যে ভালো করে দেখতে পাননি তিনি। সেখানেই তাঁর গলার হার ছি'নতা'ই হয়ে যায় সেদিন। তাঁর সা'রা গ'লায় দা'গ হয়ে গিয়েছিল।
তখনই স্টেশনের পুলিশ ও মুম্বই সে'ন্ট্রা'লের পুলিশ স্টেশনে অ'ভি'যোগ দা'য়ের করেছিলেন পিংকি। ঘ'ট'নার দু মাসের মধ্যেই ছি'নতা'ইকারীকে ধ'রে ফে'লে'ছিল পুলিশ। তবে পিংকির এফ'আই'আর-এ কোনও পুলিশ স্টেশন বা ফোন নম্বর ছিল না। গত বছর কমিশনার রবীন্দ্র সঙ্গাওকর পুরনো কেসগুলিকে দেখতে বলেন। তখন কোনও ভাবে পিংকি ডিকুনহা পরিচিত বে'রিয়ে যান কনস্টেবল পাটেল। তার পরেই যোগাযোগ করে হার ফি'রিয়ে দেওয়া হয়।-এই সময়