শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২০, ০৯:১০:৩৮

ভারতের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পেল সেই জামিয়া ইসলামিয়া

ভারতের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পেল সেই জামিয়া ইসলামিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের সাম্প্রতিক যতগুলো আ'ন্দো'লন বিশ্ব গ'ণমা'ধ্যমের শিরোনাম হয়েছে তার বেশিরভাগই শুরু হয় জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দ্বারা। দেশটিতে নাগরিকত্ব সং'শো'ধনী আইনের (সিএএ) বিরো'ধিতা প্রথম এখান থেকেই শুরু হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা ভারত বর্ষে। 

এমনকি আশপাশের দেশগুলোতেও এর প্র'ভা'ব দেখা দেয়। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্তের বি'রু'দ্ধেও আ'ন্দো'লন হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভারতের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা তালিকায় ৯০ শতাংশ স্কোর করেছে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ৮৩ শতাংশ স্কোর করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অরুণাচল প্রদেশের রাজীব গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়। 

৮২ ও ৭৮ শতাংশ স্কোর করে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডার গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম, স্নাতকোত্তর, পিএইচডি, এমফিল অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা, তাদের কাজ বা গবেষণার মানসহ শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন সূচক বিবেচনা করা হয়েছে তালিকা প্রস্তুতির সময়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা, অন্য রাজ্য এবং অন্য দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের সংখ্যার শতাংশও এই স্কোরিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত, শিক্ষকের শূন্যপদ, ভিজিটিং অধ্যাপক প্রভৃতিও বিচার করা হয়। পাশাপাশি, ক্যাম্পাস ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ন্যাশনাল ইলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট বা নেটের মতো পরীক্ষাগুলোতে কতজন সুযোগ পেয়েছেন, তাও বিবেচনায় আনা হয়েছে।

পরিচালন দক্ষতা, অর্থের সঠিক ব্যবহার এবং কিছু কো-কারিকুলার ও এক্সট্রা-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিতেও অনেকখানি বেশি স্কোর করেছে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এইআইআরএফ, এনএএসি প্রভৃতি দেশি ও আন্তর্জাতিক তালিকায়ও ভালো জায়গায় আছে জামিয়া। জামিয়ার ভাইস চ্যান্সেলর নাজমা আখতার জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সাফল্যে তারা খুশি। আসছে বছরে তারা এই ধারাবাহিকতা র'ক্ষা করতে চান।

বিভিন্ন সময় আ'ন্দো'লন করতে গিয়ে চ'ড়া মূল্য দিতে হয়েছে এখানকার শিক্ষার্থীদের। ত'ক'মা লেগেছিলো দেশদ্রো'হের। পুলিশের হাতে নি'র্যা'তনের শি'কা'র হন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পে'টানোর ভিডিও সামাজিক যো'গাযো'গমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) শিক্ষার্থীরাও সরকারের রো'ষান'লে পড়েছিলেন। তালিকার ১১ নম্বরেই আছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। তারপরই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৬৯ নম্বরে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে