আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীন-জাপান দ্ব'ন্দ্ব নতুন কিছু নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযু'দ্ধে পরা'জিত হওয়া পর্যন্ত চীনাভূমিতে আ'গ্রা'সন চালিয়েছিল রাজকীয় জাপ বাহি'নী। নানজিং গণহ'ত্যার মতো ঘ'টনা আজও ভোলেনি চীনারা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে পরি'স্থিতি পা'লটেছে। আগ্রা'সনের নীতি ছেড়ে দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্র'কা'শ করেছে জাপান। কিন্তু ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিয়ে সম্প্র'সারণবা'দী নীতি নিয়েছে চীন।
ফলে জাপানসহ অধিকাংশ পড়শি দেশের সঙ্গেই সং'ঘা'তে জড়িয়ে পড়েছে বেইজিং। এহেন পরি'স্থিতিতে, কমিউনিস্ট দেশটিকে শিক্ষা দিতে অর্থনীতির ময়দানে মোর্চা খুলেছে টোকিও। প্রায় ২৩.৫ বিলিয়ন ইয়েন বা ২২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি তহবিল গড়েছে জাপান। চীন থেকে যে সমস্ত জাপানি বাণিজ্যিক সংস্থা তাদের কারখানা দক্ষিণ এশিয়ায় স্থানান্তরিত করবে এই তহবিল থেকে তাদের বিশেষ ছাড় বা সাবসিডি দেবে টোকিও।
গত এপ্রিল মাসে করোনা আবহে চীন থেকে ফের জাপানে কারখানা স্থানান্তরিত করলে বাণিজ্যিক সংস্থাগুলিকে কর ছাড় দেওয়ার জন্য ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল ঘোষণা করেছিল জাপান প্রশাসন। তবে চীন থেকে শুধু ভারত-বাংলাদেশে কারখানা সরিয়ে নিলে জাপানি সংস্থাগুলি এই বিশেষ ছাড়ের সুবিধা পাবে।
গত জুলাই মাসে জাপানের অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বিখ্যাত ফেসমাস্ক নির্মাতা Iris Ohyama ও Sharp Corp-সহ প্রায় ৫৭টি কোম্পানি প্রায় ৫৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ছাড় পাবে। এছাড়াও, ভিয়েতনাম, মায়ানমার, থাইল্যান্ড ও অন্য দক্ষিণ এশীয় দেশগুলিতে কারখানা সরিয়ে নেওয়ায় আর ৩০টি বাণিজ্যিক সংস্থাকে বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, অতি আগ্রা'সী নীতির ফলে লরমে বিশ্বে একঘরে হয়ে পড়ছে চীন। দক্ষিণ চীন সাগরের দ'খল নিয়ে ভিয়েতনাম, জাপান্, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, দক্ষিণ কোরিয়াসহ একাধিক দেশের সঙ্গে বিবা'দে জড়িয়েছে বেজিং। শুধু তাই নয়, ভারতের জমিতেও আ'গ্রা'সন চালিয়েছে লা'লফৌ'জ। তাই কমিউনিস্ট দেশটিকে শিক্ষা দিতে অর্থনীতির ময়দানে ম'হড়া শুরু করেছে তাইওয়ান, জাপান, ভারত ও আমেরিকাসহ একাধিক দেশ। সব মিলিয়ে এহেন পদক্ষেপে রীতিমতো ধা'ক্কা খেয়েছে বেজিং।